Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১২

সহজের কাছে চিঠিটি এসেছে ‘স্বদেশ’ পত্রিকা থেকে। সেখানে তার গল্প ছাপা হবে। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হয়েছে শুনে বেজায় খুশি সুজি। পিশাচ সাধুর শক্তি সম্বন্ধে তার বক্তব্য, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’। পরের দিন সহজকে নিয়ে ক্যাপ্টেনের বাড়ি যাবে ঠিক করে সুজি। তারপর...
 কৃপণ সুরজিৎ গাঁটের কড়ি খরচ করে তেল পুড়িয়ে নিজের বাইক নিয়ে আসবে না। সে বাড়িতে বসে অপেক্ষা করছিল। সহজ বাইক নিয়ে আসতেই সেটার দখল নিল সুজি। সহজকে বলল— পিছনে বোসো। তারপর সুজি বাইক নিয়ে যেন উড়ল। উড়ে উড়ে এসে থামল সটান ক্যাপ্টেনের সামনে।
সাতসকালেই নাকি ক্যাপ্টেনের বাড়ি হানা দিতে হয়। সকালে লোকটার ফুল পাওয়ার থাকে— একথাটা বলেছিল সুরজিৎই। অথচ সুরজিৎই আবার মনে করে, লোকটার তেমন পাওয়ার নেই। ঢপ! পুরোটাই ঢপ!
এখন সকাল আটটা দশ।
সবুজ রঙের চেক লুঙ্গি আর হাফ পাঞ্জাবি গায়ে বাড়ির বাইরে বসেছিলেন ক্যাপ্টেন। সকালবেলা তার সামনে বাইক এসে দাঁড়াতেই অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। বাইক থেকে নেমে সুজি নিজের ক্রমশ কমে আসা চুলে হাত বুলতে বুলতে বলল— গুড মর্নিং ক্যাপ্টেন!
বাইকটা স্ট্যান্ড করিয়েই সুজি কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়েছে, মুখে অদ্ভুত হাসি। হাসিটা ব্যঙ্গের। সহজ ক্যাপ্টেনের মুখের দিকে তাকাল। মুখটা যেন ইলেকট্রিক তারে ঝুলে থাকা মরা কাক। দাড়িগুলো ফনফন করে উড়বে বলে কাঁপছে। সুজি হালকা গলায় বলল, ‘কী গুরু সব ঠিক আছে তো?’
ক্যাপ্টেন হ্যাঁ, না কিছু বললেন না। আগের মতো তাকিয়ে থাকলেন। সুজি বলল, ‘ক্যাপ্টেন, একে মনে আছে তো?’
ক্যাপ্টেন নির্লিপ্ত।
সুজি বলল, ‘এ সহজপাঠ। তোমার পেয়ারের পরির কোলের ছেলে। তুমি বস ওকে ফাঁসিয়ে দিয়েছ। বেচারা হেব্বি কষ্ট পাচ্ছে। আমি বললাম, চলো। যে ঢপ মেরেছে তার সামনেই তোমাকে নিয়ে যাব। তার সঙ্গে বুঝে নেবে।’
সুজির কথায় ক্যাপ্টেন কোনও উচ্চবাচ্য করল না। যেন রাতের ঘুম এখনও কাটেনি।
সুজি বলল, ‘গুরু, কাল খুব মাল খেয়েছ নাকি? খোয়াড়ি কাটেনি!’
সহজ এগিয়ে এসে বলল, ‘ভালো আছেন? আমি সহজ। সহজ মিত্র। আমি ফোন করেছিলাম আপনাকে।’
