Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৫
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

সহজের ঠাকুরদা শশাঙ্ক মিত্র। ঘরবন্দি হয়ে ‘মহাভারত’ থেকে কীসব লেখালিখি করেন। তা অবশ্য বাড়ির কেউ পড়ে দেখেনি। শশাঙ্ক চান জীবনের শেষ ক’টা দিন গুরুদেবের আশ্রমে কাটাতে। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণে বাধা সৃষ্টি করছেন বৃদ্ধের স্ত্রী বাসবীর চক্রান্ত। এদিকে, সম্বুদ্ধ চান ছেলে সহজই ঠাকুরদার সৃষ্টিগুলিকে বাঁচিয়ে রাখুক। তারপর...
অফিস ঘরে পরমেশ্বর মুখ আলো করে বসে আছে। টেবিলের সামনে পড়ে আছে স্বদেশ পত্রিকাটি। সহজ ঢুকতেই ভানুদা একটু থামল।  শঙ্কর বলল, ‘আহা তুমি থামলে কেন ভানুদা। ক্যাপ্টেন এমন মাথায় ঢোকাল, বিষয়টা ইন্টারেস্টিং, আমি জানতে চাই, আমার খুব দরকার।’
সহজকে দেখেই ভানুদা বলল, ‘আমার থেকে ও ভালো জানে। ওকে জিজ্ঞেস করো?’
সহজ দেখল ঘরের ভেতর চাঁদের হাট। নচে, গৌরা, দীপু, অমলদের প্রায় পুরো টিম। জনা পনেরো ষোলো ছেলে। পরমেশ্বরদার টেবিল ঘিরে বসে আছে সুজিদা, শঙ্করদা, ভানুদা। টেবিলের ওপর দুটো সিগারেটের প্যাকেট। শঙ্কর একটা ছেলের পিঠে থাবড়া দিল, বলল, ‘চেয়ারটা ছাড়—সহজকে বসতে দে।’ সে চেয়ার ছেড়ে দিয়ে গরাদহীন খোলা জানলার ধারে গিয়ে বসল। শঙ্কর বলল, ‘বলো।’
সহজ বলল, ‘কী বলব?’
ভানুদা বলল, ‘আমাদের শাস্ত্রে আট রকম বিয়ে আর বারো রকম সন্তানের থিওরি দিয়ে গিয়েছেন মুনি ঋষিরা। সেই বিয়ে আর সন্তানগুলোর থিওরি চাইছিল শঙ্কর। ওটা একটু ক্লিয়ার করে তুমি ওকে বুঝিয়ে দাও তো ভাই।’
সহজ দেখল ওদের কথার মাঝে সুজি মুখ নিচু করে নিল। সে এক ঝটকায় বুঝে গেল ক্যাপ্টেন নিশ্চয়ই শঙ্করকে কিছু বলেছে।  সেটা শুনে এসে শঙ্কর সবার সামনে সুজিকে খিল্লি করছে। সহজ ভাবার চেষ্টা করল, শঙ্কর কতটা জানে? ক্যাপ্টেন ওকে কতখানি বলেছে?   
সহজ বলল, ‘আমি শাস্ত্র জানি না।’
‘তুমি জানো না কি, আমাকে যে ক্যাপ্টেন বলল, সহজ জানে,  আট রকম বিয়ে আছে। আমি ছোট বউটাকে রাক্ষসপ্রথায় বিয়ে করেছি আর ছোটবউটা ক্ষেত্রজ প্রথায় সন্তানের মা হবে। ও যাকে মনে করবে, তাকেই ডেকে এনে সন্তান চাইবে।’
সহজ বলল, ‘উনি প্রলাপ বকেন। আমি এসবের কিছুই জানি না।’
‘তুমি জানো না! এই যে ভানুদা বলল, শাস্ত্রে আছে।’ শঙ্কর মৃদু ধমক দিল। 
ভানুদা বলল, ‘তবে আমি যেটুকু জানি সেটুকুই বলি। আট রকম বিয়ে হল— ব্রহ্মবিবাহ, দৈববিবাহ, আর্ষবিবাহ, প্রজাপত্যবিবাহ, আসুরবিবাহ,  গান্ধর্ববিবাহ, রাক্ষসবিবাহ, পৈশাচবিবাহ। এর মধ্যে রাক্ষসবিবাহ আর পৈশাচবিবাহটা খুব খারাপ। রাক্ষস বিয়েতে খুনখারাবি করে মেয়ে লুঠ করে নিয়ে এসে বিয়ে করা হয়। আর পৈশাচবিবাহ হল কোনও মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থা বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রেপ করে তাকে বিয়ে করা। আমি শাস্ত্রের কথা পাতি বাংলায় বললাম। এবার তোমরা বুঝে নাও।’
