কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
শ্যামপুর এলাকায় প্রায় দেড়শো ইটভাটা আছে। যশের সময়ে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্রায় সবক’টি ইটভাটাই জলে ডুবে গিয়েছিল। লক্ষ লক্ষ ইট জলে নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি ভাটার চুল্লিতেও জল ঢুকে গিয়েছিল। ফলে ইটভাটার মালিকরা বড় রকম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে সেই ক্ষতি সামলে কিছু ভাটায় নতুন করে ইট তৈরি শুরু হয়। তবে সম্প্রতি অকাল বর্ষণে আবার ক্ষতির মুখে পড়ল ভাটাগুলি। কোথাও ইট তৈরি করে সাজিয়ে রাখা ছিল, আবার কোথাও ইট তৈরির জন্য মাটি প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কিন্তু এই হঠাৎ বর্ষণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে ইটের গড়ন। ফলে সেগুলি আর কাজে লাগানো যাবে না। ইটভাটার মালিকদের বক্তব্য, এইসব ইট ফের জলে ফেলে কাদামাটিতে পরিণত করতে হবে। পরে ফের সেই মাটি দিয়ে আবার নতুন করে ইট তৈরি করতে হবে। এর ফলে একদিকে ইটভাটার মালিকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। পাশাপাশি শ্রমিকরাও বিপাকে পড়েছেন। তাঁদের মতে, ভাটা শুকনো না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কাজ পাবেন না।
ইটভাটার মালিকদের বক্তব্য, যশের সময় প্রতিটি ইটভাটায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষতি যতটা সম্ভব পূরণ করে কিছু ইটভাটায় ফের কাজ শুরু হয়েছিল। ধীরে ধীরে কাজ পাচ্ছিলেন শ্রমিকরাও। কিন্তু অকাল বর্ষণে ফের ক্ষতির মুখে পড়তে হল। শ্যামপুরের বংশীধর দাসের সাতটি ইটভাটা আছে। তার মধ্যে তিনটি চালু করতে পারলেও চারটি চালু করতে পারেননি। তাঁর বক্তব্য, তিনটি ভাটায় আড়াই লক্ষ ইট তৈরি ছিল। বৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়েছে। এইভাবে চললে আগামী দিনে ইটভাটা চালানোই সমস্যার হবে বলে জানান তিনি। অন্য একটি ইটভাটার মালিক অম্লান থান্ডার জানান, প্রায় তিন লক্ষ কাঁচা ইট ছিল। সমস্তই নষ্ট হয়েছে। তা দিয়ে আবার কাদা তৈরি করে নতুন ইট বানাতে হবে। ইটভাটার মালিকদের এই সমস্যা সর্ম্পকে শ্যামপুর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি প্রশান্ত মণ্ডল জানান, শ্যামপুরের অর্থনীতির একটা বিরাট অংশ নির্ভর করে ইটভাটার উপর। বারেবারে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা সমস্যায় পড়ছেন।আমরা ওঁদের পাশে আছি।