‘আমাদের সহজপাঠ। একে সেদিন তুমি সময় দিয়েছিলে— তেত্রিশ দিন। তারপর নাকি লাইফ জিঙ্গালালা হয়ে যাবে— মনে আছে? এবার কী হবে?’
সুজি এমনভাবে কথাগুলো বলছিল, যেন ক্যাপ্টেন কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করেনি, সহজের থেকে তেত্রিশটা দিন হাওয়া করে দিয়েছে। এখন সে দল পকিয়ে এসেছে দিনগুলো ফেরত নিতে।
ক্যাপ্টেনের ঠোঁট দুটো কাঁপল। সেদিন খুব দাপট দেখিয়েছেন, আজ সকালবেলা ওদের দেখে একটু গুটিয়ে গেলেন। বুঝতে পারছিলেন, সুজি এবার খিস্তি করবে। তারপর চাড্ডি জ্ঞানের কথা বলবে। নানা নক্কা-ছক্কা গপ্পো করবে, চা খাবে, সিগারেট খাওয়াবে, তারপর যাবে। এই সকালবেলাটা বড্ড বিচ্ছিরি করে দেবে। তেতো হয়ে যাবে। এই আঁটকুড়োর মুখ দেখাও পাপ! সারাটা দিনের ভেতর একটা গজাল ঢুকিয়ে দেবে। ক্যাপ্টেন ভাবছিলেন, সুজিকে থামাতে হবে। পাশাপাশি সহজকে দেখে তিনি সত্যিই একটু গুটিয়ে। বাচ্চা ছেলে, দুধের সর মাখা মুখ! কেন যে অমন কথাগুলো মনে এল! মনেই যদি এল কেন দুম করে বলে ফেলল!
সুজি নিচু আর জড়ানো গলায় একটা খিস্তি দিল। বলল, ‘সহজ কষ্ট করে এসেছে, কিছু বলো ওকে।’
সহজ একটু এগিয়ে এল, বলল, ‘আপনাকে কিছু বলতে হবে না, আমি বলছি—।’
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, নিজেই বলো। যে তোমায় কাঠ খাইয়েছে তাকেই ফার্নিচারটা দিয়ে যাও,’ সুজি বলল। সহজ এগিয়ে এসে প্রণাম করল।
সুজি বিরক্তিমাখা গলায় বলল, ‘প্রণাম করছ করো। ভালো ছেলে দিয়ে কাজের কাজ হয় না। দেবে খিস্তি, করছে প্রণাম। দিলে সব জল ঢেলে—!’
সহজ বলল, ‘আপনি আমাকে তেত্রিশ দিন সময় দিয়েছিলেন, বলেছিলেন— আমার কিছু একটা হবে। আমার কিছু একটা হয়েছে। যেটা হয়েছে— সেটা দারুণ এক ব্যাপার।’
কথাটা শুনেই ক্যাপ্টেন চোখ কুঁচকে তাকালেন। ভাবটা এমন— ছেলেটা তার সঙ্গে খেলছে।
সুজি বলল, ‘লে হালুয়া!’
সহজ বলল, ‘কাল রাতে আমার কাছে একটা খবর এসেছে, স্বদেশের নাম শুনেছেন, নামী পত্রিকা। সেখানে আমার লেখা বেরুচ্ছে। যা আমি কোনওদিন আশা করিনি। আমার স্বপ্ন!’
‘অ্যাই সহজপাঠ তুমি সত্যি বলছ? না, ড্রামা করছ? কই এ কথা তো তুমি আমাকে বলোনি? আমাকে ঢপ মেরে নিয়ে এলে! না, ওকেই ঢপ মারছ?’
সহজ বলল, ‘আমি সত্যি বলছি— এটা আমার জীবনে খুব বড় ঘটনা! আমি ভাবতেই পারিনি। আর এটা ঘটার কোনও কারণও ছিল না। কারণ, লেখাটি আমি পাঠাইনি।’
‘তাহলে কে পাঠাল?’ সুজি গম্ভীর মুখে বলল।
‘নিশ্চয়ই পরমেশ্বরদা। আমি ওকে পড়তে দিয়েছিলাম।’
ক্যাপ্টেন মাথা নাড়ালেন, ‘সত্যি! যা! আমি যে ভালো কথা বলেছি, ভালো কথা মিলে গেল!’
সুজি ভ্রু কুঁচকে বলল, ‘ক্যাপ্টেন তোমাকে কি পরমেশ্বর কখনও সহজের লেখালিখির কথা বলেছিল? পরমেশ্বর পত্রিকা অফিসে লেখা জমা দিচ্ছে তুমি জানতে?’
সুজি তীক্ষ্ণ গলায় ডিটেক্টিভ হয়ে উঠতে চায়।
‘দুঃশালা খেয়ে দেয়ে কাজ নেই আমার, তোদের কথা শুনে এ-কান থেকে ও-কানে ঢালতে যাব? বল, বল, কী লেখা লিখেছিস তুই—গপ্পো! কাকে নিয়ে গপ্পো? আমাকে নিয়ে?’
সুজি বলল, ‘ক্যাপ্টেন তুমি স্কিম করছ— তোমাকে পরমেশ্বর ঘুঁটি সাজিয়ে দিয়েছে, তুমি ছক্কা ফেলছ!’
ক্যাপ্টেন হা হা করে হেসে উঠলেন।
সুজি ওর পাশের জায়গায় ধপ করে বসে পড়ল। বলল, ‘একটা লেখা ছাপা হয়েছে তো কী হয়েছে? ক’টাকা পাবে? চাকরি হবে?’
কিন্তু ক্যাপ্টেন খুশ, বললেন, ‘বোসো ভায়া!’
সুজি গর্জন করছে, ‘ফালতু! বাঙালিদের কিছু হবে না। একটা লেখা ছাপা হয়েছে, যেন লটারি পেয়েছে। রবীন্দ্রনাথ হয়ে গিয়েছে! কী খুশি!’
ক্যাপ্টেন সহজকে বলল, ‘তুই খুশি!’
‘হ্যাঁ, আমি তো খুশি!’
‘তাহলে আনন্দে থাকা বাচ্চা! দাঁড়া চা বলি—।’ ক্যাপ্টেন একটুখানি মুখ তুলে জানলার সামনে নিয়ে গিয়ে হাঁক দিল। ‘তিন কাপ চা করো— সুজি এয়েছে, সহজ এয়েছে।’
ক্যাপ্টেনের পিছন দিকের বাঁ পাশের দরজা খুলে গেল। সহজের মুখোমুখি বঁড়শি। ওকে দেখে খুব সুন্দর করে হাসল, বলল, ‘কখন এলে?’
ক্যাপ্টেন বলল, ‘এয়েছে, অনেকক্ষণ আগেই এয়েছে। এসে থেকে খিস্তি দিচ্ছি।’
‘কে খিস্তি দিচ্ছে?’ বঁড়শি বেশ ক্ষুব্ধ গলায় বলল।
ক্যাপ্টেন হাসল, ‘এই সুজি।’
সুজি বলল, ‘ডাহা মিথ্যে কথা!’
বঁড়শি মুখ ব্যাজার করল, ‘এই বুড়োটা এমন, কাছের লোকদের ঠেলা মারে! ঠাকুরপো তোমরা বোসো, আমি চা করি।’
বঁড়শি চলে যেতেই সুজি আবার ডিটেক্টিভ হল। বলল, ‘গুরু, একটু ঝেড়ে কাশো না, তোমার পরি ওর গল্প স্বদেশে পাঠিয়েছিল তুমি জানতে। পরির অনেক সোর্স, একটা গল্প ছাপিয়ে দেওয়া ওর কাছে কোনও ব্যাপার। খবরের কাগজের কত লোকই তো ওর কাছে আসে।’
চা আসে।
ক্যাপ্টেন চুপ করে বসে আছেন। সুজি চা খায়। সিগারেট ধরায়। চাপা গলায় বলে, ‘ক্যাপ্টেন তুমি সব জানতে, জেনে শুনে স্কিম করেছ।’
ক্যাপ্টেন চায়ের কাপ রাখেন। তারপর খুব শান্ত মুখে বলে, ‘তুই জানতিস, তুই কোনওদিন বাবা হতে পারবি না? সাত বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছিস। হলি না। অথচ এখন হঠাৎ তুই বাপ হয়ে গেলি সুজি! বউকে জিজ্ঞেস করেছিস...’
ক্যাপ্টেনের কথায় ঠিকরে ওঠে সুরজিৎ। ‘ক্যাপ্টেন মুখ সামলে কথা বলবে।’
ক্যাপ্টেন দাঁত ছরকুটে হাসে, ‘রোয়াব দেখাস না সুজি, যা, যা বউকে গিয়ে জিজ্ঞেস কর...।’
সুজি থরথর করে কাঁপছে। ‘তুমি আমার বাড়িরলোক নিয়ে ইনসাল্ট করছ।’
‘ক্ষেত্রজ পুত্র জানিস? মহাভারতে আছে, শাস্ত্র তোদের জন্য ব্যবস্থা করে রেখেছে—।’
‘খুব পচা মাল তুমি— আমার কাছে মেশিন থাকলে তোমাকে আমি—।’
ক্যাপ্টেন হাসেন, ‘সে আমার কপালে আছে—নলি কেটে, বলি হবো। কিন্তু তোর হাতে হব না। আমি কোনও নপুংসকের হাতে মরব না সুজি।’
সহজ দেখল পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে। সে বলল, ‘আসি ক্যাপ্টেন। চলো আমরা যাই।’
‘আবার আসিস। যেতে যেতে সুজিকে আট প্রকার বিয়ে, আর বারো প্রকার সন্তান কী কী একটু বলে দিস বাপ!’
সহজ বাইকের কাছে যায়। সুজির কাছে বাইকের চাবি। সুজি এসে বসে, বাইকে স্টার্ট দেয়। সহজ ওঠে। বাইকের আওয়াজ শুনে বঁড়শি বেরিয়ে এসেছে।
‘আবার আসিস। শোন, এদের সঙ্গে মিশিস না। এদের সব ধসা রোগ লেগেছে। সবগুলো ধসে যাবে। ওই পরি বাড়ি ফেলে পালাবে। ওই সুজি— কাক হয়ে কোকিলের বাচ্চা মানুষ করবে।’
সুজি বাইক নিয়ে বেরিয়ে এল ক্যাপ্টেনের বাড়ির রাস্তা ছেড়ে। সুজি গর্জন করছে। সহজ পিছন ফিরে দেখল— বঁড়শি হাত নাড়াচ্ছে। একটু এসে সুজি গিয়ারের গোলমাল করে স্টার্ট বন্ধ করে ফেলল। আবার বাইক চলতে শুরু করল। সহজের মনে হল, বাইকটা যেন টলমল করছে। সহজ বলল, ‘মনে হচ্ছে হাওয়া কম।’
সুজি বাইকটা রাস্তার ধারে দাঁড় করাল। বলল, ‘আমার শরীরটা খারাপ লাগছে, তুই চালা ভাই।’
সহজ বাইক চালাচ্ছে। আরও কিছুটা রাস্তা আসার পর সহজের মনে হল সুরজিৎ ওর গায়ের ওপর ঢলে পড়ছে। যে কোনও সময় বাইক থেকে পড়ে যাবে। সহজ একটা চায়ের দোকান দেখে বাইক থামল। বলল, ‘চা খাবে সুজিদা।’
সুজি উত্তর করল না। বাইক থেকে নেমে চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসল দু’জনে। সহজ দেখল শূন্য চোখে সুজি পেটাই পরটার দিকে তাকিয়ে আছে। বলল, ‘সুজিদা পরটা খাবে। অনেকদিন খাইনি।’
‘নে।’