ভানুদার কথা শুনে, শঙ্কর নিজের মাথায় হাত বোলাল। বলল, ‘শাস্ত্রে আছে! ক্যাপ্টেন বলছিল ও রাক্ষসপ্রথায় ছোটবউটাকে বিয়ে করেছে! তার মানে ওই ছোটবউকে খুনখারাবি করে বিয়ে করেছে!’
পরমেশ্বর বলল, ‘না, না, ক্যাপ্টেন হাবিজাবি বকে।’
‘না, না, নির্ঘাত কোনও গোলমাল আছে। নইলে অমন একটা মেয়ে কেন ওকে বিয়ে করবে? ছেলের কি অভাব! এবার বলছে— ক্ষেত্রজ সন্তান চাই। অন্য কোনও স্কিম আছে।’
শঙ্কর বেশ চিন্তান্বিত। বলল, ‘এবার বারোরকম সন্তানের কেসটা বলো?’
ভানুদা হাসে, ‘সব কী মনে আছে ছাই। আমি বলছি, তোমরা গোনো। —ঔরসপুত্র, ক্ষেত্রজপুত্র, দত্তকপুত্র, কৃত্তিমপুত্র, গূঢ়োৎপন্নপুত্র, অপবিদ্ধপুত্র, কানীনপুত্র, সহোঢ়পুত্র, ক্রীতপুত্র, পৌনর্ভবপুত্র,  স্বয়ংদত্তপুত্র, শৌদ্রপুত্র— এই বারোটা হল।’ ভানুদা হাতের কড়গুনে পর পর বলে গেল। 
সহজ খুব শান্ত গলায় বলল, ‘ক্যাপ্টেন ক্ষেত্রজ সন্তান চাইছে। মানে উনি মৃত নন, তাহলে ব্যাধিগ্রস্ত। মনে কর, উনি তোমাকে পছন্দ করে নিয়োগ করলেন। শঙ্করদা তুমি কিন্তু চান্স নিতে পার।’
শঙ্কর বলল, ‘তুমি চান্স নাও। সব পাখি মাছ খায় দোষ হয় মাছরাঙার! আমার দরকার নেই। আমার অনেক আছে।’
সহজ হাসে, ‘হ্যাঁ, ক্যাপ্টেন বলছিল, তোমার ছ’কোণে ছ’টি নারী দাঁড়িয়ে আছে। পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, ঈশান, নৈর্ঋতে নাকি তোমার ছ’জন নারী! দু’টি বউ আর চারটি কন্যারত্ন। অগ্নি আর বায়ু কোণ বাকি। দেখো, যদি একটি নতুন বউ আর ক্ষেত্রজ উপায়ে আর একটি কন্যাসন্তানের পিতা হতে পার, তাহলে তিন বউ আর পাঁচ কন্যায় আট কোণ ভরে যাবে।’
শঙ্কর বলল, ‘ক্যাপ্টেন আমাকে নিয়ে খিল্লি করেছে। একদিন গিয়ে ওই বুড়োর বুকে লাথি মেরে আসব।’
সহজ হাসছে, ‘সত্যি লোকটা প্রলাপ বকেন। খুব বাজে কথা বলেন। আমাকে বললেন— শঙ্করের রোবট কালী আছে।’
চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল শঙ্কর। ‘ভাই, তুমি একটু বেড়ে খেলছ। উনি তোমাকে বলেছে? না, তুমি এখানে শুনে বলছ?’
‘প্লিজ শঙ্করদা মাইন্ড করো না, উনিই আমাকে বলেছেন। যা বললেন আমি শুনলাম। প্রয়োজন হলে তুমি ওঁকে জিজ্ঞাসা করে নিও। আমার সঙ্গে সুজিদা ছিল। আমি একা ছিলাম না।’
‘শোনো, আমি ওসব সাক্ষী টাক্ষী বুঝি না। শঙ্কর বাপের ব্যাটা, যা করে সবার চোখের সামনে করে।’ শঙ্কর আসর ভেঙে গট গট করে বেরিয়ে গেল। সবাই হো হো হাসিতে ফেটে পড়ল। পরমেশ্বর বলল, ‘শঙ্কর কিন্তু তোর ওপর খেপে গিয়েছে। রোবট কালী কে জানি? ওর সেকেন্ড বউ। শঙ্কর সুযোগ পেলেই তোকে পেটাবে।’
নচে, অমল ঠিকরে উঠল। নচে বলল, ‘কাকে দিয়ে পেটাবে, ওর হাতে এক পিস ছেলে আছে? সেই তো আমাদের বলতে হবে। আমরা ওকে টোকাও মারব না।’
এত কথার মাঝে সুজি মুখ শুকনো করে বসে আছে। একটু পরে সুজি ফিসফিস করে বলল, ‘তোমার কি মনে হয় ক্যাপ্টেন আমার কথাটা শঙ্করকে লাগিয়েছে?’
সহজ শান্ত মুখে বলল, ‘কী কথা? তুমি ওই ফালতু লোকটার কথা গুরুত্ব দিচ্ছ কেন? উনি দু-চার পাতা শাস্ত্র পড়েছেন, সেটা বলেছেন শঙ্করদাকে।’
