কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
দিন কয়েক আগেও হাল্কা শীতের আমেজে মুড়েছিল শহর। দিনের বেলা চড়া রোদে কষ্ট হলেও, ভোর বা রাতের দিকে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছিল। সোমবার থেকে সেটাও উধাও। কেন হল এমন অবস্থা? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তর ভারতে জাঁকিয়ে শীত পড়লে, তা উত্তর-পশ্চিমা বায়ু বয়ে নিয়ে আসে এই রাজ্যে। হিমাচল বা কাশ্মীরে এখন শীতের অবস্থা ভালো। কিন্তু তা নামতে পারছে না দেশের এই পূর্ব প্রান্তে। এর মূল কারণ পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। শীত রুখে দিতে এই প্রাকৃতিক ঘটনাটির জুড়ি নেই। যখনই উত্তর ভারতের উপর দিয়ে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বয়ে যায়, তা রুখে দেয় শীত। এই ঝঞ্ঝাগুলির মাঝের বিরতির মধ্যেই রাজ্যে চলে আসে ঠান্ডা হাওয়া। এবার সেই ঝঞ্ঝা এত ঘনঘন আবির্ভূত হচ্ছে, তার ফাঁক গলে উত্তুরে হাওয়া বইতে পারছে না, এমনটাই বলছেন আবহাওয়াবিদরা। সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। মধ্য ভারতে একটি ঘূর্ণাবর্তের আগমন এখানেও হাল্কা জলীয় বাষ্প টেনে আনছে। ফলে শীত ভাব কমে গিয়ে গরম অনুভূত হচ্ছে, জানাচ্ছেন তাঁরা। আপাতত পরিস্থিতি এমনটাই চলবে, মত আবহাওয়াবিদদের। পাশাপাশি তাঁরা বলছেন, গত কয়েক বছরে নভেম্বরের শেষের দিকে তাপমাত্রা আরও একটু নেমেছিল ঠিকই। কিন্তু তা নিতান্তই ভাগ্যের ফের। কারণ, এই সময় কলকাতায় যে তাপমাত্রা চলছে, তা প্রায় স্বাভাবিক বা তার চেয়ে সামান্য বেশি। কনকনে শীতের জন্য তাই ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা না করে উপায় নেই।
মঙ্গলবার শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রাও বেড়ে ২৯.৯ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। জেলাতেও যে পারদ খুব একটা কমেছে, তা নয়। দক্ষিণবঙ্গের আসানসোল বা শ্রীনিকেতনের মতো জায়গায় যেখানে তাপমাত্রা বেশি নামে, সেখানেও সর্বনিম্ন পারদ ১৭ ডিগ্রি বা তার আশপাশে ঘোরাঘুরি করেছে। বহরমপুরে তা ১৬ ডিগ্রির কাছাকাছি রয়েছে। উত্তরবঙ্গের মধ্যে দার্জিলিংয়ে পারদ নামছে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আগামী দিন চারেক পরিস্থিতি এমনটাই থাকবে। রাজ্যের সর্বত্রই মনের মতো শীত পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।