Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু
 

জয়ন্ত দে : নচের মেয়ের কাছ থেকে পিশাচ সাধুর বিষয়ে জানতে পেরেছে সহজের ছাত্রী সৃজনী। সেও জ্যোতিষীর কাছে ভবিষ্যৎ জানতে চায়। তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সৃজনী। তারপর... যাওয়ার কথা ছিল বর্ণিনীর। কিন্তু যাচ্ছে সৃজনী। রাতেই সহজ ফোন করেছিল সৃজনীকে— কাল সকালে বেরতে পারবে? 
সৃজনী বলল, ‘সকাল মানে— সময় বলুন?’
‘আটটা।’
সহজ একটু থামল, সুজির কথাটাই ওর মনে পড়ে গেল। বলল, ‘ওই সময় পাওয়ারটা বেশি থাকে। পাহাড়ে যেমন হয়, ভোরবেলা পিকগুলো ক্লিয়ার থাকে। যত বেলা হয় মেঘে ঢেকে যায়, এও তেমন। বেলা হলে উনি একটু ঘেঁটে যান। আবোলতাবোল বকেন।’
‘তাহলে সকালেই যাব। আটটা। কোথায় বলুন? আমি অটো স্ট্যান্ডের সামনে থাকব।’
‘যে জায়গায় বাড়ি, তাতে অটো করে যাওয়া মুশকিল। আমি বাইক নিয়ে আসব।’
বাইক নিয়ে এসেছিল সহজ। একটু আগেই এসেছিল। এসে দেখল সৃজনী দাঁড়িয়ে। চুলটা হর্সটেল করা, পিঠে ছোট একটা ব্যাগ। মানে পড়তে যাওয়া সংক্রান্ত কিছু বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। সহজ এসে দাঁড়াতেই কোনও কথা না বলেই বাইকে বসল। সহজ পিছনে না ফিরে হেলমেটটা এগিয়ে দিল। ‘হেলমেট পরতে হবে নাকি?’ 
‘হ্যাঁ, পরতে হবে।’
‘কেন? পুলিসে ধরবে? পুলিসে ধরলে আমাকে বলবেন, আমি এক ফোনেই ছাড়িয়ে দেব।’ সৃজনী ঘাড় ঝাঁকিয়ে বলল।
সহজ বলল, ‘সেফটির জন্য।’ 
সহজের হেলমেটে সৃজনীর হেলমেটটা ঠুকে গেল। সহজ বুঝল, এটা ইচ্ছে করে করল।
একটু আসার পর সহজের মনে হল সৃজনী যেন একটু বেশিই জড়িয়ে ধরে বসেছে। সহজ বলল, ‘তোমার কি ভয় করছে?’ 
‘না তো।’ 
‘আমার মনে হচ্ছে তোমার ভয় করছে।’ 
‘আপনাকে একটু বেশি চেপে ধরেছি বলে, আসলে আমি এত রোগা— কেউ কেউ বলে— বাইকে বসে চেপে না ধরলে আমি উড়ে যেতে পারি।’
বাইকটা ঘুরিয়ে সহজ দেখল বাড়ির রকে সাধু বসে। সহজ এসে বাইকটা স্ট্যান্ড করল। ওকে দেখে দু’হাত তুললেন সাধু। বললেন, ‘আরে এসো, এসো।’ 
ওরা দু’জনে এসে সাধুর সামনে দাঁড়াল। সাধু উঠে দাঁড়ালেন, ঝপ করে চেপে ধরলেন সহজের একটা হাত, বললেন, ‘ভেতরে চলো।’
দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে বাঁদিকে মুখ বাড়িয়ে বললেন, ‘দেখো দেখো, কে এসেছে।’ কথাটা ছুড়ে দিয়েই সহজকে টেনে নিয়ে চললেন ডানদিকের ঘরে। সহজের সঙ্গে যে কেউ আছে সেটা যেন দেখতেই পেলেন না। 
ডানদিকের ঘরটা বিশাল বড়। মনে হয় প্রমাণ সাইজে তিনখানা ঘর একসঙ্গে করা হয়েছে। ঘরের জানলাগুলো বন্ধ থাকায় সারা ঘরটা বেশ অন্ধকার। সাধু ঘরে ঢুকেই পর পর তিন চারখানা জানলা খুলে দিলেন। দুটো জানলা দিয়ে সকালের ঝিলিক দেওয়া রোদ ঢুকে পড়ল ঘরের ভেতর। ঘরে ভেতর টানা লাল সিমেন্টের মেঝে। মাঝে এক জায়গায় একটা শতরঞ্চি পাতা। এক ধারে একটা বেঞ্চ, দুটো চেয়ারও আছে। সাধু বললেন, ‘যাও বসে পড়ো ওখানে, চা আসছে। জল খাবে? জল—। ওই জাগে ভালো জল আছে। আমি সকালেই ভরেছি।’
সহজ এগিয়ে গিয়ে শতরঞ্চিতে বসল। কিছুটা পা ছড়িয়ে। সহজ লক্ষ করেছে সাধু একবারও সৃজনীর দিকে ফিরেও তাকায়নি। সৃজনীকে দেখিয়ে সহজ কিছু বলতে যাচ্ছিল, তার আগে সাধু বললেন, ‘যাও জটিলা তুমিও গিয়ে ওখানে বসে পড়ো।’
সহজ ভ্রূ কোঁচকাল সে কি ঠিক শুনল? কী বললেন পিশাচ সাধু! 
সাধুর পুরো কথা হয়তো শুনতে পায়নি সৃজনী, সে এসে শতরঞ্চির এক ধারে বসল।
সাধু দীর্ঘ পা ফেলে চলে গেলেন ভেতরে। একটু পরেই ফিরলেন। হাতে একটা থালা, তার ওপর চারটে কাপ। পিছন পিছন বঁড়শি এল। হাতে একটা বিস্কুটের কৌটো। শতরঞ্চির ওপর থালাটা রেখে বললেন, ‘নাও, চা খাও আগে।’
সাধু বসলেন মেঝেতে। বললেন, ‘তোমাদের কি গরম হচ্ছে? তাহলে ওই টেবিল ফ্যানটা এনে দেব।’
সহজ বলল, ‘ঠিক আছে।’ সে চায়ের কাপ তুলে নিল। বঁড়শি এসে একটু দূরত্ব রেখে বসল। সরু চোখে তাকিয়ে আছে সৃজনীর দিকে। সহজ একঝলক দেখল বঁড়শির দিকে। বঁড়শির মুখটা ভার। হতেই পারে, নিত্যদিন এই সাতসকালে গেস্ট এসে হাজির হলে বিরক্তি আসতেই পারে। সহজ খুব মন দিয়ে চা খাচ্ছে। 
বঁড়শি বলল, ‘বিস্কুট নিয়ে এলাম, নিলে না? সব কি হাতে করে তুলে দিতে হবে, ওই তো সামনে কৌটো, নিয়ে নাও।’
সৃজনী বলল, ‘আমার লাগবে না। ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়েছি।’ 
সহজ বলল, ‘আমার লাগবে।’ সে কৌটোর ভেতর হাত ঢুকিয়ে দুটো বিস্কুট বের করে নিল।
সাধু সুরুত সুরুত করে চা খাচ্ছে। ওঁর কাপটা বেশ বড়। অনেকখানি চা ধরে।
সহজ সৃজনীকে দেখিয়ে বলল, ‘ওর নাম—।’
হে হে হেসে উঠলেন পিশাচ সাধু, বললেন, ‘আমি ওর একটা নাম দিয়েছি— জটিলা!’
