Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সাধারণ মানুষ নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। নেতারা রাজনীতিকে সম্বল করে ক্ষমতা দখল করছে। এই দেশে বাস করে কেউ দেশটার কথা চিন্তা করে না। একটা যুবক নিজেকে ভারতবাসী বলে ভাবে না বা তা নিয়ে গর্ব করে না। তাহলে কী জন্যে তুমি রাজনীতি করবে? কেন করবে? আমি ঠিক বুঝি না তোমাদের। কিন্তু মনে হয়, তোমরা নানান জিনিস দিয়ে প্রতিমা বানাও শুধু প্রতিমার জন্যে, ভক্তিটুকুই তোমাদের নেই...।
সরিৎশেখর যখন অনিমেষকে কথাগুলো বলছিলেন, তার প্রেক্ষাপট এখন থেকে প্রায় চার যুগ আগের। সমরেশ মজুমদারের ‘কালবেলা’ উপন্যাসের এই শব্দগুলো আজকের পরিস্থিতির সঙ্গেও বেশ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। আজও সেই রাজনীতির আবর্তে আবদ্ধ রাজনৈতিক নেতা, আখের গোছানোই যেখানে এক এবং একমাত্র লক্ষ্য... আর তার সঙ্গে রাজনৈতিক দিশাহীন ছাত্র রাজনীতি। শনিবার ধর্মতলার ধর্না-বিক্ষোভ থেকে যখন শোনা যাচ্ছে, ‘নরেন্দ্র মোদিকে যেতে গেলে আমাদের ছাত্রদের বুকের উপর দিয়ে যেতে হবে’, সেটাও বেশ অদ্ভুত একটা অনুভূতি। সত্যিই কি তাহলে এই একটা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ইস্যু ছাত্রসমাজকে একটা উদ্দেশ্য দিল? প্রতিমা গড়নের সঙ্গে সঙ্গে ভক্তিও?
আপাতদৃষ্টিতে উত্তরটা হ্যাঁ। আবার দূরদৃষ্টির কথা বললে... এখনও বলার সময় আসেনি। নামজাদা বেসরকারি কোম্পানির এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলছিলেন, ‘এদের কজন আইনের ড্রাফ্ট পুরোটা ঠিকমতো পড়েছে জিজ্ঞেস করবেন। বাজি রাখছি, ১০০ জনে দু’জন পাবেন কি না সন্দেহ।’ কথাটা হয়তো ঠিক। সবাই শুনেছে, চায়ের দোকানে তর্ক করেছে, ভাসা ভাসা জেনেছে, আর তারপরই শুরু হয়ে গিয়েছে আন্দোলন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লাগাতার বলে আসছেন, এটা নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। নাগরিকত্ব প্রদানের আইন। বিরোধীদের দাবি এবং সাধারণ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের বিশ্লেষণ হল, এই আইন ধর্মীয় বিভাজক হয়ে দেখা দেবে। গত শুক্রবার রাতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশে কার্যকর হয়ে গিয়েছে। এর প্রভাব, পরিণতি বা নেপথ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা চলছে-চলবে। প্রশ্ন হল, ছাত্র রাজনীতি এবং আন্দোলন কি এই ইস্যুতে সত্যিই একটা মাত্রা পাবে?
অনিমেষ যখন ছাত্র রাজনীতিতে এসেছিল, সেটা রাজ্য রাজনীতির ইতিহাসের অন্যতম টালমাটাল সময়। নকশালবাড়ি আন্দোলন বাংলার ছাত্রসমাজের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। তাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল আকাশছোঁয়া, কিন্তু পদ্ধতি ছিল ভুল। সেই ‘সশস্ত্র বিপ্লবে’র আগুনে পুড়ে গিয়েছিল বহু ভবিষ্যৎ। তারপর তারা আবিষ্কার করেছিল, দাহ্যবস্তুর সত্যিই কোনও সৃষ্টিশীল ক্ষমতা নেই। স্বাধীনতার পর খুব কম ইস্যু ছাত্রসমাজকে, ছাত্র রাজনীতিকে সঠিক কোনও দিশা দেখাতে পেরেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রসমাজ যে এগিয়ে এসেছিল, তার একটা নির্দিষ্ট চালিকাশক্তি ছিল। দেশ। স্বাধীনতা। ১৯৪৭ সালের পর যে উদ্দেশ্যটা শেষ হয়ে যায়। তখন নতুন এমন কোনও চালিকাশক্তি ছিল না, যা ছাত্রসমাজকে বা আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেল ছাত্র রাজনীতিকে একটা ইতিবাচক লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। রাজনৈতিক নেতারা ছিলেন নিজেদের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। ছাত্ররাও তাই। জাতীয় রাজনীতিতে ছাত্রসমাজের ভূমিকা বলতে আর কিছুই ছিল না। সবটাই রাজ্যভিত্তিক। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসনির্ভর। হস্টেলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন রাস্তায় নেমে আসতে পারে, কিন্তু দেশের অর্থনীতি শুধরাতে সরকারের কী করা উচিত, সে ব্যাপারে নতুন প্রজন্মের কোনও নির্দিষ্ট পরামর্শ থাকবে না কেন? নকশালবাড়ি আন্দোলনের দিশা প্রশ্নাতীত নয়। কিন্তু জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে ছাত্র আন্দোলন? সেই স্রোত ইন্দিরা গান্ধী সরকারকে পর্যন্ত টালমাটাল করে দিয়েছিল। তবে প্রকাশ্যে না হলেও নেপথ্যে কোথাও না কোথাও রাজনৈতিক রং বা আদর্শ ছিলই। ওই যে কথাটা... নিজেকে ভারতীয় ভেবে গর্ব বোধ করে, ভারতের জন্য আন্দোলন... সেটা কি হয়েছিল? হয়তো হয়েছিল... হয়তো কোনও কোনও ছাত্র সত্যিই রাজনীতির ব্যানারের বাইরে থেকেও শুধু দেশের জন্যই আত্মত্যাগ করেছিলেন। ত্যাগ ছাড়া সমাজ বা দেশ, কোনওটাই সম্পূর্ণ হয় না। সবটাই দাঁড়িপাল্লার খেলা। কেউ কোথাও ত্যাগ করেছে বলেই উল্টোদিকের আর একজন গ্রহণ করতে পেরেছে। ব্যালান্স। এর উপরই দাঁড়িয়ে পৃথিবী, রাজনীতি, আন্দোলন।
জেএনইউয়ের হস্টেল ফি বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন আজ জাতীয় রাজনীতির প্রধান চর্চা। আর তার জন্যও দায়ী রাজনীতি। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিসের বিরুদ্ধে হামলা। শুরুটা এখান থেকেই। পুলিসের অভিযোগ ছিল, জামিয়ার পড়ুয়ারা দিল্লির রাস্তায় পুলিসের উপর চড়াও হয়েছে। তার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কিছু তো করতে হতো! কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিন্তু পুলিস ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে না! তারা সেটাই করেছিল। এমনকী সেদিন ভাঙচুর হয় লাইব্রেরি... যেখানে মিলেছিল কাঁদানে গ্যাসের শেলও। কোনও পড়ুয়ার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কারও ভেঙেছে হাত। এই ঘটনা গোটা দেশের ছাত্রসমাজকে খেপিয়ে দিয়েছে। যে বিক্ষোভ কয়েকটা জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে হচ্ছিল, তা নেমে এসেছে রাস্তায়... দেশের নানা প্রান্তে। প্রায় সব বড় শহরে। ছাত্রসমাজের প্রতি কি এতটুকু সহিষ্ণুতা সরকার দেখাতে পারত না? এর নেপথ্যে তাহলে কী ছিল? শুধুই নিরাপত্তাহীনতা? ইন্দিরা গান্ধী না হয় ইমার্জেন্সি জারি করে হাত পুড়িয়েছিলেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির জমানায় পুলিস বা পুলিসকে চালানেওয়ালারা কেন এতটুকু সহিষ্ণু হবে না! আজকের যা পরিস্থিতি, তার নেপথ্য সম্ভাবনা অনেকগুলো হতে পারে... প্রথমত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সত্যিই ধর্মীয় বিভাজন আনছে। সেটা যাতে জনমানসে আগুনের মতো ছড়িয়ে না পড়ে, সেই কারণেই আগেভাগে দমন করে দেওয়া