কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
একদা কংগ্রেস করতেন দেবাশিস। ২০১৩ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূলে শামিল হয়ে দলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক কমিটির সভাপতির পদ পান। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সেই থেকেই গ্রামে তাঁর আস্ফালন বাড়ে। এরপর ডাবগ্রাম-১ ও ২, ফুলবাড়ি-১ ও ২ এই চারটি পঞ্চায়েতে এলাকা থেকে বাছাই করা কয়েকজন দলীয় নেতা-কর্মীকে নিয়ে গড়েন বিশেষ গ্যাং। সেই গ্যাংয়ের সদস্যদের কেউ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সদস্য, কেউ ঠিকাদার, আবার কেউ জমির দালাল। সরকারি পতিত জমি চিহ্নিত করা, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে জমির নথি বের করার পর তৈরি করা হতো দখলের ‘ব্লু-প্রিন্ট’। সেই তালিকায় সাহু নদীর চর, খাস জমি, আবাসন দপ্তর এবং এসজেডিএ’র জমি রয়েছে। অভিযোগ, জাল নথি বানিয়ে দখল হয়ে যেত সরকারি জমি। পরে প্লট করে তা মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করা হতো।
শুধু সরকারি জমি নয়, পতিত বেসরকারি জমিও ছিল দেবাশিসের নজরে। দলের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে জমির মালিককে ভয় দেখিয়ে পতিত জমি দখল করা হতো বলে অভিযোগ। তাতে গ্রামের লোক বসিয়ে দেওয়া হতো কিংবা জমি তুলে দেওয়া হতো প্রোমোটারের হাতে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ঠাকুরনগর, মধ্যহাতিয়াডাঙা, জলডুমুর, বিন্নাবাড়ি, পোড়াঝাড় প্রভৃতি এলাকাতেই ছিল দেবাশিসের লোকেদের দাপট। তৃণমূলের ঝান্ডা সামনে রেখে গ্যাংয়ের সদস্যরা গ্রামে গ্রামে সমান্তরাল প্রশাসন গড়ে তুলে ছিল। এদের সঙ্গে পুলিস ও প্রশাসনের একাংশেরও ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
গত মঙ্গলবার অবশেষে দেবাশিসের বিরুদ্ধে এনজেপি থানায় অভিযোগ করেন পাঘালুপাড়ার এক মহিলা। তার ভিত্তিতেই বুধবার ওই তৃণমূল নেতা ও তার দুই শাগরেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। আদালতের নির্দেশে ধৃতরা আপাতত পুলিস হেফাজতে। পুলিস সূত্রের খবর, পাঘালুপাড়ার ওই মহিলা মোট সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। যার মধ্যে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি চার জন গা ডাকা দিয়েছেন। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। তারাও বেআইনি জমি কারবারের সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যে ল্যান্ড মাফিয়াদের একটি নামের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। আপাতত ওই মাফিয়ারাই পুলিসের আতস কাচের নীচে রয়েছে।