‘কী নাম? জটিলা! জটিলা!’ খিল খিল করে হেসে উঠল বঁড়শি, ‘তুমি পার বাপু। ও তো এক্ষুনি এল। এসেই একটা নাম পেয়ে গেল। কী কপাল গো তোমার মেয়ে! আমি তো অনেক পরে বঁড়শি নামটা পেয়েছি। এই নাম পাওয়ার জন্য কত কেঁদেছি, কঁকিয়েছি, সব সময় অ্যাই মেয়ে, অ্যাই মেয়ে বলে ডাকতেন। তারপর একদিন বললেন—তুই বঁড়শি! সেই থেকে আমি বঁড়শি! আর তুমি একদিনেই নাম পেয়ে গেলে। জটিলা!’
পিশাচ সাধু হাসছেন, ‘ও সহজ আর ও জটিলা!’
‘বাহ বাহ দু’জনকে মিলিয়ে দিয়েছেন!’
‘আমার সঙ্গে ওর নাম মেলালেন কেন?’ সহজ একটা অপ্রস্তুতভাবেই বলল।
‘হ্যাঁ, আমার সঙ্গে তো স্যারের নামের ফার্স্ট লেটারে মিল আছে। আমরা দু’জনেই এস। সহজ আর সৃজনী।’
সাধু আকাশে দু’হাত তোলেন, ‘জয় কালী! আমি নামে মেলাইনি, আমি ধর্মে মিলিয়েছি মা। ধর্মের কথা খুব গূঢ়। সে তুমি বুঝবে না।’
সৃজনী নিজেকে ঝাঁকুনি দেয়। ‘সহজের বিপরীত শব্দ জটিল। জটিলের স্ত্রী লিঙ্গ জটিলা! তাই তো?’ সৃজনী ঘাড় ঝাঁকায়, ‘বেশ! এবার বলুন।’
‘কী বলব?’
‘আমার কথা।’
‘কী বলব তোর কথা? মার খাবি, মার খেতে খেতে মরবি। পুলিসের মার, সইতে পারবি না। আর বলব—?’ পিশাচ সাধু দু’হাতে তাল ঠোকে।
বঁড়শি চিৎকার করে ওঠে, ‘এই, এই আপনি আবার খারাপ কথা বলছেন— ভালো কথা বলুন, ভালো কথা, এইটুকু মেয়ে—।’
সহজ হাসতে গিয়ে হাসে না, এই রে পিশাচ সাধুর কী নেটওয়ার্ক! বর্ণিনীর সঙ্গে কি গুলিয়ে ফেলেছে সৃজনীকে? কী ভেবেছে সহজের সঙ্গে যখন এসেছে এ সহজের বান্ধবীই হবে। আর বর্ণিনীর বাবা পুলিসের বড়কর্তা— একথাটা নির্ঘাত কেউ সাধুকে বলেছে। তাই বর্ণিনী আর তার পুলিস বাবাকে নিয়ে চমৎকার ভবিষ্যদ্বাণী করছেন! বাহ ঩পিশাচ সাধু এই তোমার পাওয়ার। লাগে তুক, না লাগে তাক...।
বিস্ফারিত সৃজনী কিছু বলতে যাচ্ছিল, সহজ বলল, ‘না, না, আপনি বলুন—।’ সহজ বুঝেছে পিশাচ সাধু এখন যা বললেন, সব বর্ণিনীকে সামনে রেখে— যার বাবা পুলিস।
পিশাচ সাধু বললেন, ‘আর কী বলব— আমি বলার কে? রূপবান! পুরুষ মানুষের রূপ! পুরুষ হোক আর নারী হোক কারও রূপ ধুয়ে জল খাওয়ার জিনিস নয়। তুই ভুল করবি, পড়াশোনার ক্ষতি হবে। ক্ষতি করিস না, তোর হাতে আলপনা আছে। মানুষের শিরা উপশিরার গিঁট খুলবি তুই, তোর হাতে মাখা রক্তে জীবনের আলপনা আছে।  তুই মানুষকে জীবনদান করবি! যা, যা, পালা ওদের কাছ থেকে, নইলে বাঁচবি না। ঝেড়ে ফেলে দে থু থু!’
