কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
টেন্ডার ডাকার ক্ষেত্রে আর্থিক মাপকাঠি কয়েক বছর আগেই অর্থদপ্তর নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। ২০১৪ সালে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয় এক থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূল্যের কোনও প্রকল্প বা কাজের ক্ষেত্রে টেন্ডার ডাকতেই হবে। প্রকল্পের মূল্য পাঁচ থেকে দশ লক্ষ টাকা হলে ই-টেন্ডার ডাকার কথা বলা হয়। ১০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল ও ফিনান্সিয়াল বিড ডাকতে বলা হয় ওই নির্দেশে।
কিভাবে টেন্ডার ডাকতে হবে সেটাও বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয় ওই নির্দেশিকায়। এক থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূল্যের কাজের টেন্ডার নোটিস অফিসের নোটিস বোর্ডে দিতে হবে। একটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। দপ্তর বা সংস্থার ওয়েবসাইটে ওই টেন্ডারের উল্লেখ থাকবে। পাঁচ লক্ষ থেকে দশ লক্ষ টাকা মূল্যের কাজের ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ পোর্টালে নোটিস দিতে হবে। তার সঙ্গে সংবাদপত্রেও বিজ্ঞাপন দিতে হবে। ই-টেন্ডারের ক্ষেত্রে পোর্টালের মাধ্যমে টেন্ডার জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়। কোনও টেন্ডারের ক্ষেত্রে একাধিক সাড়া না আসে তাহলে নতুন করে টেন্ডার ডাকতে হয়।
সরকারি সূত্রে খবর, এক লক্ষ টাকার কম মূল্যের কাজ বা কেনাকাটার ক্ষেত্রেও সরকারি নিয়ম আছে। ৫০০ টাকার বেশি মূল্যের কাজ বা কেনাকাটা করতে গেলেই একাধিক সংস্থার কাছ থেকে ‘কোটেশন’ নেওয়ার নিয়ম আছে। সব থেকে কম কোটেশন যারা দেবে তারাই বরাত পাবে। শুধু ৫০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যের কাজের ক্ষেত্রে সরাসরি খরচ করার অধিকার দপ্তর বা সরকারি সংস্থার আছে।
এদিকে অর্থদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেওয়ার প্রবণতা বন্ধের জন্য পৃথক একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। অর্থদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রশাসনিক দপ্তরগুলি অর্থদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই অনেক ক্ষেত্রে কাজ শুরু করে দিচ্ছে। কাজ শুরু হওয়ার পর অর্থদপ্তরের অনুমোদন চাওয়া হচ্ছে। এই ধরনের অনুমোদন আর দেওয়ার নিয়ম নেই বলে জানানো হয়েছে। যেসব কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে সেগুলি বিশেষভাবে খতিয়ে না দেখা পর্যন্ত কোনও টাকা দেওয়া যে হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।