বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
শ্রমিক মেলায় সামাজিক সুরক্ষা যোজনার অধীনে পেনশন পাওয়া ২২জনের মধ্যে রয়েছে হাসান আলি শেখ, নুরুল ইসলাম শেখ, চাঁদ আলি শেখ, আলিমউদ্দিন শেখ। পেনশন পেয়ে প্রত্যেকেই খুশি। তাঁরা বলেন, সব সময় উপার্জনের রাস্তা খোলা থাকে না। আমাদের কথা ভেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে এত সুন্দর প্রকল্প নিয়েছে, তাতে আমরা খুশি। শ্রমিকদের পেনশন দেওয়ার পাশাপাশি এদিন বেশ কয়েকজনকে দুর্ঘটনা জনিত এককালীন টাকাও দেওয়া হয়।
এদিকে, সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় লেখাপড়া করার জন্য বিবাহিত মহিলাকে চেক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রম দপ্তরের বিরুদ্ধে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তেহট্টের মহকুমা শাসক অনীশ দাশগুপ্ত। অভিযোগ, সাহেবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক বাসিন্দাকে ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয় তাঁর একমাত্র মেয়ের নামে। এই টাকা সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় অবিবাহিত ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য দেওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ব্যক্তির মেয়ের বিয়ে বছর দু’য়েক আগেই হয়ে গিয়েছে। তারপরেও কীভাবে তিনি চেক পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁরা বলেন, এভাবে সরকারি টাকা পাইয়ে দেওয়া আইন বিরুদ্ধ। যদিও ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি অনেক দিন আগে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। মেয়ের লেখাপড়ার জন্য ২৫ হাজার টাকা পাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। তারপর মাস পাঁচেক আগে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়েছে। এবিষয়ে তেহট্টে সহকারি লেবার কমিশনার সুব্রত দাসগুপ্ত বলেন, বিষয়টি জেনে আমরা ওনাকে ডেকে পাঠিয়েছি। এরপর তদন্ত করে দেখা হবে।
এদিকে, এক পিরিয়ডের পর ছুটি হয়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্র সহ অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, এমনিতেই বিভিন্ন কারণে স্কুলে ছুটি থাকে। সবে স্কুল শুরু হয়েছে। এখন এই মেলার কারণে এক পিরিয়ডে ছুটি হলে লেখাপড়ার ক্ষতি হল। এক অভিভাবক বলেন, এখন তিনটে সেমিস্টারে পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে স্কুল গরমের ছুটি, পুজোর ছুটি, অন্যান্য ছুটি থাকে। বছরের প্রথম দিকেই সাধারণত ভালো ক্লাস হয়। সবে প্রথম মাস স্কুল শুরু হয়েছে। এখন পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়েছে। এখন স্কুলের মধ্যে এই শ্রমিক মেলা না করে স্কুলের সামনে যে মাঠ আছে সেখানে করলে ভালো হতো। এভাবে স্কুলের ভিতর মাইক বাজিয়ে মেলা হলে কোনওভাবেই স্কুলে ক্লাস করা যাবে না। স্কুলের ছাত্ররা অভিযোগ করে বলে, এদিন মাত্র এক পিরিয়ড হয়েছে। তাও মাইক বাজতে থাকায় সেই পিরিয়ড ও ঠিক মতো হয়নি। এমনিতেই পরীক্ষার সিলেবাস শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এরপরে পিরিয়ড পুরোদমে চালু হতে না হতেই এদিন ছুটি হয়ে গেল। এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাধনকুমার বিশ্বাস বলেন, স্কুলের ভিতরের মাঠে মেলা করার জন্য এদিন এক পিরিয়ডে ছুটি দেওয়া হয় স্কুলে। আর এরজন্য সিলেবাস শেষ করতে কোনও অসুবিধা হবে না। এবিষয়ের তেহট্টের মহকুমা শাসক বলেন, স্কুল ছুটি দেওয়ার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।