সহজ পেটাই পরোটার অর্ডার দিল। পরোটা ওজন করে ছিঁড়ে ছিঁড়ে তার ওপর আলু ভরা ঘুগনি দিয়ে দোকানদার দুটো থালা এগিয়ে দিল। সহজ খাচ্ছিল। সুরজিৎও খাচ্ছিল, তবে সেটা মেশিনের মতো। অন্য সময় হলে সুজি লঙ্কা চাইত, মশলা চাইত, আরও একটু ঘুগনি নিত। আজ কোনও কথা বলল না। মাঝে মাঝে সুরজিতের দু’চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। ওর বুকের ভেতর হু হু করছে। ক্যাপ্টেন ঠিক কথা বলল না। ভেতর ভেতর সুজি কাঁপছে, ও বাড়ি ফিরে মৈত্রেয়ীকে কী বলবে? না, না, ও কিছু বলবে না। ওয়েট করবে। সুজি ছাড়ার পাত্র নয়, সে টেস্ট করাবে। ডিএনএ টেস্ট করাবে। বাইক স্টার্ট দিল সহজ। সুজি বসল। তারপর হুড়মুড় করে নেমে এল সুজি। হড়হড় করে বমি করল।
দোকানি জলের জগ নিয়ে দৌড়ে এল। সুজি বিড়বিড় করল, ‘অ্যাসিড হয়ে গিয়েছে।’ সে বিড়বিড় করে চলেছে— ডিএনএ করাব। দেখে নেব। তারপর সারা রাস্তা আলুর বস্তার মতো সুজি এল লগবগ করতে করতে। সহজ বলল, ‘তোমাকে কোথায় নামাব?’
‘অফিসে নিয়ে চল।’
অফিসের সামনে বাইক থেকে নেমে সুরজিৎ বলল, ‘তুই আমার ছোট ভাইয়ের মতো, ক্যাপ্টেনের কথা বিশ্বাস করিস না। কাউকে বলিস না।
এসব কথা সবাই জানলে আমাকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে হবে।’
সহজ বলল, ‘ওই ক্যাপ্টেনের কথা আমি বিশ্বাস করি না! ওকে নিয়ে আমি একটু খেললাম।’
হঠাৎ সুরজিৎ হাউ হাউ করে কেঁদে উঠল। বলল, ‘এমন কথা কেউ কাউকে বলে? এর থেকে ক্যাপ্টেন আমাকে জুতো দিয়ে মারতে পারত। আমাকে অভিশাপ দিতে পারত। কিন্তু কেউ এমন কথা বলে? তবু তুই কাউকে কোনও কথা বলিসনি ভাই।’
সুরজিৎ মাথা নিচু করে অফিসে ঢুকে গেল।
তখনই সহজকে ফোন করল বণির্নী। ‘শোন না, বিচিত্রদার শরীরটা খুব খারাপ। হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, আর কোনও উপায় নেই।’
‘হাসপাতাল?’
‘হ্যাঁ, আমি একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে বিচিত্রদাকে সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। তোরা গিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে ফেল।’
‘আচ্ছা।’
সহজ ফোন রেখেই সামনে দেখল নচে আর গৌরা। সহজ ওদের বিচিত্রদার খবরটা দিল। তারপর দু’জনকে বাইকে তুলে ছুটে চলল হাসপাতালের দিকে। নচে বলল, ‘ভাই আস্তে বাইক চালা। আমার কপালে অপঘাতে মৃত্যু লেখা আছে।’
কথাটা বলার সময় নচের গলা কেঁপে উঠল, ‘অ্যাক্সিডেন্টটাও অপঘাত তো?’
(চলবে) 
16th  May, 2021
পিশাচ সাধু  
 