সুজি বুকে হাত ঠেকাল, বলল, ‘তাই যেন হয়। তবে ভাই আমি থামব না। আগে পিশাচটার মুখ বন্ধ করব, তারপর ঘরের লোকের মুখোমুখি হবো।’ সুজি কথাটা পুরো বলতে পারল না। কথাগুলো গলার ভেতর আটকে গেল।
সহজ বলল, ‘তুমি কুকুরের ঘেউ শুনেই ভাবছ চোর এসেছে।’
‘বিশ্বাস করো আমি ক’দিন ধরে খেতে পারছি না, শুতে পারছি না। সবকিছু আমার কাছে বিষবৎ! পলিটিক্যাল সিচ্যুয়েশন যদি আগের মতো থাকত, আমি মেরে ওকে পাঁজরা ভেঙে দিতাম।’
সহজ বলল, ‘এই জন্য তোমাকে সবাই মাথামোটা বলে।’
সহজের কথায় চমকে উঠল সুরজিৎ, ‘কী! আমি মাথামোটা!’
সহজ বলল, ‘হ্যাঁ, তাই তো দাঁড়াচ্ছে। ওই পিশাচটা কী বলল, সেটা নিয়ে তুমি পড়ে আছো? অথচ তোমার সামনে একটা এত বড় খেলা হচ্ছে, তুমি বুঝতে পারছ না!’
‘কী খেলা?’ সুরজিৎ চাপা গলায় জিজ্ঞাসা করল।
‘শঙ্করদা খেলতে এসেছিল? বুঝেছ?’
‘শঙ্কর আমাকে নিয়ে খিল্লি করতে এসেছিল, সেটা আমি বুঝব না।’
‘কিন্তু ও কি পারল? পারল না। ও তোমাকে নিয়ে খেলছে না। আড়ালে থেকে এই খেলা খেলছে ওই পিশাচটা। ও ওই মেয়েটাকে টোপ করেছে শঙ্করের সামনে। টোপ করে ক্ষেত্রজ সন্তানের গল্প দিচ্ছে। বলে দিচ্ছে, বঁড়শি যে পুরুষকে আহ্বান করবে তাতে ওর আপত্তি নেই।’
সুজি চোখ বড় বড় করল, ‘হ্যাঁ, তাই তো।’
‘মেয়েটাকে দিয়ে শঙ্করকে গাঁথতে চাইছে। শঙ্কর এখানে এসেছিল সেই ক্ষেত্রজ সন্তান ব্যাপারটা বুঝতে।’
‘সত্যি ওই মেয়েটা তাহলে বঁড়শি!’
‘দেখো, প্রথমদিন বলেছিল, তোদের শঙ্কর আমার ঘরে সিঁদ কাটছে। পিশাচ সাধু কী বলেছিল সেদিন, শঙ্কর বঁড়শির দিকে এগুলে রক্তবমি করাবে। আর আজ কী বলছে— বঁড়শি যাকে খুশি ডেকে নেবে। একটাই মানুষ কিন্তু পুরো দু’রকম কথা বলছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ও শঙ্করের জন্য ফাঁদ পাতছে।’ সুজি মাথা নিচু করে বসে আছে। সহজ দেখল, ক’দিনে ওর চোখের কোলে কালি জমে। কেমন যেন অবিন্যস্ত চেহারা। সেই প্রমোটারসুলভ ফিটফাট বাবুটি আর নেই। অফিসঘরে আজ উপচে পরা ভিড়। নানারকম কথাবার্তা চলছে।
সহজ চাপা গলায় বলল, ‘শোনো সুজিদা, তোমাদের ক্যাপ্টেন খুব চালাক। নিজেকে ক্যামোফ্লেজ করার জন্য পিশাচ পিশাচ বলে নাটক করে। ওঁর পাওয়ার টাওয়ার কিচ্ছু নেই। যা আছে তা হল পোষা কিছু ইনফরমার আর অসম্ভব অনুমান ক্ষমতা। সেটা চরম বাস্তববাদী কথা। কিন্তু সেসব কথা সাহস করে ক’জন বলতে পারে। পরমেশ্বরদা যে ধরনের রাজনীতি করত তাতে গুলিগোলা চলবে এটা তো স্বাভাবিক। শঙ্কর প্রোমোটিং করে বড়লোক হয়েছে। জিরো থেকে অনেক টাকা কামিয়েছে। খুব ভালো করে ভেবে বলো তো তুমিও তো জিরো ছিলে, তোমার ব্যাঙ্কে এখন কত টাকা? ক্যাপ্টেন কিন্তু তোমাকে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করেনি। অথচ তুমিও প্রচুর কামাচ্ছ। সবাই জানে।  শঙ্করের নারীর নেশা ছিল। টাকা হয়েছে নেশা মেটাচ্ছে। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করছি, এই সরকার ওল্টালে তোমরাও এত কাজ আর করতে পারবে না। এলাকা ছাড়া হবে। মিলিয়ে নিও। কিন্তু শঙ্কর থাকবে, ও টাকা পয়সা দিয়ে ঠিক ম্যানেজ করে নেবে। টাকায় সবাই বশ। ওই ক্যাপ্টেন পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকটা দারুণ বিশ্লেষণ করতে পারে। তার জোরেই কিছু কথা বলে। বেশির ভাগ কথাই চমক দেওয়া। আর শোনো, উনি আমার কোনও কিছু মেলাননি। উনি আমাকে নিয়ে খেলছেন। আমিও ওই সাধুকে নিয়ে খেলছি। এটা একটা গেম! আমি জানতাম, ওই গল্পটা আমার ছাপা হবে। তিন মাস আগেই ওরা আমাকে জানিয়ে দিয়েছিল। আমি এখন ওটা নিয়ে নাটক করলাম। পুরো ফলস!’
সুজির মুখের দিকে তাকিয়ে সহজ খুব শান্ত আর নির্লিপ্ত গলায় কথাগুলো বলল। শেষটাও করল খুব সুন্দর মিথ্যে কথা দিয়ে। 
সুজি চুপ করে থাকল কিছুক্ষণ। তারপর খুব ধীরে ধীরে বলল, ‘ওগুলো তোমাদের বিষয়। আমার কিছু এসে যায় না। আমাকে আমারটা বুঝে নিতে হবে। আমি কাক হয়ে কোকিলের ছানা মানুষ করব না। আমি আজ না হোক কাল ডিএনএ টেস্ট করাবই।’
‘তাই করিও, যাতে তোমার শান্তি।’
সহজ বুঝল সুজির গাঁটে কথাটা আটকে গিয়েছে, কিছুতেই ও গাঁট খুলবে না। আর বুঝিয়ে লাভ নেই। ওরা অফিসের ঘরের সামনের ছাদে ছিল। সহজকে ঘরে ডাকল পরমেশ্বর। ওর টেবিলে ওপর স্বদেশ পত্রিকা। পরমেশ্বর ড্রয়ার খুলে সহজের গল্পটা বের করে টেবিলের ওপর রাখল। বলল, ‘এই তোর গল্প, বিশ্বাস হল। আমি তোর লেখা কোথাও পাঠায়নি। তোর আরও দুটো লেখা আছে, তুই পড়তে দিয়েছিলি, পড়েছি। দেখ সবগুলোই আছে।’ 
সহজ লেখাটা নিয়ে পাতা উল্টে গেল। তবে কে লেখাটা পাঠাল! কে? 
পরমেশ্বর বলল, ‘তুই আমার সঙ্গে এক জায়গায় যাবি? একজন তোর সঙ্গে একটু কথা বলতে চান। কে এখন বলব না। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আমি তোকে তুলে নেব।’
বিকেলবেলা পরমেশ্বর গাড়ি নিয়ে এল। 
পাঁচটা নাগাদ পৌঁছে গেল, হাজরা মোড় পেরিয়ে ২৩ পল্লির সামনের একটা বিশাল বাড়িতে। গাড়ি পার্ক করে দু’জনে নামল। বেল দিতেই একজন মহিলা বেরিয়ে এলেন। পরমেশ্বর বলল, ‘এর নাম সহজ।’
মহিলাটি মৃদু হেসে ঘাড় নাড়ল। বলল, ‘ঠিক আছে, তুমি কি ভেতরে আসবে?’
‘না, আমার একটা অন্য কাজ আছে।’ সহজের দিকে তাকিয়ে পরমেশ্বর বলল, ‘এর পরিচয় আমি দিলাম না। ওপরে যা সব জানতে পারবি। তুই নিশ্চয়ই ভয় পাচ্ছিস না।’
সহজ হাসল।
মহিলার পিছন পিছন সহজ চলল। লাল মেঝের সিঁড়ি। ধারে সাদা বর্ডার।  সিঁড়ির ধারের রেলিংগুলো ঢালাই লোহার, খুব সুন্দর নকশা করা। সহজদের বাড়িতেও ঠিক এধরনের সিঁড়ির রেলিং। তবে এ বাড়ির রেলিং-এর ওপরে কাঠের টপটা দীর্ঘদিন পালিশহীন। দোতলায় যেখানে এসে মহিলা থামল তার সামনে এক লম্বাটে হলঘর। পর পর সোফা পাতা। ফুলের টব, শোপিস ভরা আলমারি।
সোফায় এসে বসল সহজ। উল্টো দিকে বসল মহিলাটি। বলল, ‘আপনি আমাকে নামে চিনবেন না। তবে পরিচয় দিলে নিশ্চয়ই চিনবেন। তবে আমার থেকে আমার মাকে বেশি চিনবেন। মা আপনার জন্য অপেক্ষা করে আছেন।’       (চলবে)
06th  June, 2021
পিশাচ সাধু  
 

