শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
দু তিন দশক আগেও হরিনাম পালা কীর্তন ও লোকগীতির আসর বসত তরুণ সংঘের মাঠে। খোলা আকাশের নিচে, ঘাসের উপর চট বিছিয়ে শিল্পীরা পালা কীর্তন করতেন। ২০০১ সালে এই মাঠে কৃষিমেলা ও লোকসংস্কৃতি উৎসব শুরু হয়। স্বপনবাবুর উদ্যোগ এই মেলা হয়ে আসছে। বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশের লোকশিল্পীরা এখানকার কৃষিমেলায় আসেন। স্বপনবাবু বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, এই মাঠের পাশে স্থায়ী লোকসংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র গড়ার ইচ্ছা আছে। দীর্ঘদিন পর তার তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে স্বপনবাবু বলেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম চর্চা কেন্দ্র গড়ে দেব। তার কাজ শুরু হয়ে গেল। এটা আমার স্বপ্নের প্রজেক্ট ছিল। আরও একটা কাজ করার ইচ্ছা আছে। এই বিল্ডিংয়ের উপরে একটি বড়মাপের অনুষ্ঠান হল করব। যে সব দুঃস্থ মানুষদের ওই অনুষ্ঠান হলটি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে।
কালনা মহকুমার তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক শম্ভুনাথ মণ্ডল বলেন, বর্তমানে কালনা মহকুমায় ২৪১৬ জন লোকশিল্পী আছেন। তাঁরা সরকারি পরিচয়পত্র পেয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে গেলে তাদেরকে ১০০০টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। এছাড়াও ১০০০ টাকা মাসিক ভাতা পান। পেনশনপ্রাপ্ত লোকশিল্পী আছেন ২০০ জন। এই এলাকায় একটি লোকসংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের প্রয়োজন ছিল। চর্চা কেন্দ্র থেকে অনেক প্রতিভাবান শিল্পী উঠে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, একসময় এলাকার শিল্পীদের সঙ্গে আমিও এখানে পালা কীর্তন করেছি। তখন বসে রেওয়াজ করার কোনও স্থায়ী জায়গা ছিল না। বাম আমলে বহুবার লোকসংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের গড়ার জন্য সরকারি দপ্তরে আবেদন করেছিলাম। বিষয়টি নিয়ে তারা কেউ গুরুত্ব দেয়নি। এ বছর ১২ জানুয়ারি তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন আমাকে ডেকে জানিয়েদেন, তোমাদের প্রস্তাব মতো লোকসংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের গড়ার জন্য সাড়ে ২৬ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এবার আমার দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন পূরণ হল।