Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু  
 

জয়ন্ত দে : ভবিষ্যৎ জানতে সহজের সঙ্গে পিশাচ সাধুর বাড়িতে হাজির হল সৃজনী। ক্যাপ্টেন ব্যঙ্গ করে জটিলা বলে ডাকতে শুরু করলেন সৃজনীকে। ভবিষ্যৎ জানতে চাইতেই পিশাচ সাধু ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, নীলাদ্রির সঙ্গে তার প্রেমের পরিণতি ভয়ঙ্কর। বরং, মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার জন্য সৃজনীর পড়ায় মন বসানো উচিত। তারপর...
বাড়ি ফিরেই টান টান হয়ে শুয়ে পড়ল সহজ। হঠাৎ নিজেকে তার কেমন হালকা লাগছে। পিশাচ সাধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য সৃজনী তাকে ব্ল্যাকমেল করেছে। প্রায় জোর করেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিষয়টা নিয়ে ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিল সহজ। কিন্তু সে বুঝতে দেয়নি। ওইটুকু মেয়ে নাক টিপলে এখনও দুধ বের হয়, সে-ই প্রায় তাকে বাধ্য করেছিল। কোথাও যেন সে ভয় পেয়েছিল সৃজনীকে। সে না নিয়ে গেলে সৃজনী কি সত্যি সত্যি বাইরে ওইসব উল্টোপাল্টা কথা বলত? ওকে দেখে সহজের মনে হয়েছিল, এই মেয়ে বিপজ্জনক।  
এখন এই অবেলায় শুয়ে শুয়ে সহজের কাউকে ধন্যবাদ জানাতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু কাকে জানাবে? পিশাচ সাধুকে, সৃজনীকে, নাকি নিজেকে?
পিশাচ সাধু না থাকলে সৃজনীর জীবনে হয়তো এমন কোনও মোড় আসত না। সে নিজেকে চিনতে পারত না। ওঁর সামান্য কথায় সৃজনী মারাত্মক রকম মোটিভেটেড হয়েছে।  মানুষটা কী অদ্ভুতভাবে কথাগুলো বললেন, মানুষের শিরা উপশিরার গিঁট খুলবি তুই, তোর হাতে মাখা রক্তে জীবনের আলপনা! তুই মানুষকে জীবনদান করবি। সৃজনীর জীবনের যে লক্ষ্য কী মানুষটা যেন সরল চোখে তা দেখতে পেলেন!
পাশাপাশি বিচ্যুতিটা ধরিয়ে দিলেন, কে নীলাদ্রি জানে না সহজ। তার সঙ্গে সৃজনীর কতখানি সম্পর্ক, কী সম্পর্ক তাও জানে না। জানতেও চায় না। অথচ পিশাচ সাধু তাকে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছে, নাহলে বলল কীভাবে?
পাওয়ার! এ কোন শক্তি? কোন শক্তিবলে তিনি দেখতে পান? শুধু বাইরেরটুকু দেখলেন না, ভেতর পর্যন্ত দৃষ্টি প্রসারিত করলেন। তাতে পুরো মানুষটাকে চিনতে পেরে গেল সৃজনী! 
এক মুহূর্তে সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল! ভুল সংশোধন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ল। সৃজনী তো সন্দেহ করতে পারত, তার সম্পর্কে বলে রেখেছে সহজ। কিন্তু এটা সে মনে করল না, তার কারণ নীলাদ্রি। যার কথা ঘুণাক্ষরেও সহজ জানত না।
‘কী রে এখন শুয়ে আছিস?’ ঘরে ঢুকে মিমি জিজ্ঞেস করল।
‘সকালে ভালো করে ঘুমাইনি, তাই এখন পুষিয়ে নিচ্ছি।’
‘তোকে একটা কথা বলব?’ মিমি আয়নার সামনে নিজেকে দেখতে দেখতে বলল, ‘এই সরকারটা থাকবে না— এই ইলেকশনেই যাবে।’
সহজ নির্লিপ্ত গলায় বলল, ‘সরকার তো কাগজে কলমে আছে— বাস্তবে কী আছে?’
‘অত সব পলিটিক্যাল ব্যাপারস্যাপার বুঝি না, তবে একটা জিনিস বুঝি, হাওয়া ভালো না। আর সরকার উল্টোলেই তোর পরমেশ্বরদা মার্ডার হয়ে যাবে।’
‘আমি তো যা জানি, ওর আগেই মার্ডার হয়ে যাওয়ার কথা।’
‘কে বলল তোকে?’ ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল মিমি। 
সহজ খুব সহজ গলায় বলল, ‘পরমেশ্বরদা!’
‘পরমেশ্বরদা!’ আয়না থেকে ঘুরে দাঁড়াল মিনি, ‘তুই কি আমার সঙ্গে জোক করছিস?’
‘একদম নয়। ওর বদলে আর একজন পিঠে গুলি খেয়ে মরেছে। শুনেছি, আরও একবার ওকে বোম মারতে মারতে তাড়া করেছিল, কিন্তু ওদের দুর্ভাগ্য আর পরমেশ্বরদার সৌভাগ্য যে, একটা বোমাও ওর গায়ে পড়েনি।’
মিমি চোখ বন্ধ করে পুঙ্খানুপুঙ্খ শুনল। সহজ তার বোনকে খুব ভালো করেই চেনে। মিনি এখন পদ্মনাভের প্রোমোটিং ব্যবসার জন্য চায় এই সরকারের পড়ে যাক, পরমেশ্বর মার্ডার হয়ে এলাকা ওপেন হয়ে যাক। মিমির এখন এক ও একমাত্র টার্গেট পদ্মনাভকে বিজনেসে প্রতিষ্ঠা করা।
মিমি বলল, ‘না, পরমেশ্বরকে মারা ইজি নয়। শুনেছি, ওর কাছে মাদুলি আছে। ওই জ্যোতিষী দিয়েছে। তুই কোনওদিন ওই মাদুলিটা দেখেছিস?’
‘আমি তো শুনেছি মন্ত্র আছে, ও সেটা জপ করে?’
‘কী মন্ত্র?’ মিমি এগিয়ে আসে।
‘মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র। তোর লাগবে? আমি তোকে দিতে পারি।’ 
মিমি থমকে দাঁড়ায়। ‘আমি নিয়ে কী করব? আমার কেন লাগবে?’
‘তুই নিয়ে রেখে দে, এখন না হোক পরে কাজে লাগবে। আরে পদ্মনাভ যখন বড় প্রোমোটার হবে, তখন সকাল সন্ধে এটা জপ করতে হবে। নাহলে যে কোনও সময়— ফুটুস!’
‘তুই বাজে কথা রাখ। তুই আমাকে কবে নিয়ে যাবি?’
‘কোথায়? ওই জ্যোতিষীর কাছে?’
‘যাস না, যারাই ওঁর কাছে যাচ্ছে তাদের রেজাল্ট ভালো হচ্ছে না।’
‘তোর হেঁয়ালি রাখ, বি প্র্যাকটিকাল, আমি ওঁকে দেখাতে চাই, যা ফিজ লাগে দেব।’
সহজ উঠে বসে, ‘তোকে যারা নাচিয়েছে, তারা তোকে সব খবর ঠিক ঠিক দেয়নি। আমার কথা বিশ্বাস কর, ওঁর কাছ থেকে ভালো কিছু, আশার কিছু শোনার জন্য যাস না। উনি ভালো কিছু বলতে জানেন না। আমার কথা বিশ্বাস কর। জীবনে চলার পথে আলো থাকে অন্ধকার থাকে। উনি সেই অন্ধকারের দিকে আঙুল তুলে দেখান। সেই ডার্ক সাইডটাই হাইলাইটস করেন। আমি তোকে সাবধান করে দিচ্ছি মিমি, ফালতু টেনশন নিস না।’
‘আমার টেনশন আমার ওপর ছেড়ে দে।’
‘তুই তাহলে যাবি? ঠিক আছে। আমি আজ একজনকে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমি ওঁর কাছে দু-একদিনের মধ্যে যাব। জেনে আসব, তবু বলছি না গেলেই ভালো করতিস।’
‘খারাপটা শোনার জন্যই আমি ফিজ দিতে চাইছি!
সহজ হাসল, ‘আমার এক পরিচিত ছেলে, খুব বুদ্ধিমান, সাহসী। সেই ছেলেটাকে উনি ঘরবন্দি করে দিয়েছেন— ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সে অপঘাতে মারা যাবে।  ছেলেটা এখন মেন্টাল পেশেন্ট। সব কিছুর মধ্যে মৃত্যুর ছায়া দেখছে।’
‘আমাকে এমন কিছু বললে, আমি বদার করি না। আমি যাবই।’
সহজ বলল, ‘ঠিক আছে, এখন আমি একটু ঘুমাই।’
মিমি চলে গেল। সহজের মনে হল, ইদানীং তার সব কিছুই ওই পিশাচ সাধুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। অদ্ভুত সেই পাক। প্রতি পাকেই সে একটু একটু করে জড়িয়ে যাচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন সেই পাক জটিল আর দুর্বোধ্য হয়ে উঠছে। এই অঙ্ক সে মেলানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু সমাধানের কাছে গিয়ে দেখেছে, আবার প্রথম থেকে শুরু হচ্ছে।
আজ পর্যন্ত তার যে আট-দশটা গল্প ছাপা হয়েছে তা যেমন নামী দৈনিকের রবিবাসরীয়তে আছে, তেমনই আছে ছোট বড় নানা পত্রিকায়। কিন্তু কোনও ছাপার মধ্যেই এত নাটকীয়তা ছিল না। আর এই গল্পটি ছাপার মধ্যে নাটকীয় উপাদান ভরা।  গল্পটি বর্ণিনীর হাত ঘুরে বিচিত্র ঘোষালের কাছে গেল, সেই বিচিত্র ঘোষাল গল্পটি পড়ে পাঠিয়ে দিলেন স্বদেশ পত্রিকার অফিসে। গল্পটি মনোনীত হয়েছে, ছাপা হতো। কিন্তু তার মধ্যে ভবিষ্যদ্বাণী করে ঢুকে পড়লেন পিশাচ সাধু। তারপর থেকে চলছে তো চলছেই। সেদিন উনি না এলেও সহজের গল্প ছাপা হতো। কিন্তু নচে কিংবা সুজিদা এভাবে মানসিক রোগী হয়ে উঠত না। এখনও পর্যন্ত এই সব কিছুর মধ্যে একটাই পজেটিভ দিক— সেটা হল সৃজনী। ওর হয়তো বোধোদয় হতো না, কিংবা যখন হতো তখন হয়তো বড্ড দেরি হয়ে যেত। জীবন চলে যেত মেয়েটার।
সৃজনী হয়তো নীলাদ্রিকে নিয়ে খুশি ছিল না, কিন্তু সে কী করবে বুঝে উঠতে পারছিল না। যখনই দিশা পেল, প্রতিবাদ করতে পারল সৃজনী। যেভাবে পশু-মানুষ শিবশম্ভু দারোগার সঙ্গে লড়েছেন ছোটবউ সনকা, দারোগার মা। আর লালসার শিকার হয়েছে অসহায় মেনকা। মুখ বুজে সহ্য করেছে। দগ্ধে দগ্ধে মরেছে। 
ফোন এল পরমেশ্বরের। বলল, ‘তোর ব্যাপার কী রে ক’দিন দেখছি না? কেমন দেখলি শিবশম্ভু দারোগার ছোটবউকে?’
‘খুব ভালো লাগল। সোজাসাপ্টা।’
‘আমার খুব পছন্দের মানুষ। যাক, তোর যে খারাপ লাগেনি, এই যথেষ্ট। বিকেলে আয়— তোর সুজিদা তো খেপেছে, ওকে বোঝা। কী সব ফালতু সন্দেহ। পাগলা হয়ে যাচ্ছে, হন্যে হয়ে খুঁজছে—কীভাবে ডিএনএ টেস্ট করাবে। কী বলতো, শালাকে আমি বোঝাতে পারছি না। 
এই পৃথিবীতেই এখনও যে এল না তার কপালে কী কালো দাগ লাগিয়ে দিচ্ছিস! আমি ওকে বলেছি, পরীক্ষা করিয়ে দেখলি, বাপ তুই। এই ঝামেলা আপাতত মিটে গেল। কিন্তু এই সন্তান বড় হয়ে শুনল, তার জন্মের সময় তার বাপ ব্যাগড়া দিয়েছিল, তখন তার মানসিক অবস্থা কী হবে? হয় বাপকে ফেলে পেটাবে, নয় নিজে উল্টে পড়ে থাকবে।’
সহজের কানের মধ্যে দিয়ে গরম সিসে ঢুকছে। 
পরমেশ্বর বলল, ‘তুই ওকে দাদা বলিস, ভাইয়ের দায়িত্ব সামলা।’ 
সহজ চুপ করে থাকল। বলতে পারল না, যাব। কোথায় যেন তার নিজেকে অপরাধী লাগছে। সেদিন সে যদি এভাবে না সুজিকে টেনে নিয়ে যেত তাহলে যে শিশুটি পৃথিবীতে আসেনি, সে প্রশ্নের মুখে পড়ত না। সহজ নিজেকে ক্ষমা করতে পারে না। এই ড্যামেজ কীভাবে সে কন্ট্রোল করবে? পরমেশ্বরদার মতো ঠান্ডা মাথার মানুষ যখন সুজিদাকে বোঝাতে পারছে না, সে কি পারবে?
একটু পরে বর্ণিনী ফোন করল, ‘কী রে সকালে দেখলাম, ছাত্রীকে নিয়ে কোথা থেকে ফিরলি, এখন অনেকক্ষণ তোকে ফোনে ট্রাই করছি, পাচ্ছি না। সব ঠিক আছে?’
‘হ্যাঁ।’
‘তোর গলাটা এমন শুকনো লাগছে কেন?’
‘ভিজিয়ে রাখা হয়নি বলে।’
‘কী ভিজিয়ে রাখিসনি?’
‘গলা!’
‘ইডিয়ট! ফোন রাখলাম।’
‘বাঁচলাম।’
সহজ ফোন রেখে চুপ করে শুয়ে থাকল। সারা সকাল সৃজনীকে নিয়ে ভাবছিল। এখন সমস্ত চিন্তাচেতনায় সুজি। এই ড্যামেজ কন্ট্রোল তাকেই করতে হবে, কিন্তু কীভাবে করবে? না, পিশাচ সাধু একদম ঠিক কথা বলেননি, ভয়ঙ্কর একটা অন্যায় করেছেন। একটা পরিবার, একটা মেয়ে, একটা না-আসা প্রাণ ওঁর কথায় আজ বিপন্ন।
দুপুরে খাওয়ার পরে সহজ মায়ের কাছে গিয়ে বসল। সহজের বসার ভঙ্গি দেখে কস্তুরী বুঝেছে, সহজ কিছু বলতে চায়।
কস্তুরী বলল, ‘কী বলবি?’
‘আমার একজন, খুব পরিচিতজন নিজের সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে সন্দিহান! তাকে কী করে বোঝানো যায় বলো তো?’
‘খুব কঠিন প্রশ্ন?’
‘তুমি হলে কী করতে?’
‘আমার কথা বাদ দে।’
‘কেন তোমার কথা বাদ দেব?’
‘কারণ, আমি রোজগার করি না, স্বাবলম্বী নই। মেয়েটি কি চাকরি করে, স্বাবলম্বী?’
‘হ্যাঁ।’
‘তাহলে বলব— মেয়েটির ডিভোর্স নেওয়া উচিত।’
সহজ হাসল, ‘তোমার বর সেলস ট্যাক্সের উকিল, তিনি এই কেস পাবেন না, আইন আদালত ছাড়া কী করে সামলানো যায়?’
‘না, সামলানো যায় না। স্বয়ং শ্রীরামচন্দ্র সীতার অগ্নিপরীক্ষা নিয়েছিলেন।  তখনকার দিনে ডিভোর্স ছিল না, তাই সীতা নিজের সমস্যার সমাধান নিজেই করেছেন। এই পোড়া দেশে মেয়েটা এবার মরতে পারে।’
সহজ চুপ করে বসে থাকে।
কস্তুরী বলে, ‘ছেলেটিকে বোঝা, বাপ হওয়া মুখের কথা নয়। পিতৃত্বর থেকে পিতা হওয়া অনেক কঠিন।’
‘সে বুঝবে না।’ হতাশায় সহজ মাথা নাড়ে, ‘যে আগুন লাগিয়েছে, তাকে বলি, দেখি, সে আগুন নেভানোর উপায় জানে কি না?’
সহজ বেরিয়ে পড়ল বাইক নিয়ে। প্রায় উড়ে এল। সে ঠিক করে এসেছে, প্রয়োজন পড়লে পিশাচ সাধুকে বলবে— আপনি আমার বাইকের পিছনে বসুন। আগুন লাগিয়েছেন আপনি— আপনাকেই ফায়ার বিগ্রেড হতে হবে।
সাধুর বাড়ির দরজা বন্ধ। এর আগে সে যতবারই এসেছে পিশাচ সাধুকে দেখেছে বাইরে বসে আছেন। আজ প্রথম বাড়ির রকে কেউ নেই। সবে বিকেল হয় হয়। বাড়ির দরজার কড়া নেড়ে ভাবল, আর একটু পরে আসা উচিত ছিল। ওঁরা হয়তো ঘুমাচ্ছেন।
দরজা খুলল বঁড়শি। ওকে দেখে অদ্ভুতভাবে দুচোখ সরু করল। ওর দু’চোখে তীব্র ঝিলিক। ‘বাব্বা, তুমি তো দেখছি হাওয়া পড়তে পারো।’
‘হাওয়া পড়তে মানে?’
‘হাওয়া মানে বাতাস, বাতাস— বাতাসের গন্ধ পাও। কী করে জানলে এখন ও থাকবে না? আমিই তো জানতাম না। শুয়েছিল, হঠাৎ উঠে রিকশ ডাকল। বলল, একজনের সঙ্গে দেখা করে আসি, নইলে আর ইহজম্মে দেখা পাব না। বলেই বেরিয়ে গেল।’
‘উনি নেই।’
‘না, উনি নেই। সে-খবরই তো তুমি হাওয়া পড়ে পেয়েছ।’
সহজ কিছু বলতে যাচ্ছিল। কিন্তু বঁড়শি একটা হাত বাড়িয়ে খপাত করে সহজের জামা খামচে ধরে দরজার ভেতর টেনে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।
(চলবে)
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
পিশাচ সাধু
 

নচের মেয়ের কাছ থেকে পিশাচ সাধুর বিষয়ে জানতে পেরেছে সহজের ছাত্রী সৃজনী। সেও জ্যোতিষীর কাছে ভবিষ্যৎ জানতে চায়। তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সৃজনী। বিশদ

04th  July, 2021
কৃষ্ণাঙ্গ

সাইপ্রাস গাছের সূক্ষ্ম পাতার কোণে কোণে জলবিন্দু জমে আছে। রাতে বৃষ্টির পর সকালের মুক্তোরঙা আকাশ কমনীয় অথচ নির্ভার। নরম বালিশের কোলে পাশ ফিরল অনঘ। আলগা অপলক মেঘের গায়ে গোলাপি রঙের ছোঁয়া। বিশদ

04th  July, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীর সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি গেল সহজ। আর সেখানে গিয়েই গল্প প্রকাশের রহস্যের জট কাটল। আসলে পত্রিকা অফিসে গল্পটি পাঠিয়েছিলেন বিচিত্রদা। কিন্তু সহজের মুখে পিশাচ সাধুর নাম শুনে ভীষণ খেপে গেলেন তিনি। বিশদ

27th  June, 2021
মাধুকরী  
সৌরভ মিত্র

 

 মেঘ ডাকছিল এতক্ষণ। পাকা রাস্তা ধরে কয়েক পা এগতেই বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হল। ভালোই মেতেছে! দশহাত দূরের মানুষকেও যেন চেনা দায়! পশ্চিম কালো হয়ে আসছিল সকাল থেকেই। গুপ্ত-বৃন্দাবনের মেলার তাড়া না থাকলে হয়তো ঘর ছাড়ত না সুদাম গোঁসাই। বিশদ

27th  June, 2021
পিশাচ সাধু

শিবশম্ভু দারোগার ছোটবউ সনকার কাছ থেকে তার জীবনের গল্প শুনল সহজ। পরিচয় হল নন্দিনীর সঙ্গে। সনকার কাছ থেকে জানতে পারল তিন নারীর লড়াইয়ের কাহিনি। তারপর...  বিশদ

20th  June, 2021
পিশাচ সাধু

পরমেশ্বরের অফিসে শঙ্করের সঙ্গে এক চোট হয়ে গেল সহজের। মজা করতে গিয়েই এই বিপত্তি। সুজি কিছুতেই ক্যাপ্টেনের কথাগুলো ভুলতে পারছে না। এদিকে, পরমেশ্বর বিকেলে সহজকে একজনের বাড়িতে নিয়ে গেল। তারপর... 
বিশদ

13th  June, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৫
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

শঙ্কর বলল, ‘তুমি চান্স নাও। সব পাখি মাছ খায় দোষ হয় মাছরাঙার! আমার দরকার নেই। আমার অনেক আছে।’ বিশদ

06th  June, 2021
ছাতা হারানোর পর
রিমি মুৎসুদ্দি

কলি জানত, মম্পা নিজে পড়াশোনা বিশেষ করে না। সারাক্ষণ মিটিং মিছিল নিয়েই ওর সময় কাটে। এমন মিটিং মিছিল করা ছেলের সঙ্গে কী করেই বা ও জড়াত নিজেকে? আর তাও যদি মম্পার রেজাল্টটা তেমন কিছু হতো তাহলেও কিঞ্চিৎ বিবেচনায় ওকে রাখতে পারত।  বিশদ

30th  May, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বিচিত্রদাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে একপ্রস্থ নাটক হল। যদিও শেষপর্যন্ত বিচিত্রদার কপালে বেড জুটল। নচের নানা মজার কীর্তি বর্ণিনীকে শোনাল গৌর। এদিকে, ক্যাপ্টেনের অলৌকিক শক্তি যে কমেনি, তা সহজের গল্প প্রকাশের সুবাদে আরও একবার পরমেশ্বরের গ্রুপে প্রমাণ হয়ে গেল। তারপর... বিশদ

30th  May, 2021
কালা চশমা 
শুচিস্মিতা দেব

সুমিতাকে প্রবাস জীবনের শুরুতে সংসারের বাঙালি স্বাদগন্ধ বজায় রাখতে কম মেহনত করতে হয়নি! কোথায় মেলে বাঙালি পুরুতঠাকুর... শুক্তো-মুড়িঘণ্ট, স্পেশালিস্ট বঙ্গ ক্যাটারার... গাওয়া ঘি-গোবিন্দভোগ চাল অথবা শারদীয় পত্রপত্রিকা! কর্তাটি তার নির্ভেজাল খাঁটি বাঙাল ফলে দীর্ঘ দিল্লিবাসে যাবতীয় বঙ্গসমাচার এখন সুমিতার নখদর্পণে। 
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনকে গালমন্দ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনল সুজি। ‘কাক হয়ে কোকিলের বাচ্চা মানুষ করবি সুজি,’ পিশাচ সাধুর মুখ থেকে বেরিয়ে এল কয়েকটি ভয়ঙ্কর শব্দ। যা তাকে সারা জীবন কুড়ে কুড়ে খাবে। এদিকে, বর্ণিনীর ফোন এল সহজের মোবাইলে বিচিত্রদার অবস্থা ভালো নয়।  
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

সহজের কাছে চিঠিটি এসেছে ‘স্বদেশ’ পত্রিকা থেকে। সেখানে তার গল্প ছাপা হবে। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হয়েছে শুনে বেজায় খুশি সুজি। পিশাচ সাধুর শক্তি সম্বন্ধে তার বক্তব্য, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’। পরের দিন সহজকে নিয়ে ক্যাপ্টেনের বাড়ি যাবে ঠিক করে সুজি।  
বিশদ

16th  May, 2021
ছোঁয়া
বিতস্তা ঘোষাল
 

অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণা। এই দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনও কিছুর অপেক্ষায় নয়। এটা তার অভ্যাস। আসলে একটানা চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাজ করতে করতে ভীষণ হাঁফ ধরে যায়। গুমোট লাগে ঘরটা। বিশদ

09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। বিশদ

09th  May, 2021
একনজরে
দলীয় কর্মীর গালে চড় মেরে বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার। ঘটনাটি সকলের সামনেই ঘটে। একাধিক ক্যামেরাতেও তা বন্দি হয়। পরে সাংবাদিকদের ভিডিওটি ...

কৃষকদের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প রূপায়িত করতে কৃষিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিসগুলিতে এখন জোর কর্মতৎপরতা চলছে। শনিবারের ছুটির দিনে তো বটেই, কোথাও কোথাও রবিবারও কর্মীদের ...

দুর্গাপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদপুর এলাকায় ছাইয়ের স্তূপ থেকে শনিবার অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। ...

পাঁচ বছর পর উদ্ধার হল ঘরছাড়া কিশোরী। দালালচক্রের হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করেছে পুলিস। ঘটনায় আব্দুল দিশান মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে চুঁচুড়া থানার ব্যান্ডেলের একটি বাড়ি থেকে ১৭ বছরের ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৮৯ টাকা ৭৫.৬১ টাকা
পাউন্ড ১০১.২৩ টাকা ১০৪.৭২ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৩ টাকা ৯০.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  July, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭০০
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২০০
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯০০
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ ৬/৫১ দিবা ৭/৪৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৩/১৭ রাত্রি ২/২২। সূর্যোদয় ৫/৩/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৯ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ দিবা ৬/৫৮। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ২/১৭। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/৩ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৩ গতে ২/২৩ মধ্যে। 
৩০ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমূখী, কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও
গতকালের তুলনায় রাজ্যে আরও বেশ কিছুটা কমল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ...বিশদ

07:36:19 PM

মহিষাদলে শুরু লেত উৎসব
শুক্রবার বিকেলে মহিষাদলে শুরু হল রথের নেত্রদান বা লেত উৎসব। ...বিশদ

05:49:11 PM

তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ গ্রেপ্তার ১
তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ একটি নৌকা বাজেয়াপ্ত। ঘটনায় ...বিশদ

05:44:15 PM

পেট্রোপণ্য ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, মাথাভাঙায় তৃণমূলের প্রতিবাদ  মিছিল
মাথাভাঙা-২ ব্লকের নিশিগঞ্জে পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব ...বিশদ

04:15:00 PM

কোভিড বিধি ভঙ্গ করায় আলিপুরদুয়ারে গ্রেপ্তার ৪ ব্যবসায়ী

04:01:25 PM

শহরে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ সহ গ্রেপ্তার ২
কলকাতায় একটি বাস থেকে উদ্ধার প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ। ঘটনাস্থল ...বিশদ

03:53:36 PM