সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
চিঠিতে ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বরের নির্দেশিকার উল্লেখ করে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নির্দেশকে মান্যতা না দেওয়া সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ দু’বছর পরেও আসছে। দেশের যেসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ১০ জন কর্মী থাকেন, সেই সংস্থাগুলি ইএসআইয়ের অধীন হয়। শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে যিনি মাসে সর্বোচ্চ ২১ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান, তিনি সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি ইএসআইয়ের আওতায় থাকেন। সরকারি সূত্রের খবর, দেশের বিভিন্ন ইএসআই হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে সরব হচ্ছে এই গ্রাহকদেরই একটি অংশ। কী বলা হয়েছিল ইএসআই-এর উল্লিখিত নির্দেশিকায়? জানা যাচ্ছে, সেখানে বলা হয়েছিল যে, অনেক সময়ই ইএসআই হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের ওষুধ সংগ্রহের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় ইএসআই ডিসপেনসারিতে। যাঁরা অসুস্থ, তাঁদের জন্য এই বন্দোবস্ত করা অত্যন্ত সমস্যার। আর সেই লক্ষ্যেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এই সংক্রান্ত চার দফা নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ১) ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসকরা যে ওষুধ যতদিনের জন্য রোগীকে প্রেসক্রাইব করবেন, তা যাতে হাসপাতাল ফার্মেসি থেকেই রোগী সংগ্রহ করতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের ওষুধ দেওয়া যাবে। ২) যদি রোগীকে পরীক্ষা করে চিকিৎসক ৩০ দিনের বেশি সময়ের ওষুধ দেন, তাহলে ৩০ দিনের পর ওই রোগী কোনও ইএসআই ডিসপেনসারি থেকে ওষুধ সংগ্রহ করতে পারবেন। ৩) যদিও এক্ষেত্রে যদি সেই রোগী ফের হাসপাতালেই আসেন, তাহলে তাঁকে ফের সর্বোচ্চ ৩০ দিনের ওষুধ দেওয়া যাবে। এবং ৪) ইএসআই গ্রাহক রোগীর এই সংক্রান্ত তথ্য তাঁর হেলথ পাসবুকে অথবা ওপিডি প্রেসক্রিপশনে নথিভুক্ত করতে হবে। এই নির্দেশিকাগুলিই এবার কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য ইএসআই হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগম।