কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
দুর্ঘটনার যোগসূত্র তিনটি—১) অকেজো স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা, ২) একই লাইনে দু’টি ট্রেন ৩) কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ি, দু’টিকেই একই ফর্মে ছাড়পত্র দেওয়া। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ডিআরএম (কাটিহার) সুরেন্দ্র কুমার এদিন বলেছেন, ‘বজ্রবিদ্যুত্ সহ বৃষ্টিপাতের জন্য সিগন্যালিং ব্যবস্থা বিকল হয়েছিল। তার পরের ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ কোন পথে এগচ্ছে সেই তদন্ত? ইতিমধ্যে চিফ কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিসিআরএস) জনককুমার গর্গ তদন্তে নেমেছেন। ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিভিন্ন নথি। সংশ্লিষ্ট টিএ-৯১২ ফর্মের কপিও হাতে এসেছে সিআরএসের। তদন্তকারী অফিসাররা বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। প্রথমত, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস নিজবাড়ি স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত রাঙাপানি স্টেশন থেকে নড়ার কথা নয় মালগাড়ির। সেটি কীভাবে স্বাভাবিক গতিতে ছুটতে শুরু করল? দ্বিতীয়ত, মালগাড়ির কি আপৎকালীন ব্রেক কষার কোনও সুযোগ ছিল না? তৃতীয়ত, এএস-৬৫৪ ও এএস-৬৫২ সিগন্যালের মধ্যবর্তী লেভেল ক্রসিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী কি রুখতে পারতেন দুর্ঘটনা?
সিসিআরএস এদিন বলেন, ‘তদন্তে সবদিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সমস্ত রেকর্ড সিল করা হয়েছে। তদন্তের পর সবটা বোঝা যাবে।’ এদিন এনজেপিতে সেফটি কমিশনারের অফিসে তদন্ত কমিশন বসেছে। রেল সূত্রে খবর, লোকো পাইলট, অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট, মালগাড়ির ট্রেন ম্যানেজার, পি ম্যান, রাঙাপানি ও চটেরহাট স্টেশনের মাস্টার, সেফটি বিভাগের কর্মী সহ ৩০ জনকে তলব করা হয়েছে। ডিআরএমের (কাটিহার) সঙ্গে কথা বলেছেন সেফটি কমিশনার। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের জিআরপিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী অভিযোগ করেছেন। তাই তদন্তে নামছে রেলপুলিসও। এই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা রুজু করে রেলকে চিঠি দিচ্ছে তারা। জানতে চাওয়া হচ্ছে, রাঙাপানি স্টেশনে কারা দায়িত্বে ছিলেন? মালেগাঁওতে শীঘ্রই ডিআরএম রিপোর্ট পেশ করবেন।