সৃজনী থরথর করে কাঁপছে। পিশাচ সাধু ওর হাত ধরেন, ‘কী রে আমি ঠিক বলেছি—?’
উঠে দাঁড়ায় সৃজনী। ‘চলুন স্যার, আমি বাড়ি যাব।’
‘কেন গো বসবে না? এই মানুষটা সবাইকে চটিয়ে দেন। এরপর আপনার কাছে আর কেউ আসবে না। কী বলল ছাই, কিছুই বুঝলাম না। এইটুকু মেয়েকে পুড়িয়ে ছাই করে দিল!’
সহজ হালকা গলায় বলল, ‘আরে এই তো এলাম, বোসো।’
‘আপনি বসুন তাহলে— আমি চলে যাব।’ সৃজনী যাবার জন্য যেন পা বাড়ায়। সহজ বুঝতে পেরেছে, পিশাচ সাধু বর্ণিনীর জন্য ভেবে রাখা কথা সব সৃজনীর ওপর ঢেলে দিয়েছেন। তার ফলেই সৃজনীর মাথা ঘুরছে। ও কী বুঝেছে কে জানে? 
সহজ বলল, ‘তাহলে আর কী যাবে যখন বলছ, চলো।’
সহজ মনে মনে হাসছে। আজ পিশাচ সাধু সব গুলিয়ে ফেলেছেন।
সাধু ঘরের মেঝেয় শুয়ে। সৃজনীর সঙ্গে সহজ বেরিয়ে আসে। ওদের সঙ্গে আসে বঁড়শি। বাইরের দরজার সামনে এসে বঁড়শি সৃজনীর অলক্ষে সহজের হাত ধরে। ফিসফিস করে বলে, ‘এলে আর চলে গেলে— দুটো যে কথা বলব, সে সুখ হল না, আবার কবে আসবে?’
সহজ ঝটকা দিয়ে হাতটা ছাড়াতে চাইছিল, কিন্তু কেন যেন সে পারল না। সারা শরীরের ভেতর কেমন যেন এক ঢেউ খেলে গেল। বলল, ‘আসব, এর মধ্যেই আবার আসব।’
‘এসো। তোমার জন্য অপেক্ষা করব। উনি তো খারাপ কথা বই ভালো কথা বলেন না। তোমার একটা ভালো কথা মিলেছে, আমার একটা ভালো কথা মিলুক। তারপর এমন অনেক অনেক ভালো কথা মিলতে মিলতে সব ভালো হয়ে যাবে। তুমি তো ভালোই চাও, বলো।’
সহজ বিড়বিড় করে, ‘হ্যাঁ, ভালো চাই।’
বাইকে উঠতে গিয়ে সৃজনী টলে গেল। ‘কী হল সৃজনী—তুমি ঠিক আছো তো?’
‘হ্যাঁ, স্যার।’
বাইক নিয়ে একটু এসে সহজ বলল, ‘প্লিজ, তুমি আমাকে ধরো বোসো। তুমি কেমন টল টল করছ।’
‘হ্যাঁ, আমি ধরেছি স্যার।’
বেশ কিছুটা এসে সহজের মনে হল, সৃজনীর হাত বড্ড আলগা হয়ে গিয়েছে। সে বলল, ‘সৃজনী আমাকে ধরে বোসো।’
সৃজনী বলল, ‘স্যার, আমি পড়াশোনায় বড্ড ক্ষতি করছি। উনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। আমাকে মেডিক্যালে চান্স পেতেই হবে। আমার কপালে আছে স্যার।’
‘আছেই তো। নিশ্চয়ই তুমি মেডিক্যালে চান্স পাবে। চেষ্টা করো, নিশ্চয়ই পাবে।’
