কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
ওই প্লান্টের আরও একটি চুল্লি বাড়ানো সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কল্যাণী মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের সভাগৃহে গত মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, প্লান্টের প্রতিনিধি এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নাগরিকদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্লান্টের নিকটস্থ স্বীকৃত দু’টি বিদ্যালয় ও নিকটতম নার্সিংহোমের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে নাগরিকরা নিজেদের মতামত জানাতে গিয়ে অভিযোগ করে বলেন, ওই বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্লান্ট থেকে নির্গত ধোঁয়ায় মাঝেমধ্যেই দমবন্ধ করা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। ধোঁয়ার পাশাপাশি কটু গন্ধে টেকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বিষয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের কাঁকিনাড়া-পানপুর আঞ্চলিক অফিসের আধিকারিক সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, নাগরিকদের মতামত সহ সমস্ত রিপোর্ট আমরা দিল্লি পাঠাব। সেখান থেকে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, কল্যাণীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর শ্রীমন্ত চক্রবর্তী বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বিধিনিষেধ সঠিকভাবে পালন করতে পারলে বায়োমেডিক্যাল ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট প্লান্ট নিশ্চয়ই চলুক। কিন্তু জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিও অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। আমরা সেটাই চাইছি। এ-ব্লকের অন্য আরেক বাসিন্দা সৌম্য সরকার বলেন, মাঝেমধ্যেই বিশ্রী গন্ধে এলাকা ভরে ওঠে। দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী থাকে ওই গন্ধ। এইভাবে কল্যাণী শহরের মনোরম পরিবেশকে নষ্ট করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্লান্টের এক আধিকারিক বলেন, সঠিক উপায় মেনে কাজ করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে সামান্য দূষণটুকুও না হয়।
জানা গিয়েছে, ওই বেসরকারি বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্লান্টে নদীয়া জেলার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকার নার্সিংহোম, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, গজ, তুলো সহ নানান বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট বা চিকিৎসা বর্জ্য এখানে নিয়ে আসা হয়। এরপর বিশেষ পদ্ধতিতে সেগুলোকে জীবাণুনাশ করে আগুনে পোড়ানো অথবা ডাস্ট তৈরি করে নষ্ট করা হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর থেকেই এলাকায় ছড়াচ্ছে দূষণ। নিজস্ব চিত্র