ভালো। দ্বিতীয়ত, সবটাই ধন্দ। এমন কিছুই হবে না। বিরোধী প্রচারে প্রভাবিত হয়েই ভারতের আগামী প্রজন্ম আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে কি তাদের বোঝানোটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না? যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। দেশের ছাত্রসমাজের স্লোগান আজ একটাই, সিএএ বাতিল করতে হবে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কেন্দ্র বিরোধী এই লড়াইয়ে তাদের প্রধান অস্ত্র। ক্যাম্পাসভিত্তিক, দলবিরোধী রাজনীতির প্রেক্ষাপট ছেড়ে বেরিয়ে এই আন্দোলন আজ হয়ে উঠেছে দেশের জন্য। যেখানে প্রতিমা আছে। আর ভক্তিও।
ঐশী ঘোষ কোন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করেন, তা বারবার প্রচারে আনছে বিজেপি। মানুষের কাছে কিন্তু তিনি জেএনইউয়ের এক পড়ুয়া। তাঁকে দিল্লি পুলিস অন্য মামলায় অভিযুক্ত করছে। অথচ যারা মাথা ফাটিয়ে ঐশীকে রক্তস্নাত করল, সেই মুখোশধারীদের হদিশ নেই। এই ছাত্রছাত্রীরা আজ গর্ববোধ করছেন নিজেদের ভারতীয় বলতে। শুধু কেরিয়ার নয়, মানুষের জন্য তাঁদের লড়াই। দেশের জন্য তাঁদের বিপ্লব। কোনও দলের জন্য নয়। নরেন্দ্র মোদি সরকারের যদি আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ থাকে, তাহলে তা ছাত্রসমাজ। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন মুলুকে প্রথম আওয়াজ তুলেছিলেন ছাত্ররা।
আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই সময় ছাত্রসমাজের প্রশ্ন ছিল, ‘এত দূরের দেশে কেন আমেরিকা যুদ্ধ করবে? কেন ভিয়েতনামে গিয়ে আমাদের দেশের হাজার হাজার তরুণ প্রাণ দিয়ে আসবে?’ সেই আন্দোলনে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল মার্কিন সরকার। ভিয়েতনামে ধাক্কা তারা খেয়েইছিল, পাশাপাশি দেশেই ছাত্রসমাজের কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছিল আমেরিকাকে। তেমন কিছু আজ হয়তো ভারতের সঙ্গে হতে চলেছে। সরকার যতই দাবি করুক, সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে... আদৌ কি তাই? বাড়তে থাকা অপরাধ প্রবণতা এই দাবির সবচেয়ে বড় অন্তরায়। নৃশংস ধর্ষণ, খুন, সমাজের আগ্রাসী হয়ে ওঠা কোনও রাষ্ট্রের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন নয়! ধর্মীয় মেরুকরণ যে প্রবণতায় আরও বেশি অনুঘটকের কাজ করছে। একজন পড়ুয়াও চাইলে বিশ্বের স্বার্থান্বেষী ভাবনায় আঘাত হানতে পারে... গ্রেটা থুনবার্গ তার সবথেকে বড় প্রমাণ। দিনের পর দিন স্কুল কামাই করে পথে বসে থেকেছেন পরিবেশের জন্য। দূষণের ধারক-বাহক দেশগুলোকে চোখে আঙুল দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের জন্য আপনারা ভাবতে বাধ্য। ছাত্র রাজনীতি থেকে যদি নেতা বা নেত্রী উঠে আসে, তাহলেই একটা দল বা আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে একটা দেশ এগিয়ে যায়। ভারতের ছাত্রসমাজও যদি আন্দোলনের প্রতি এই সততা বজায় রাখতে পারে, আজ না হয় কাল পরিস্থিতি বদলাবেই। এখান থেকেই ফের উঠে আসবে সত্যিকারের নেতা। যাদের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে আসবে আরও অনেকে। রাজনীতির জন্য। আর অবশ্যই, দেশের স্বার্থে।
14th  January, 2020
ক্ষমা করো সুভাষ
জয়ন্ত চৌধুরী

