চলবে টাকা 
ভারতীয়দের জন্য সুখবর। দুবাই বিমানবন্দরে ডিউটি ফ্রি শপে কেনাকাটার জন্য ইউরো, ডলারের প্রয়োজন হবে না। টাকাতেই করা যাবে পছন্দের কেনাকাটা। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য গালফ নিউজ’-এ। ১৫টি মূল্য মানের পর ভারতীয় টাকা (ইন্ডিয়ান রুপি) ১৬তম হয়ে কেনাকাটার অগ্রাধিকার পেল। তাহলে এবার দুবাই গেলে ডিউটি ফ্রি শপে কেনাকাটার জন্য গাঁটের কড়ি খরচ করে আর ডলার, ইউরো কিনতে হবে না!

জটায়ুর বৃহত্তম ভাস্কর্য
পৌরাণিক পাখি জটায়ুকে নিয়ে কোল্লামের চাডিয়ামঙ্গলমে তৈরি হয়েছে জটায়ু অ্যাডভেঞ্চার সেন্টার। এই রামায়ণ থিম পার্কে পুরাণ ও মহাকাব্যের সঙ্গে প্রযুক্তিকে সুন্দর মেলানো হয়েছে। নানা ধরনের অ্যাডভেঞ্চার অ্যাক্টিভিটি রাখা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। ক্লাইম্বিং, র‍্যাপলিং, ট্রেকিংসহ নানা বিষয়। পার্কের মধ্যে এক পাথরের উপর তৈরি হয়েছে বিশাল জটায়ুর ভাস্কর্য। এই থিম পার্কের পরিকল্পনা মালায়লাম চিত্র পরিচালক রাজীব আঁচলের।

টাইগার হিলে প্রবেশ মূল্য
গাঁটের কড়ি খরচ করে এবার কাঞ্চনজঙ্ঘার গায়ে সূর্যের ছটা দেখতে হচ্ছে। বুঝতে পারলেন না। আসলে বনবিভাগ সিঞ্চল বনাঞ্চলের  টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখার জন্য পর্যটকদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৫০ টাকা করে প্রবেশ মূল্য নিচ্ছে। দার্জিলিং ডিভিশনের ফরেস্ট অফিসার জেস্পার জে বলেন, প্রবেশ মূল্যের ৪০ শতাংশ দেওয়া হবে জঙ্গলে বসবাসকারী মানুষদের তৈরি কমিটিকে। দার্জিলিং শহরে বনবিভাগের কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট কাটার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

পর্যটনে তিহার
মনে অনেক দিনের জানার কৌতূহল জেলের বন্দি জীবন কেমন কাটে? জানতে শখের বন্দি হতে পারেন। যেতে হবে তিহার জেল। ভাবছেন এ কেমন বেয়ারা শখ? ঘাবড়াবেন না। দিল্লি পর্যটন দপ্তর জেল পর্যটনের ভাবনা শুরু করেছ। পর্যটকদের জন্য তৈরি হচ্ছে অ্যাটার্চ বাথ সহ রুম। দেশের বৃহত্তম এই জেলে শখের বন্দি হয়ে দু’দিন কাটাতে পারেন। বন্দির মতো করেই। উৎসাহীরা ভাবতে পারেন।

গঙ্গায় হাউস বোট 
নামে হাউস বোট হলেও হাউস নেই। তাতে কী? এই বোটে চেপে ঘোরা তো যাবে গঙ্গার বুকে। সম্প্রতি কেরলের হাউস বোটের মতো গঙ্গায় ভাসল ‘গঙ্গাশ্রী ’ ও ‘জলশ্রী ’ নামে দুটি হাউস বোট। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই বোটগুলিতে আয়োজন করা যায় কোনও অনুষ্ঠান বা কনফারেন্স। পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহন দপ্তরের থেকে এই বোট ভাড়ায় মিলবে। হাউস বোটের ভাড়া ঠিক হয়েছে ঘণ্টা পিছু পাঁচ হাজার টাকা।

তাপস কাঁড়ার 

পাহাড়ি গাঁ টুমলিং
এবড়ো খেবড়ো,  চড়াই উতরাই, সাদা-গোলাপি-লাল রডোডেনড্রন, পাইনে ঘেরা পাহাড়ের কোলে ছোট্ট একটি গ্রাম— টুমলিং। মেঘবালিকার দেশ যেন! আকাশ পরিষ্কার থাকলে শায়িত বুদ্ধের অবয়ব উপভোগ্য। রাতের হাড় কাঁপানো ঠান্ডা হাওয়ায় খোলা মায়াবি আকাশের নীচে আগুন জ্বালিয়ে পাহাড়ের কোলে বসে থাকার অদ্ভুত রোমাঞ্চ লিখে প্রকাশ করা যায় না।

—পারমিতা বেরা, মগরাহাট।