নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: রাস্তা, ফুটপাত ও সরকারি জমি থেকে জবরদখল হটানো নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য। দখলদারদের সরাতে পুরসভাগুলি অভিযান চালাচ্ছে। বৈদ্যবাটি পুরসভা এলাকায় একটি জায়গায় জবরদখলের পদ্ধতি দেখে কার্যত চোখ কপালে উঠেছে পুরকর্তাদের। নয়ানজুলির উপর রীতিমতো কংক্রিটের স্থায়ী নির্মাণ তুলে দেওয়া হয়েছে এখানে। তাতে নিকাশি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং গোটা এলাকার জল নিষ্কাশন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। কারণ, মাটি ফেলে বুজিয়ে ফেলা হয়েছে নয়ানজুলি। পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে শনিবার সেখানে পরিদর্শন করেন পুরসভার কর্তারা। বৈদ্যবাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই জায়গাটি দিল্লি রোডের ঠিক পাশে। রাস্তার ধারে পূর্তদপ্তরের জমিতে সরু পাইপ বসিয়ে তার উপর মাটি ফেলে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে নয়ানজুলি। উপরে মাথা তুলেছে কংক্রিটের স্থায়ী নির্মাণ। খাবার হোটেল থেকে বিভিন্ন দোকান চলছে সেখানে। এই কারণে বিস্তীর্ণ এলাকার জল বেরতে পারছে না বলে অভিযোগ। চলতি বর্ষায় একাধিক ওয়ার্ড দিনের পর দিন জলমগ্ন থাকছে। শনিবার বৈদ্যবাটি পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নোডাল ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা জায়গাটি পরিদর্শন করেন। পুরসভার আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুণ্ডু বলেন, ‘বৈদ্যবাটি শহরে দেড় লক্ষাধিক মানুষের বাস। জবরদখলের কারণে নিকাশি ব্যবস্থা সঙ্কটে। দিল্লি রোড অথবা জি টি রোডের পাশে বহু জায়গা এভাবে দখল হয়ে গিয়েছে। আমরা একে একে সেগুলি চিহ্নিত করছি। বেআইনি দখলদারদের নোটিশ পাঠানো হবে। বিষয়টি জানানো হবে পূর্তদপ্তরকেও।’
তাঁর সংযোজন, ‘বর্ষার সময় এলাকার নিকাশিগুলি সাফাই হলেও বৃষ্টি হলে সেখান দিয়ে জল যাচ্ছে না। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, নয়ানজুলি মাটি ফেলে বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। মাথা তুলেছে বেআইনি নির্মাণ।’ ওই জায়গায় চলা একটি হোটেলের মালিক সঞ্জু সর্দার কার্যত মেনে নিয়েছেন অনিয়মের কথা। তিনি বলেন, ‘পুরসভার আধিকারিকরা এসে দেখে গিয়েছেন। এখন পুরসভা যা বলবে, সেটাই করব।’ পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাত বলেন, ‘আমরা পূর্তদপ্তরকে বিষয়গুলি জানাচ্ছি। কোথায় এমন দখলদারি রয়েছে, খোঁজা হচ্ছে।’