কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোট মিটতেই বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও জনমুখী করতে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক বৈঠক সেরে ফেলেছেন তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী থেকে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কাজকর্মের প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, নিজের স্বার্থে নয়, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। প্রোমোটারি বা সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকলে যে তৃণমূল করা যাবে না, এই বার্তাও আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এই আবহে প্রোমোটারদের ভূমিকা ও কার্যকলাপ প্রশাসনের আতস কাচের তলায় ফেলতে চাইছে সরকার।
৪ জুলাইয়ের প্রস্তাবিত বৈঠক নিয়ে রাজ্যের উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘কলকাতা ও আশপাশের শহরাঞ্চলে ফ্ল্যাট-বাড়ির রমরমা। এগুলি নিয়ে প্রচুর অভিযোগ আসছে। বেশ কিছু লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে দপ্তরে। এসব অভিযোগের সমাধান করতে নির্মাণকারীদের সংস্থা ‘ক্রেডাই’-কে ডাকা হয়েছে। তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য, মানুষ যেন কোনওভাবে দুর্ভোগের শিকার না হন।’
‘প্রোমোটার-রাজ’ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ঘটনা সংবাদ শিরোনামে এসেছে। প্রোমোটারদের দাদাগিরি, দখলদারি, ফ্ল্যাট আটকে রাখা সহ নানা অভিযোগ আকাছার শোনা যায়। তাছাড়া নিম্নমানের ফ্ল্যাট দেওয়া, রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক মতো না করার বহুবিধ অভিযোগ রয়েছে। সমস্ত সমস্যাই বিস্তারিত আলোচনা হবে বৈঠকে। এমন অভিযোগও এসেছে, যেখানে প্রস্তাবিত বিল্ডিংয়ের অর্ধেক নির্মাণ করে প্রোমাটাররা টালবাহানা করছেন। কাজ আর এগচ্ছে না। নির্মীয়মাণ অবস্থায় পড়ে থাকছে বিল্ডিং। এই সুযোগে এসব অর্ধনির্মিত বিল্ডিংয়ে বাড়ছে অসাধু কারবারীদের রমরমা। ভুক্তভোগীদের একাধিক মামলা ঝুলে রয়েছে। যাবতীয় পরিস্থিতি এবার কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে বলেই দাবি দপ্তরের আধিকারিকদের।