নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার পর রাজ্যজুড়ে এনিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই আবহে সুভাষগ্রামে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালের পাঁচিল ঘেঁষে সারি দিয়ে একের পর এক দোকান গড়ে ওঠা চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ছ’-সাতমাসের মধ্যে স্থানীয় নেতাদের মদতেই তৈরি হয়েছে কংক্রিটের কাঠামোর এই দোকানগুলি। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন এই জায়গার অবৈধ দোকানগুলি ভেঙে দেওয়ার জন্য কোনও উদ্যোগ এতদিন দেখা যায়নি। সম্প্রতি নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকই যেন ওষুধের মতো কাজ করল। শনিবার সকালে পুরসভার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সোমবারের মধ্যে সমস্ত দোকান তুলে নিতে হবে। না হলে তারাই সেই কাজ করবে। এই বার্তা পাওয়ার কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, মালিকরা নিজেদের দোকান তুলে নিতে শুরু করেছেন। পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস বলেন, ‘কোনওরকম বেআইনি কাজ আমরা বরদাস্ত করব না। ওই ব্যবসায়ীদের তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এরপর পুরসভা নিজেই তাদের তুলে দিতে নামবে।’ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এলাকার কিছু নেতা লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময় ওই দোকানগুলি বসানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে কিছু দোকান চালু হয়ে গেলেও বেশ কিছু এখনও শুরু হয়নি। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির সহ সম্পাদক তথা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শিবানী ঘোষের ছেলে রাণা ঘোষ। তিনি বলেন, ‘কোথাও টাকা নিয়ে দোকান বসানো হয়নি। সেটা কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমার মা পদত্যাগ করবে।’
তবে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের প্রশ্ন, পুরসভা কি এই অবৈধ দোকানগুলির খবর জানত না? আগে চুপ করে থাকলেও কেন মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর পুরসভা সক্রিয় হল? হাসপাতালের পাঁচিল ঘেঁষে থাকা দোকানগুলি ভাঙা হলেও আরেক দিকে যেসব পুরনো দোকান ছিল, সেগুলি নিয়ে কোনও আপত্তি ওঠেনি। এনিয়েও ব্যবসায়ীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছে। এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন হবে, প্রশ্ন তাঁদের।