মুক্তিপথের অগ্রদূত তিনি। অখণ্ড ভারত সাধনার নিভৃত পথিক সুভাষচন্দ্রের বৈপ্লবিক অভিঘাত বাধ্য করেছিল দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি রচনা করতে। দেশি বিদেশি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের লেখনীতে আজাদ হিন্দের অসামান্য আত্মত্যাগ স্বীকৃত হয়েছে। সর্বাধিনায়কের হঠাৎ হারিয়ে যাবার বেদনা তাঁর জন্মদিনেই বড় বেশি স্পর্শ করে যায়।  
বিশদ

স্বামীজি, বিশ্বকবি ও নেতাজির খিচুড়ি-বিলাস
বিকাশ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকাব্য থেকে কাহিনীটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মা দুর্গা নন্দিকে তলব করেছেন, যাও ডাব পেড়ে নিয়ে এসো।
নন্দির তখনও গতরাতের গাঁজার খোঁয়ার ভাঙেনি। কোনওরকমে জড়ানো স্বরে বলল, ‘এত্তো সকালে মা?’  বিশদ

‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক। নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা।   বিশদ

21st  January, 2020
আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বিশদ

20th  January, 2020
নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি।  
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, কাঁথি: অবশেষে এগরার ভবানীচক থেকে পাহাড়পুর প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তায় পুঁতে দেওয়া খুঁটি সরাল পুলিস-প্রশাসন। বুধবার এগরা থানা, মারিশদা থানার পুলিস ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে খুঁটি সরানোর কাজ হয়।   ...

 রাঁচি, ২২ জানুয়ারি (পিটিআই): ঝাড়খণ্ডে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল পাথালগড়ি আন্দোলন। মঙ্গলবার রাতে পাথালগড়ি সমর্থকদের হাতে খুন হলেন সাতজন গ্রামবাসী। তাঁদের মধ্যে একজন পঞ্চায়েতের সদস্যও রয়েছেন। পশ্চিম সিংভূম জেলার বুরুগুলিকেরা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ইরান-আমেরিকার যুদ্ধ হলে ভারতে তার বিরাট প্রভাব পড়বে। আফগানিস্তান, ইরাকে আমেরিকার যুদ্ধের সময় যতটা হয়নি, তার চেয়ে অনেক বেশি হবে। ইরান ভারতের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ইরান থেকে ভারত তেল পায়। ভারতের চা সেখানে রপ্তানি হয়। ...

 অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: টানা ওষুধ খেলে শরীরে জমে ‘বিষ’। এবার সহজেই সেই ‘বিষ’ সাফ হতে পারে। আশার আলো দেখাচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একটি গবেষণা। কিছু রোগ আছে, যেগুলির জন্য সারাজীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। তার একটি ক্ষতিকর দিকও থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৪- সাহিত্যিক জ্যোতির্ময়ীদেবীর জন্ম
১৮৯৭- মহাবিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম
১৯০৯ - কবি নবীনচন্দ্র সেনের মৃত্যু
১৯২৬- শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল থ্যাকারের জন্ম
১৯৩৪- সাংবাদিক তথা ‘বর্তমান’ এর প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৬- গায়ক পল রোবসনের মৃত্যু
১৯৮৪ – নেদারল্যান্ডের ফুটবল খেলোয়াড় আর্ইয়েন রবেনের জন্ম
১৯৮৯ - স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির মৃত্যু
২০০২ - পাকিস্তানের করাচীতে সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল অপহৃত হন এবং পরবর্তীকালে নিহত হন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৫ টাকা ৭২.০৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.২১ টাকা ৯৪.৪৯ টাকা
ইউরো ৭৭.৪২ টাকা ৮০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, চতুর্দশী ৪৯/৪৮ রাত্রি ২/১৮। পূর্বাষা‌ঢ়া ৪৭/২৫ রাত্রি ১/২১। সূ উ ৬/২২/৩১, অ ৫/১৪/৭, অমৃতযোগ রাত্রী ১/৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৩১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৮ গতে ১/২৭ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, চতুর্দশী ৪৯/১৬/২৩ রাত্রী ২/৮/২৩। পূর্বাষাঢ়া ৪৭/৫৬/৪৫ রাত্রি ১/৩৬/৩২। সূ উ ৬/২৫/৫০, অ ৫/১২/৩২, অমৃতযোগ দিবা ১/৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/৩০/৫২ গতে ৩/৫১/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৪৯/১১ গতে ১/২৮/২১ মধ্যে। 
২৭ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। বৃষ:প্রতিযোগিতায় সাফল্য আসবে। মিথুন: ব্যবসাস্থান ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৯৪- সাহিত্যিক জ্যোতির্ময়ীদেবীর জন্ম১৮৯৭- মহাবিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম১৯০৯ - ...বিশদ

07:03:20 PM

কলকাতার একটি হোটেল থেকে বাঘের চামড়াসহ গ্রেপ্তার ৩

06:28:27 PM

উত্তরপ্রদেশের সর্দারপুরে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য সড়কে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং এয়ারক্র্যাফ্টের 

04:08:00 PM

২৭১ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স 

04:05:17 PM

আইলিগে মোহন বাগান ৩-০ গোলে হারাল নেরোকা এফসিকে 

04:04:09 PM