ভবিষ্যৎ জানতে সহজের সঙ্গে পিশাচ সাধুর বাড়িতে হাজির হল সৃজনী। ক্যাপ্টেন ব্যঙ্গ করে জটিলা বলে ডাকতে শুরু করলেন সৃজনীকে। ভবিষ্যৎ জানতে চাইতেই পিশাচ সাধু ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, নীলাদ্রির সঙ্গে তার প্রেমের পরিণতি ভয়ঙ্কর। বরং, মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার জন্য সৃজনীর পড়ায় মন বসানো উচিত। বিশদ

পিশাচ সাধু
 

নচের মেয়ের কাছ থেকে পিশাচ সাধুর বিষয়ে জানতে পেরেছে সহজের ছাত্রী সৃজনী। সেও জ্যোতিষীর কাছে ভবিষ্যৎ জানতে চায়। তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সৃজনী। বিশদ

04th  July, 2021
কৃষ্ণাঙ্গ

সাইপ্রাস গাছের সূক্ষ্ম পাতার কোণে কোণে জলবিন্দু জমে আছে। রাতে বৃষ্টির পর সকালের মুক্তোরঙা আকাশ কমনীয় অথচ নির্ভার। নরম বালিশের কোলে পাশ ফিরল অনঘ। আলগা অপলক মেঘের গায়ে গোলাপি রঙের ছোঁয়া। বিশদ

04th  July, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীর সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি গেল সহজ। আর সেখানে গিয়েই গল্প প্রকাশের রহস্যের জট কাটল। আসলে পত্রিকা অফিসে গল্পটি পাঠিয়েছিলেন বিচিত্রদা। কিন্তু সহজের মুখে পিশাচ সাধুর নাম শুনে ভীষণ খেপে গেলেন তিনি। বিশদ

27th  June, 2021
মাধুকরী  
সৌরভ মিত্র

 

 মেঘ ডাকছিল এতক্ষণ। পাকা রাস্তা ধরে কয়েক পা এগতেই বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হল। ভালোই মেতেছে! দশহাত দূরের মানুষকেও যেন চেনা দায়! পশ্চিম কালো হয়ে আসছিল সকাল থেকেই। গুপ্ত-বৃন্দাবনের মেলার তাড়া না থাকলে হয়তো ঘর ছাড়ত না সুদাম গোঁসাই। বিশদ

27th  June, 2021
পিশাচ সাধু

শিবশম্ভু দারোগার ছোটবউ সনকার কাছ থেকে তার জীবনের গল্প শুনল সহজ। পরিচয় হল নন্দিনীর সঙ্গে। সনকার কাছ থেকে জানতে পারল তিন নারীর লড়াইয়ের কাহিনি। তারপর...  বিশদ

20th  June, 2021
পিশাচ সাধু

পরমেশ্বরের অফিসে শঙ্করের সঙ্গে এক চোট হয়ে গেল সহজের। মজা করতে গিয়েই এই বিপত্তি। সুজি কিছুতেই ক্যাপ্টেনের কথাগুলো ভুলতে পারছে না। এদিকে, পরমেশ্বর বিকেলে সহজকে একজনের বাড়িতে নিয়ে গেল। তারপর... 
বিশদ

13th  June, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৫
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

শঙ্কর বলল, ‘তুমি চান্স নাও। সব পাখি মাছ খায় দোষ হয় মাছরাঙার! আমার দরকার নেই। আমার অনেক আছে।’ বিশদ

06th  June, 2021
ছাতা হারানোর পর
রিমি মুৎসুদ্দি

কলি জানত, মম্পা নিজে পড়াশোনা বিশেষ করে না। সারাক্ষণ মিটিং মিছিল নিয়েই ওর সময় কাটে। এমন মিটিং মিছিল করা ছেলের সঙ্গে কী করেই বা ও জড়াত নিজেকে? আর তাও যদি মম্পার রেজাল্টটা তেমন কিছু হতো তাহলেও কিঞ্চিৎ বিবেচনায় ওকে রাখতে পারত।  বিশদ

30th  May, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বিচিত্রদাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে একপ্রস্থ নাটক হল। যদিও শেষপর্যন্ত বিচিত্রদার কপালে বেড জুটল। নচের নানা মজার কীর্তি বর্ণিনীকে শোনাল গৌর। এদিকে, ক্যাপ্টেনের অলৌকিক শক্তি যে কমেনি, তা সহজের গল্প প্রকাশের সুবাদে আরও একবার পরমেশ্বরের গ্রুপে প্রমাণ হয়ে গেল। তারপর... বিশদ

