কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
সূত্রের খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশন ২০২২ সালের ১৯ মে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধি শিক্ষাদপ্তরকে জমা দিয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের বিধি আগস্টে এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের বিধি নভেম্বরে জমা দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধি নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে দপ্তরে। বেশ কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে, নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ কমিশনকে দেওয়া হয়নি। বিধি তৈরির সময় প্রাথমিক হিসেব ছিল প্রায় আড়াই হাজার শূন্যপদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তবে, দু’বছরে সেই সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত। তবে, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের বিধি নিয়ে কোনও প্রাথমিক সমস্যাও ছিল না। তাহলে কেন এই দেরি, তার সদুত্তর মিলছে না বিকাশ ভবনেও।
কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘এই ক’বছরে আমরা শুধু নেতিবাচক কারণেই খবরের শিরোনামে থেকেছি। অন্তত একটা নিয়োগ করা গেলে কিছু ইতিবাচক করা হতো। কেন এ নিয়ে দপ্তর এগচ্ছে না, তা বুঝতে পারছি না।’ প্রসঙ্গত, আদালতের চাপে রাজ্য সরকার এখন স্কুলে স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগের দিকে জোর দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। প্রাথমিকে ২ হাজার ৭১৫ জন এবং মাধ্যমিক স্তরে ২ হাজার ৫৮৩ জন স্পেশাল এডুকেটর প্রথম ধাপে নিয়োগ হওয়ার কথা। তা নিয়ে জোর বৈঠক চলছে দপ্তরের শীর্ষকর্তা, অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রমুখের মধ্যে। তবে, ইতিবাচক কোনও ঘোষণা এখনও হয়নি। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য এই স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগের ব্যাপারে আদালত কড়া অবস্থান নিয়েছে। তবে, এ ধরনের চাকরিপ্রার্থীদের নেতা তুলসী সামন্ত বলেন, ‘এই নিয়োগ খুব একটা সহজ হবে না। এর যোগ্যতা সম্পর্কিত রূপরেখা, প্রাপ্য বেতন ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা এবং শূন্যপদের হিসেব সুপ্রিম কোর্টই ঠিক করে দেবে।’ এই পরিস্থিতি হলে কিছু সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করে যে শিক্ষাদপ্তর জনমানসে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, সে সম্ভাবনাও নেই।