নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও সংবাদদাতা, বনগাঁ: বাগদায় উপ নির্বাচন ১০ জুলাই। এই উপলক্ষ্যে শনিবার বাগদার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারের ঝড় তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন হেলেঞ্চায় সভা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ দাস প্রমুখ। সভায় রাজ্য সভাপতি কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, পঞ্চায়েতে নিজের বুথ, অঞ্চলে হারবো, অথচ পদ বজায় রাখব– এবার সেটা হবে না। বাগদার বিধানসভার ১২টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টি দখলে রয়েছে তৃণমূলের। বাকি তিনটি বিজেপির। সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বাগদায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন মধুপর্ণা ঠাকুর। তাই প্রার্থীকে নিয়ে বাগদার মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের প্রচার করতে হবে। কোথাও খামতি রাখা চলবে না। কোনও অভিযোগ, অভিমান থাকলে আমার অফিসে এসে জানান। নিশ্চিত সমাধান হবে।
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ঘরে ঘটিবাটি একসঙ্গে থাকলে ঠোকাঠুকি হয়। তাই বলে আমরা সেগুলি ফেলে দিই না। আমরা দলের সকলে মিলে একজোট হয়ে লড়াই করব। আর এই আসন আমরা জিতবই। অন্যদিকে, সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, কোনও বুথে আমাদের পরাজয় হলে সেই বুথে উন্নয়ন থমকে যাবে। এরপরেই কর্মীদের সতর্ক করে নারায়ণবাবু বলেন, শ্রমিক সংগঠনের কিছু নেতা বাগদায় টোটো, অটো থেকে টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছে। ওই নেতাদের সতর্ক করে ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। সমস্যা সমাধান না হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উন্নয়ন বন্ধ নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে নারায়ণবাবু সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এটা দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনা। নেতারা যাতে বাড়ি বাড়ি যান, প্রচারে গাফিলতি না রাখেন, সে ব্যাপারে তাঁদের উৎসাহিত করতেই এই মন্তব্য। এর পিছনে অন্য অর্থ খোঁজা বোকামি।