কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
সূত্রের খবর, মারধরে গুরুতর জখম ইরশাদের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই কেকের দোকানের হার্ডডিস্ক থেকে সিসিটিভির ফুটেজ মুছে দেয় হস্টেলের তিন আবাসিক। দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে উদয়ন হস্টেলের আবাসিকদের ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়েই এই কাজ করা হয়েছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। টিভি মেকানিক ইরশাদ আলমের মালিক মহম্মদ ইমরানের ফোন পেয়ে বউবাজার থানার পুলিস উদয়ন হস্টেলে গিয়েছিল তাঁকে উদ্ধার করতে। কিন্তু সেখানে প্রায় ৪৫ মিনিট তাদের ঢুকতেই দেননি আবাসিকরা। গেট তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
পুলিস তদন্তে আরও জানতে পেরেছে, কফি আনতে গিয়ে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটে ইতস্তত ঘোরাঘুরি করা ইরশাদকে অপহরণ এবং হস্টেলের ভিতরে ক্রিকেট ব্যাট, লাঠি, বাটাম দিয়ে মারধরের মূল হোতা হস্টেলের দুই প্রাক্তন আবাসিক। শুক্রবার দুপুর থেকে ধৃত ১৪ জনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জেনেছে পুলিস। উল্লেখ্য, এই দুই প্রাক্তন আবাসিকের মধ্যে একজনের মোবাইল ২৭ জুন হস্টেল থেকে চুরি হয় বলে অভিযোগ।
শনিবার দুপুরে কলকাতা পুলিস মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রবল মানসিক চাপের মুখে অত্যধিক মারধরের ফলে ‘হাইপোভলেমিক শক’-এর জেরে মৃত্যু হয়েছে ইরশাদের। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তাঁর পায়ের হাড় ভাঙা ছিল। হাতের একটি আঙুলও ভাঙা ছিল। চিকিৎসকের অনুমান, উন্মত্ত আবাসিকদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে হাত এগিয়ে দিলে মারের চোটে তাঁর একটি আঙুল ভেঙে যায়।