কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
শিলিগুড়ির আঠেরোখাইতে উত্তরবঙ্গ উৎসবের সূচনা করে উদ্বোধনী ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভেবেছিলাম, এনপিআর জনসুমারি (সেন্সাস) সংক্রান্ত একটা প্রক্রিয়া। কিন্তু দেখলাম, সাঙ্ঘাতিক একটা কলাম রয়েছে সেখানে। যেখানে জানতে চাওয়া হচ্ছে, বাবা-মা’র জন্মস্থান কোথায়? কী তাঁদের জন্মতারিখ? মমতার খেদোক্তি, কতজন এই তথ্য বলতে পারবেন, দিতে পারবেন? আমি তো পারব না। কোথায় পাব কাগজপত্র? কতজনই বা জোগাড় করতে পারবেন? তা বলে কি তাঁরা দেশের নাগরিক নন? তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, যে বা যাঁরা এনপিআর বৈঠকে গিয়েছিলেন, সেই অবিজেপি রাজ্যগুলিকে বলছি, আবার ভাবুন, প্রতিবাদ করুন। বিজেপি এখন বলছে, এনপিআর-এ বাবা-মা’র জন্মস্থান ও জন্মতারিখ সংক্রান্ত কলামটি বাধ্যতামূলক নয়। যদি তা না-ই হয়, তবে এখনও সেটা রেখেছ কেন? এরপরই মমতা বলেন, পাঁচটা-সাতটা বিষয়ের নম্বর নিয়ে মার্কশিট সম্পূর্ণ হয়। মার্কশিটে যদি একটি বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বরের কোনও উল্লেখ না থাকে, সেটা তো অসম্পূর্ণ, ইনকমপ্লিট! তাঁর আশঙ্কা, এনপিআর-এর ক্ষেত্রেও তাই হবে। বাবা-মা’র জন্মস্থান আর জন্মতারিখ সংক্রান্ত কলাম অসম্পূর্ণ থাকলে, সংশ্লিষ্ট নাগরিককে রাখা হবে সন্দেহের তালিকায়। তাঁর দাবি, যদি কোনও গুরুত্বই না থাকে, তবে প্রত্যাহার কর ওই কলাম। একমাত্র তাহলেই আমি বুঝব। তার আগে যে খুশি বোঝে বুঝুক, আমি বুঝব না।
সিএএ, এনআরসি ইস্যুতে মমতার ধারাবাহিক আন্দোলনকে সমর্থন করে বিবৃতি এসেছে অবিজেপি বিভিন্ন দলের তরফে। এমনকী সাহচর্যের অঙ্গীকার করেছেন বেশ কয়েকজন সর্বভারতীয় নেতা-নেত্রী। বিজেপি-বিরোধী এই আবর্তে সিপিএম পরিচালিত কেরল সরকার এনপিআর করা হবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে মমতার পথেই হাঁটতে শুরু করে। কিন্তু এনপিআর বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠায় তারা। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস পরিচালিত বেশ কয়েকটি রাজ্যের প্রতিনিধিও। সেই প্রসঙ্গে কারও নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, অনেকে অনেক কথা বললেন, আবার মিটিংয়ে চলেও গেলেন। সবাই গেলেও, আমি যাইনি। যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে। একাই প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। মমতার দৃপ্ত বার্তা, বাংলার মানুষকে একটাই কথা বলতে চাই। আমি শুধু ভোটের সময়ের পাহারাদার নই। আমি ৩৬৫ দিনই পুরো ২৪ ঘণ্টার পাহারাদার। আমি থাকতে, আপনাদের কেউ ছুঁতে পারবে না। ছবি: রবি ভট্টাচার্য