গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটে হুগলি আসনটি হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। তৃণমূলের প্রার্থী রত্না দে নাগকে পরাজিত করেছিলেন বিজেপি’র লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে দুই তারকা প্রার্থীর লড়াই। একদিকে লকেট, অন্যদিকে তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কৃষি বাঁচিয়ে শিল্প গড়ার তাগিদে সিঙ্গুরের ভোটাররা এখনও আশায় দিন গুনছেন। ভোট দিয়ে বুথ থেকে বেরনোর পর সিঙ্গুরের গাজিপুরের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব কৃষ্ণ কোলে বলেন, সিঙ্গুর নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছে। আমরাও চেয়েছিলাম, সিঙ্গুরে শিল্প হোক, সঙ্গে থাকুক কৃষি। গতবার লকেট চট্টোপাধ্যায় জেতার পর আমরা ভেবেছিলাম এবার হয়তো শিল্প আসবে সিঙ্গুরে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে আশাহত হয়েছি আমরা। এবারও বিজেপি প্রার্থী ভোটের আগে আশ্বাস দিয়েছেন, জিতলে শিল্প হবে। আমরা সিঙ্গুরের মানুষ এখনও স্বপ্ন দেখি, এখানে বড় শিল্প তৈরি হবে।
সিঙ্গুর জমি আন্দোলন নেতা অমিয় ধারা বলেন, গোপালনগর, কামারকুণ্ডু, বেড়াবেড়ি এই তিনটি পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামকে নিয়েই সিঙ্গুর আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। গতবার লকেটদেবী ভোটের আগে এইসব এলাকায় এসে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। এবার একটি এলাকা বাদে তিনি আর কোথাও ঢুকতে পারেননি। মানুষ তাঁর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বুঝে গিয়েছে।
২০০৬ সালের ১৮ মে এক প্রেস বিবৃতিতে টাটা গোষ্ঠী জানিয়েছিল, সিঙ্গুরে তারা ১ লাখি ন্যানো মোটর গাড়ির কারখানা গড়বে। ৩১ মে রাজ্য মন্ত্রিসভা সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রতিবাদে শুরু হয় কৃষক আন্দোলন। পরবর্তীকালে ২০০৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর টাটা গোষ্ঠী এক প্রেস বিবৃতিতে জানায়, তারা সিঙ্গুর প্রকল্প সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে। ৩ অক্টোবর রতন টাটা প্রেস কনফারেন্স করে সিঙ্গুরে কারখানা তৈরির পরিকল্পনা বাতিল বলে ঘোষণা করেন। রাজ্য সরকার কৃষিজমি পূর্বাবস্থায় কৃষকদের হাতে ফিরিয়ে দেয়। কিছু জমিতে চাষ শুরু হলেও, বিস্তীর্ণ অংশ পড়ে রয়েছে অনাবাদী হিসেবেই। কেন্দ্রে রয়েছে বিজেপি সরকার, ফলে ২০১৯ সালে নতুন সাংসদ এসে সিঙ্গুরের জন্য কিছু করবে, এমনটাই ভেবেছিলেন সিঙ্গুরবাসী। আশাহত তাঁরা। এবার আবার কৃষির পাশাপাশি নতুন শিল্পের স্বপ্ন নিয়ে সোমবার বুথমুখী হয়েছেন সিঙ্গুরের মানুষ। এদিন সকালে গাজিপুর ডিহি রতনপুর প্রাথমিক স্কুলে ১০৩ নম্বর বুথে ভোট দেন সিঙ্গুর আন্দোলনের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না।