কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন, এরকম পাঁচ স্বাধীনতা সংগ্রামীকে পরে ফাঁসিতে ঝোলায় ইংরেজরা। সেই পাঁচজন শহিদ হলেন কানাইলাল দত্ত, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, চারুচন্দ্র বসু, বীরেন্দ্রনাথ দত্তগুপ্ত এবং গোপীনাথ সাহা। এছাড়া ওই জেলেতেই বন্দি ছিলেন আলিপুর বোমা ষড়যন্ত্র মামলার মূল অভিযুক্ত অরবিন্দ ঘোষ। অন্য একটি মামলায় নেতাজি সুভাষকেও এখানে আটকে রাখা হয়েছিল। এই সব সেল সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ১৯৯০ সালে ৩০ জানুয়ারি ওই পাঁচ শহিদের নামাঙ্কিত একটি স্মৃতিফলক সংশোধনাগারের প্রবেশপথে নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই কাজে এগিয়ে এসেছিল বালেশ্বর আত্মোৎসর্গ স্মারক সমিতি। সংস্কার করা হবে সেই স্মৃতিফলকও। একইভাবে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি পাঁচ স্বাধীনতা সংগ্রামীরও ফাঁসি হয়েছিল। তাঁরা হলেন অনন্তহরি মিত্র, প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী, দীনেশ গুপ্ত, রামকৃষ্ণ বিশ্বাস ও দীনেশ মজুমদার। তাঁদের সেই ফাঁসিকাঠ এখানে এখনও আছে। শহিদদের সেলের পাশাপাশি সেই ফাঁসিকাঠ সুরক্ষিত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কারাদপ্তর। এই ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে জানাতে জেলের বাইরে লাগানো হবে একটি ডিসপ্লে বোর্ড। সেখানে বিপ্লবীদের ইতিহাস ও জীবনপঞ্জি থাকবে সংক্ষিপ্ত আকারে। কারাদপ্তর সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিশিষ্টজনের সেল রয়েছে। সেখানে রয়েছে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতিধন্য সেল। হুগলি জেলে কিছুকাল বন্দি ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁদের সেলগুলি সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও নথিপত্র খোঁজা হচ্ছে। যা তথ্য পাওয়া যাবে, তার ভিত্তিতে সব জেলাতেই এই কাজ হবে। কারাদপ্তরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিদ্যাসাগর কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন প্রধান তথা বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ জীবন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা গেলে তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে পর্যটন ও গবেষণার কাজে এই উদ্যোগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সরকারের উদ্যোগ সাধুবাদযোগ্য। তবে ঐতিহাসিক স্থানগুলির সংস্কারের নামে তা যাতে আমূল বদলে ফেলা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।