বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
২০১২ সালে জিটিএ গঠিত হয়। এবার জিটিএ’র কাজকর্ম পুনঃমূল্যায়ন করতে বৈঠক তলব করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আগামী ৭ আগস্ট দিল্লির নর্থ ব্লকে ওই বৈঠক হবে। ইতিমধ্যে এব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক, জিটিএ’র প্রধান সচিব, জিটিএ’র প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চর সভাপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওই চিঠি হাতে পাওয়ার পরই বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জিটিএ’র প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান। এদিন তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, জিটিএ’র জন্য রাজ্য সরকার রয়েছে। কাজেই, জিটিএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই রিভিউ মিটিংয়ে যাব না। তবে, গোর্খাল্যান্ড এবং রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকলে অবশ্যই যাব। এরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে গলা চড়িয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পাহাড় দখলে রেখেছে বিজেপি। কিন্তু পাহাড়বাসীর জন্য ওরা কিছুই করেনি। পাহাড়বাসীর জন্য ওদের কোনও দরদ নেই। তারা পাহাড়বাসীকে ধোঁকা দিয়েছে।
এদিকে, করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিনয় তামাং। ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে তিনিও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ১০৪ দিন বনধ্ চলার পর কেন্দ্রীয় সরকার গোর্খাল্যান্ড নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তা এখনও পর্যন্ত হয়নি। বিজেপি পাহাড়ে ডিভাইড অ্যান্ড রুল চালু করেছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাতেও ওরা ভাঙন ধরিয়েছে। পাহাড়বাসীকে বিজেপি ধোঁকা দিয়েছে। জিটিএ নিয়ে ডাকা ওই মিটিং আসলে একধরনের ধোঁকা। তাই ওই মিটিংয়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তবে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে মিটিং হলে যেতাম।
বিধানসভা ভোটের আগে জিটিএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যালোচনার উদ্যোগ যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ। কেবলমাত্র তাই নয়, ওই মিটিংয়ের আমন্ত্রণপত্র বিমল গুরুংপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কোনও নেতাকে না দেওয়ায় জল্পনা আরও বেড়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, বিধানসভা ভোটের মুখে পাহাড় নিয়ে নতুন কোনও রণকৌশল তৈরি করছে বিজেপি। সম্ভবত সেজন্যই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এব্যাপারে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি বিজেপির দার্জিলিং সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি মনোজ দেওয়ানের।