কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
বহুদিন ধরেই প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণীকে প্রাথমিকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিচ্ছিল সরকার। এবছর থেকে হবে, তা নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু হয়। তবে শেষবেলায় পরিকাঠামোর দোহাই দিয়ে খোদ শিক্ষামন্ত্রীই সংশয় প্রকাশ করেন। কিন্তু শেষমেশ প্রায় ১৮ হাজার স্কুলকে চিহ্নিত করা হয়, যেখানে এই ক্লাস চালু করা যাবে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কত স্কুলে তা চালু হল, তা নিয়ে চলতি মাসেই একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে জেলা পরিদর্শকদের থেকে সংগৃহীত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ১৫ হাজারের কিছু বেশি স্কুলে উচ্চ প্রাথমিক থেকে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকিগুলিতে করা যায়নি। তবে সেই তালিকায় কলকাতার কোনও স্কুল নেই বলেই খবর।
কেন হল না? দপ্তরের কর্তারা বলছেন, কোন স্কুলে এমন হবে, তা পুরোটাই ঠিক করা হয়েছিল পরিকাঠামোকে দেখে। ইউ-ডাইস নামক কেন্দ্রীয় পোর্টালে প্রতি স্কুলকেই বিস্তারিত তথ্য দিতে হয়। ক্লাসরুমের সংখ্যা থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা আছে কি না, সব জানাতে হয়। তাই সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সব স্কুলে বাড়তি ক্লাসরুম রয়েছে, সেগুলিকেই চিহ্নিতকরণ করা হয়েছিল। অথচ, দেখা যাচ্ছে বহু স্কুলের রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তবে মিল নেই। আর তাতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন দপ্তরের কর্তারা। এক আধিকারিকের কথায়, বহু স্কুলই এই ডাইস ফর্ম পূরণের ক্ষেত্রে গাফিলতি করেছে। যাকে তাকে দিয়ে তা করানো হয়েছে। ফলে কে কী লিখল, তার সঙ্গে আদৌ বাস্তবে মিল আছে কি না, বোঝা যাচ্ছে না। রিপোর্ট মোতাবেক স্কুলগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরে ডিআই’রা যখন সেখানে যাচ্ছেন, দেখা যাচ্ছে ক্লাসরুম নেই অথবা শিক্ষক নেই। এই অবস্থায় তো আর নতুন ক্লাস শুরু করা যায় না।
এদিকে, এই নয়া প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকেই কিছু কিছু স্কুলে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। কোথাও চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হতে গেলে স্কুল সমস্যা করছিল, কোথাও আবার ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করছিল। তবে যে স্কুলগুলিতে এই পঞ্চম শ্রেণী শুরু করা গেল না, তার কারণগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীদিনে আরও বেশি সতর্ক হবেন দপ্তরের কর্তারা, এমনই মত শিক্ষামহলের।