30th  May, 2021
কালা চশমা 
শুচিস্মিতা দেব

সুমিতাকে প্রবাস জীবনের শুরুতে সংসারের বাঙালি স্বাদগন্ধ বজায় রাখতে কম মেহনত করতে হয়নি! কোথায় মেলে বাঙালি পুরুতঠাকুর... শুক্তো-মুড়িঘণ্ট, স্পেশালিস্ট বঙ্গ ক্যাটারার... গাওয়া ঘি-গোবিন্দভোগ চাল অথবা শারদীয় পত্রপত্রিকা! কর্তাটি তার নির্ভেজাল খাঁটি বাঙাল ফলে দীর্ঘ দিল্লিবাসে যাবতীয় বঙ্গসমাচার এখন সুমিতার নখদর্পণে। 
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনকে গালমন্দ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনল সুজি। ‘কাক হয়ে কোকিলের বাচ্চা মানুষ করবি সুজি,’ পিশাচ সাধুর মুখ থেকে বেরিয়ে এল কয়েকটি ভয়ঙ্কর শব্দ। যা তাকে সারা জীবন কুড়ে কুড়ে খাবে। এদিকে, বর্ণিনীর ফোন এল সহজের মোবাইলে বিচিত্রদার অবস্থা ভালো নয়।  
বিশদ

23rd  May, 2021
ছোঁয়া
বিতস্তা ঘোষাল
 

অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণা। এই দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনও কিছুর অপেক্ষায় নয়। এটা তার অভ্যাস। আসলে একটানা চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাজ করতে করতে ভীষণ হাঁফ ধরে যায়। গুমোট লাগে ঘরটা। বিশদ

09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। বিশদ

09th  May, 2021
একনজরে
কৃষকদের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প রূপায়িত করতে কৃষিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিসগুলিতে এখন জোর কর্মতৎপরতা চলছে। শনিবারের ছুটির দিনে তো বটেই, কোথাও কোথাও রবিবারও কর্মীদের ...

দুর্গাপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদপুর এলাকায় ছাইয়ের স্তূপ থেকে শনিবার অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। ...

পাঁচ বছর পর উদ্ধার হল ঘরছাড়া কিশোরী। দালালচক্রের হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করেছে পুলিস। ঘটনায় আব্দুল দিশান মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে চুঁচুড়া থানার ব্যান্ডেলের একটি বাড়ি থেকে ১৭ বছরের ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ...

দোকানে হালখাতা সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার তিওরে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৮৯ টাকা ৭৫.৬১ টাকা
পাউন্ড ১০১.২৩ টাকা ১০৪.৭২ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৩ টাকা ৯০.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  July, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭০০
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২০০
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯০০
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ ৬/৫১ দিবা ৭/৪৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৩/১৭ রাত্রি ২/২২। সূর্যোদয় ৫/৩/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৯ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ দিবা ৬/৫৮। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ২/১৭। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/৩ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৩ গতে ২/২৩ মধ্যে। 
৩০ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমূখী, কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও
গতকালের তুলনায় রাজ্যে আরও বেশ কিছুটা কমল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ...বিশদ

07:36:19 PM

মহিষাদলে শুরু লেত উৎসব
শুক্রবার বিকেলে মহিষাদলে শুরু হল রথের নেত্রদান বা লেত উৎসব। ...বিশদ

05:49:11 PM

তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ গ্রেপ্তার ১
তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ একটি নৌকা বাজেয়াপ্ত। ঘটনায় ...বিশদ

05:44:15 PM

পেট্রোপণ্য ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, মাথাভাঙায় তৃণমূলের প্রতিবাদ  মিছিল
মাথাভাঙা-২ ব্লকের নিশিগঞ্জে পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব ...বিশদ

04:15:00 PM

কোভিড বিধি ভঙ্গ করায় আলিপুরদুয়ারে গ্রেপ্তার ৪ ব্যবসায়ী

04:01:25 PM

শহরে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ সহ গ্রেপ্তার ২
কলকাতায় একটি বাস থেকে উদ্ধার প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ। ঘটনাস্থল ...বিশদ

03:53:36 PM