কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
রাজ্যের ৫৭৪টি থানার ক্যামেরা বদলে ফেলার জন্য সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে। কারণ হিসেবে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ওই ক্যামেরাগুলিতে স্টোরেজ রয়েছে মাত্র একমাসের। এছাড়া সেগুলির নাইট ভিশন নেই। সর্বোপরি ক্যামেরাগুলি প্রযুক্তিগত দিক থেকেও পিছিয়ে রয়েছে।
রাজ্য এই প্রকল্পে কাজ করার জন্য পাঁচবছর আগে টাকার দাবিসহ আবেদন করে। তার ভিত্তিতে এই আধুনিকীকরণে তহবিলে ৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। তাই দিয়ে ১২০টি থনায় চার হাজার ক্যামেরা বসানো হয়। দিল্লির বরাদ্দ টাকার পুরোটারই সদ্ব্যবহার করা হয় এই কাজে। ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (ইউসি) সহ টাকা খরচের পুরো নথি যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে টাকা চাওয়া হয়। রাজ্য পুলিস সূত্রের খবর, ২০২০ থেকে ২০২৪-এর জুন পর্যন্ত মোদি সরকার এই টাকা দেওয়ার প্রশ্নে কোনও উচ্চবাচ্যই করেনি। টাকা কেন দিচ্ছে না তারা, তাও জানাচ্ছে না দিল্লি। রাজ্য ইউসি দেয়নি, এবার এমন অভিযোগও তুলতে পারছে না কেন্দ্র। টাকা চেয়ে রাজ্যের তরফে বারবার যোগাযোগের পরেও বিষয়টি নিয়ে নীরবই রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। উল্টে তারা নানাভাবে অসহযোগিতাও করছে বলে রাজ্যের অভিযোগ।
অথচ, দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশের উপযোগী করে কাজ দ্রুত শেষ করতে চায় রাজ্য। নবান্ন সূত্রের খবর, ১১০টি থানায় অত্যাধুনিক এই ক্যামেরা বসানোর কাজ হাতে নিয়েছে পুলিস। প্রতি থানায় ২০টি ক্যামেরা লাগানো হবে। থানায় ঢোকা-বেরনো, তদন্তকারী অফিসারদের ঘর, লক-আপ সমস্তটাই কভার করার উপযুক্ত ক্যামেরা বসবে। সব মিলিয়ে বসানো হবে নাইট ভিশন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আড়াই হাজার ক্যামেরা। এজন্য খরচ পড়বে আনুমানিক ৩৮ কোটি টাকা। সেই টাকা চেয়েই কয়েকদিন আগে নবান্ন থেকে চিঠি গিয়েছে দিল্লিতে। কিন্তু জবাবে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানায়নি তারা। তবে, মোদি সরকার টাকা দিতে না চাইলে শেষমেশ রাজ্য নিজের টাকাতেও যাতে এই জরুরি কাজটি করতে পারে তার জন্য বিকল্পভাবে প্রস্তুত হচ্ছে নবান্ন।