‘উনি কিন্তু পরিষ্কার বলে দিলেন—  মানুষের শিরা-উপশিরা, আমার হাতে মাখা রক্তে জীবনের আলপনা—আমি মানুষকে জীবনদান করব!’
হঠাৎ সৃজনী দু’হাতের বেড়ে সহজকে প্রবলভাবে আঁকড়ে ধরে হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করে। সৃজনী যে কাঁদছে সহজ কয়েক মুহূর্ত পরে বোঝে, তারপর বাইকটা আরও একটু এগিয়ে নিয়ে এসে ফাঁকা দেখে এক জায়গায় থামায়। ‘এ কী তুমি কাঁদছ কেন?’
‘উনি ঠিক বলেছেন স্যার। আমি রূপে ভুলেছি, রূপে মজেছি। ঠিক বলেছে, মানুষটা ভালো নয়। আমি বুঝতে পেরেও চুপ করে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাকে ফিরে আসতেই হবে। নইলে আমি শেষ হয়ে যাব।’
‘তুমি কার কথা বলছ?’
‘ওই যে স্যার উনি বললেন না, পুলিসের মার, আমি পুলিসের মার খেয়ে মরব—।’
সহজ বলতে যাচ্ছিল, আরে উনি তোমাকে বর্ণিনীর সঙ্গে গুলিয়েছেন। অন্ধকারে ঢিল ছুড়েছেন। বর্ণিনীর বাবা পুলিস। কিন্তু সহজের না-বলা-কথাগুলো চাপা দিয়ে সৃজনী বলল, ‘নীলাদ্রি পুলিসে চাকরি পেয়েছে। আমার ওই চাকরিতে খুব আপত্তি। কিন্তু নীলাদ্রি ওর পছন্দের জবই পেয়েছে। ছাড়বে না। ওর বাবাও পুলিস। তিনি শুনেছি নীলাদ্রির মাকে ধরে মারেন।’ সৃজনী থামে, বলে, ‘উনি আমাকে বললেন তো আমি পুলিসের মার খেয়ে মরব। নীলাদ্রি ওর বাবার মতো হবে—। ও ভীষণই উদ্ধত, কথায় কথায় হাত চালায়। আমি ওর সঙ্গে কোনও সম্পর্কই রাখব না। আমাকে মেডিক্যালে চান্স পেতেই হবে। আমি খুব সময় নষ্ট করেছি, আর নয়।’
সৃজনীর মাথায় হাত রাখে সহজ, ‘দুর পাগলি, সব ঠিক হয়ে যাবে। তুই মন থেকে নীলাদ্রিকে একদম ঝেড়ে ফেলে দে। আগে তোকে মেডিক্যালে চান্স পেতে হবে। তোর জন্য অনেক বড় একটা পৃথিবী অপেক্ষা করে আছে। অনেক মানুষ অপেক্ষা করে আছে। পিশাচ সাধুর কথা কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যে তা আমি জানি না। জানার আগ্রহও নেই। আমি শুধু জানি, তোকে মেডিক্যালে চান্স পেতে হবে। আরও বড় জীবনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তোর হাতে মানুষের জীবনের ধুকপুক আছে।’
বাসস্ট্যান্ড পেরনোর সময়ই বর্ণিনী ওদের দেখল। আরে এই সকালবেলা সহজ কোথায় গিয়েছিল? বাইকের পিছনে মেয়েটা কে?              (চলবে)
04th  July, 2021
পিশাচ সাধু  
 

ভবিষ্যৎ জানতে সহজের সঙ্গে পিশাচ সাধুর বাড়িতে হাজির হল সৃজনী। ক্যাপ্টেন ব্যঙ্গ করে জটিলা বলে ডাকতে শুরু করলেন সৃজনীকে। ভবিষ্যৎ জানতে চাইতেই পিশাচ সাধু ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, নীলাদ্রির সঙ্গে তার প্রেমের পরিণতি ভয়ঙ্কর। বরং, মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার জন্য সৃজনীর পড়ায় মন বসানো উচিত। বিশদ

কৃষ্ণাঙ্গ

সাইপ্রাস গাছের সূক্ষ্ম পাতার কোণে কোণে জলবিন্দু জমে আছে। রাতে বৃষ্টির পর সকালের মুক্তোরঙা আকাশ কমনীয় অথচ নির্ভার। নরম বালিশের কোলে পাশ ফিরল অনঘ। আলগা অপলক মেঘের গায়ে গোলাপি রঙের ছোঁয়া। বিশদ

04th  July, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীর সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি গেল সহজ। আর সেখানে গিয়েই গল্প প্রকাশের রহস্যের জট কাটল। আসলে পত্রিকা অফিসে গল্পটি পাঠিয়েছিলেন বিচিত্রদা। কিন্তু সহজের মুখে পিশাচ সাধুর নাম শুনে ভীষণ খেপে গেলেন তিনি। বিশদ

27th  June, 2021
মাধুকরী  
সৌরভ মিত্র

 

 মেঘ ডাকছিল এতক্ষণ। পাকা রাস্তা ধরে কয়েক পা এগতেই বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হল। ভালোই মেতেছে! দশহাত দূরের মানুষকেও যেন চেনা দায়! পশ্চিম কালো হয়ে আসছিল সকাল থেকেই। গুপ্ত-বৃন্দাবনের মেলার তাড়া না থাকলে হয়তো ঘর ছাড়ত না সুদাম গোঁসাই। বিশদ

27th  June, 2021
পিশাচ সাধু

শিবশম্ভু দারোগার ছোটবউ সনকার কাছ থেকে তার জীবনের গল্প শুনল সহজ। পরিচয় হল নন্দিনীর সঙ্গে। সনকার কাছ থেকে জানতে পারল তিন নারীর লড়াইয়ের কাহিনি। তারপর...  বিশদ

20th  June, 2021
পিশাচ সাধু

পরমেশ্বরের অফিসে শঙ্করের সঙ্গে এক চোট হয়ে গেল সহজের। মজা করতে গিয়েই এই বিপত্তি। সুজি কিছুতেই ক্যাপ্টেনের কথাগুলো ভুলতে পারছে না। এদিকে, পরমেশ্বর বিকেলে সহজকে একজনের বাড়িতে নিয়ে গেল। তারপর... 
বিশদ

13th  June, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৫
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

শঙ্কর বলল, ‘তুমি চান্স নাও। সব পাখি মাছ খায় দোষ হয় মাছরাঙার! আমার দরকার নেই। আমার অনেক আছে।’ বিশদ

06th  June, 2021
ছাতা হারানোর পর
রিমি মুৎসুদ্দি

কলি জানত, মম্পা নিজে পড়াশোনা বিশেষ করে না। সারাক্ষণ মিটিং মিছিল নিয়েই ওর সময় কাটে। এমন মিটিং মিছিল করা ছেলের সঙ্গে কী করেই বা ও জড়াত নিজেকে? আর তাও যদি মম্পার রেজাল্টটা তেমন কিছু হতো তাহলেও কিঞ্চিৎ বিবেচনায় ওকে রাখতে পারত।  বিশদ

30th  May, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বিচিত্রদাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে একপ্রস্থ নাটক হল। যদিও শেষপর্যন্ত বিচিত্রদার কপালে বেড জুটল। নচের নানা মজার কীর্তি বর্ণিনীকে শোনাল গৌর। এদিকে, ক্যাপ্টেনের অলৌকিক শক্তি যে কমেনি, তা সহজের গল্প প্রকাশের সুবাদে আরও একবার পরমেশ্বরের গ্রুপে প্রমাণ হয়ে গেল। তারপর... বিশদ

30th  May, 2021
কালা চশমা 
শুচিস্মিতা দেব

সুমিতাকে প্রবাস জীবনের শুরুতে সংসারের বাঙালি স্বাদগন্ধ বজায় রাখতে কম মেহনত করতে হয়নি! কোথায় মেলে বাঙালি পুরুতঠাকুর... শুক্তো-মুড়িঘণ্ট, স্পেশালিস্ট বঙ্গ ক্যাটারার... গাওয়া ঘি-গোবিন্দভোগ চাল অথবা শারদীয় পত্রপত্রিকা! কর্তাটি তার নির্ভেজাল খাঁটি বাঙাল ফলে দীর্ঘ দিল্লিবাসে যাবতীয় বঙ্গসমাচার এখন সুমিতার নখদর্পণে। 
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনকে গালমন্দ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনল সুজি। ‘কাক হয়ে কোকিলের বাচ্চা মানুষ করবি সুজি,’ পিশাচ সাধুর মুখ থেকে বেরিয়ে এল কয়েকটি ভয়ঙ্কর শব্দ। যা তাকে সারা জীবন কুড়ে কুড়ে খাবে। এদিকে, বর্ণিনীর ফোন এল সহজের মোবাইলে বিচিত্রদার অবস্থা ভালো নয়।  
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

সহজের কাছে চিঠিটি এসেছে ‘স্বদেশ’ পত্রিকা থেকে। সেখানে তার গল্প ছাপা হবে। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হয়েছে শুনে বেজায় খুশি সুজি। পিশাচ সাধুর শক্তি সম্বন্ধে তার বক্তব্য, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’। পরের দিন সহজকে নিয়ে ক্যাপ্টেনের বাড়ি যাবে ঠিক করে সুজি।  
বিশদ

16th  May, 2021
ছোঁয়া
বিতস্তা ঘোষাল
 

অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণা। এই দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনও কিছুর অপেক্ষায় নয়। এটা তার অভ্যাস। আসলে একটানা চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাজ করতে করতে ভীষণ হাঁফ ধরে যায়। গুমোট লাগে ঘরটা। বিশদ

09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। বিশদ

09th  May, 2021
একনজরে
উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হলেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় অ্যাশলি বার্টি। অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা শনিবার ফাইনালে ৬-৩, ৬-৭ (৪), ৬-৩ সেটে হারালেন চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা প্লিসকোভাকে। ...

দুর্গাপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদপুর এলাকায় ছাইয়ের স্তূপ থেকে শনিবার অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। ...

কৃষকদের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প রূপায়িত করতে কৃষিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিসগুলিতে এখন জোর কর্মতৎপরতা চলছে। শনিবারের ছুটির দিনে তো বটেই, কোথাও কোথাও রবিবারও কর্মীদের ...

দলীয় কর্মীর গালে চড় মেরে বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার। ঘটনাটি সকলের সামনেই ঘটে। একাধিক ক্যামেরাতেও তা বন্দি হয়। পরে সাংবাদিকদের ভিডিওটি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৮৯ টাকা ৭৫.৬১ টাকা
পাউন্ড ১০১.২৩ টাকা ১০৪.৭২ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৩ টাকা ৯০.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  July, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭০০
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২০০
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯০০
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ ৬/৫১ দিবা ৭/৪৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৩/১৭ রাত্রি ২/২২। সূর্যোদয় ৫/৩/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৯ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ দিবা ৬/৫৮। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ২/১৭। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/৩ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৩ গতে ২/২৩ মধ্যে। 
৩০ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমূখী, কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও
গতকালের তুলনায় রাজ্যে আরও বেশ কিছুটা কমল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ...বিশদ

07:36:19 PM

মহিষাদলে শুরু লেত উৎসব
শুক্রবার বিকেলে মহিষাদলে শুরু হল রথের নেত্রদান বা লেত উৎসব। ...বিশদ

05:49:11 PM

তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ গ্রেপ্তার ১
তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ একটি নৌকা বাজেয়াপ্ত। ঘটনায় ...বিশদ

05:44:15 PM

পেট্রোপণ্য ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, মাথাভাঙায় তৃণমূলের প্রতিবাদ  মিছিল
মাথাভাঙা-২ ব্লকের নিশিগঞ্জে পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব ...বিশদ

04:15:00 PM

কোভিড বিধি ভঙ্গ করায় আলিপুরদুয়ারে গ্রেপ্তার ৪ ব্যবসায়ী

04:01:25 PM

শহরে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ সহ গ্রেপ্তার ২
কলকাতায় একটি বাস থেকে উদ্ধার প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ। ঘটনাস্থল ...বিশদ

03:53:36 PM