বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
গত সেপ্টেম্বর মাসে জেলার পোস্ট অফিসগুলিতে কোথাও প্রিন্টার বিকল, আবার কোথাও ডাক টিকিট না থাকায় সমস্যা হয়। কোথাও আবার ‘লিঙ্ক নেই’ লেখা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার গ্রাহকদের অভিযোগ, করিমপুর, যমশেরপুর, শিকারপুর, নাজিরপুর, বেতাই, তেহট্ট সহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক পোস্ট অফিসগুলির বেহাল অবস্থা। ডাকঘরের অ্যাকাউন্টে জমানো টাকা জমা ও তোলার কাজেও সমস্যা হয়। প্রবীর বিশ্বাস নামে তেহট্টের এক যুবক বলেন, চাকরির জন্য আবেদন করব বলে ঠিক করি। সেইমতো কাগজপত্র জোগাড় করে গত কয়েকদিন ধরে তেহট্ট পোস্ট অফিসে গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে। বার কোড না থাকায় কোনও কাজ হচ্ছে না। চিঠি রেজিস্ট্রি, স্পিড পোস্ট প্রভৃতির ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। দু’একদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় চিঠি না পাঠাতে পারলে আবেদনপত্রের নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে যাবে। করিমপুরের বাসিন্দা বিশ্বনাথ বিশ্বাসের অভিযোগ, সামনেই আমার এক আত্মীয়ের বিয়ের জন্য পোস্ট অফিসে চিঠি পাঠাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বার কোড না থাকার কারণে পোস্ট অফিসে গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে। শেষমেশ মোটরবাইক, বাসে করে গিয়ে চিঠি পৌঁছে দিতে হচ্ছে। শিকারপুরের বিপুল মণ্ডল বলেন, আমার মেয়ে কর্ণাটকের একটি কলেজে পড়াশোনা করে। মেয়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র পাঠানোর দরকার। কিন্তু বিভিন্ন পোস্ট অফিস ঘুরেও তা পাঠাতে পারছি না। বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমেও পাঠানোর চেষ্টা করেছিলাম। মেয়ের ঠিকানা ওদের সার্ভিস আওতার বাইরে বলে কাগজপত্র পাঠাতে পারছি না। আমাদের এলাকায় ডাকঘরে কর্মীরা ‘বারকোড নেই’ লেখা বোর্ড ঝুলিয়ে দায় সেরেছেন। কিন্তু আমাদের মতো মানুষদের সমস্যা তা হলে কীভাবে মিটবে। কাউন্টারে বসে গ্রাহকদের সমস্যার কথা শোনার মতো কেউ নেই। জেলার ডাক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, স্বাভাবিকের থেকে অতিমাত্রায় বারকোড ব্যবহারের কারণে চাহিদা বেড়েছে। মূলত জমির রেকর্ড করানোর জন্য সাধারণ মানুষ প্রচুর পরিমাণে চিঠি পোস্ট করছেন। যে কারণে বার কোড এলাকার ডাকঘরগুলিতে পাঠানো মাত্রই ফুরিয়ে যাচ্ছে। তবে বেশিমাত্রায় বারকোড সমস্ত পোস্ট অফিসে পাঠানোর চেষ্টা করছি।