শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তৃণমূল বুথ সভাপতির নাম সুকুমার ঘোষ। তিনি পেশায় মুদি ব্যবসায়ী। দুর্গাপুর গ্রামেই সরকারের দেওয়া খাস জমিতে নিজ গৃহ নিজ ভূমি প্রকল্পে তিনি বাড়ি করেছেন। সুকুমারবাবু মেদিনীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার ফোনে তিনি বলেন, সরকারের দেওয়া খাস জমিতে আমি নিজ গৃহ নিজ ভূমি প্রকল্পে বাড়ি করেছি। প্রতিবেশী এক বিজেপি কর্মীর ওই জায়গা নিয়ে নানা আপত্তি। মঙ্গলবার বিকেলে এক বিজেপি কর্মীর ছেলে এসে গ্রামের সালিশিতে যেতে বলে যায়। এর আগেও আমাকে ওরা সালিশিতে ডেকে নিয়ে গিয়ে দু’বার বেধড়ক মেরেছিল। তাই আমি সেখানে যাব না বলে জানিয়ে দিয়েছিলাম। সন্ধ্যার সময় আমি নিজের দোকানে ব্যবসা করছিলাম। আচমকা কয়েকজন বিজেপি কর্মী এসে চিৎকার করতে শুরু করেন। পাশেই আমার ভাইপোর দোকান। আমি বেরিয়ে যেতেই ওরা আমাকে মারধর করতে শুরু করে। স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে এলে ওরা তাঁকে মারধর করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর মোটা লাঠিসোঁটা দিয়ে আমার কোমরে মারে। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। ওই অবস্থায় ওরা আমাকে ‘নাটক করছে’ বলে ফের লাঠি দিয়ে মারতে যায়। আমি ডান হাত দিয়ে আটকাতে যাই। লাঠির আঘাতে আমার ডান হাত ভেঙে যায়। এরপর ওরা পালিয়ে যায়।
অঞ্চল তৃণমূলের নেতা তপন কোলে বলেন, ওয়ার্ড সভাপতিকে মারধর করার খবর পেয়ে তৃণমূল কর্মীরা সেখানে যান। বাইক নিয়ে ফেরার সময় ওই তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বিজেপির লোকজন বাড়ি থেকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। তাতে আমাদের কয়েকজন জখম হন। দল বেঁধে বিজেপি কর্মীরা হামলা করতে পারে দেখে তৃণমূল কর্মীরা সেখান থেকে চলে যায়। এরপরই বিজেপি আমাদের ছ’জন কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে। পাশের নিশ্চিন্তপুরে গৌতম ঘোষ নামে এক দলীয় কর্মীর মারুতি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়।
গড়বেতা-৩ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সভাপতি আকাশদীপ সিনহা বলেন, সালিশিসভা করে ওরা আমাদের কর্মীদের ডেকে নিয়ে গিয়ে এর আগে অনেক মারধর করেছে। আমি ওদের ডাকা সালিসি সভায় যেতে নিষেধ করেছি। আসলে তৃণমূল করার অপরাধে সিপিএমের হার্মাদদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি এসব করছে।
বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি রাজীব কুণ্ডু বলেন, খাস জমি নিয়ে গণ্ডগোল বলে জানি। দুই ভাইয়ের মধ্যে গণ্ডগোল। সালিশি সভায় না যাওয়ায় কারও উপর হামলা চালানো হয়নি। পুরোটাই মিথ্যা। বরং, বাইরে থেকে বাইকে করে তৃণমূলের লোকজন এসে আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। দলীয় কর্মীদের মারধর করেছে। ওরা আমাদের নামে এখন মিথ্যা অভিযোগ করছে।