ভবিষ্যৎ জানতে সহজের সঙ্গে পিশাচ সাধুর বাড়িতে হাজির হল সৃজনী। ক্যাপ্টেন ব্যঙ্গ করে জটিলা বলে ডাকতে শুরু করলেন সৃজনীকে। ভবিষ্যৎ জানতে চাইতেই পিশাচ সাধু ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, নীলাদ্রির সঙ্গে তার প্রেমের পরিণতি ভয়ঙ্কর। বরং, মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার জন্য সৃজনীর পড়ায় মন বসানো উচিত। বিশদ

পিশাচ সাধু
 

নচের মেয়ের কাছ থেকে পিশাচ সাধুর বিষয়ে জানতে পেরেছে সহজের ছাত্রী সৃজনী। সেও জ্যোতিষীর কাছে ভবিষ্যৎ জানতে চায়। তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সৃজনী। বিশদ

04th  July, 2021
কৃষ্ণাঙ্গ

সাইপ্রাস গাছের সূক্ষ্ম পাতার কোণে কোণে জলবিন্দু জমে আছে। রাতে বৃষ্টির পর সকালের মুক্তোরঙা আকাশ কমনীয় অথচ নির্ভার। নরম বালিশের কোলে পাশ ফিরল অনঘ। আলগা অপলক মেঘের গায়ে গোলাপি রঙের ছোঁয়া। বিশদ

04th  July, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীর সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি গেল সহজ। আর সেখানে গিয়েই গল্প প্রকাশের রহস্যের জট কাটল। আসলে পত্রিকা অফিসে গল্পটি পাঠিয়েছিলেন বিচিত্রদা। কিন্তু সহজের মুখে পিশাচ সাধুর নাম শুনে ভীষণ খেপে গেলেন তিনি। বিশদ

27th  June, 2021
মাধুকরী  
সৌরভ মিত্র

 

 মেঘ ডাকছিল এতক্ষণ। পাকা রাস্তা ধরে কয়েক পা এগতেই বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হল। ভালোই মেতেছে! দশহাত দূরের মানুষকেও যেন চেনা দায়! পশ্চিম কালো হয়ে আসছিল সকাল থেকেই। গুপ্ত-বৃন্দাবনের মেলার তাড়া না থাকলে হয়তো ঘর ছাড়ত না সুদাম গোঁসাই। বিশদ

27th  June, 2021
পিশাচ সাধু

শিবশম্ভু দারোগার ছোটবউ সনকার কাছ থেকে তার জীবনের গল্প শুনল সহজ। পরিচয় হল নন্দিনীর সঙ্গে। সনকার কাছ থেকে জানতে পারল তিন নারীর লড়াইয়ের কাহিনি। তারপর...  বিশদ

20th  June, 2021
পিশাচ সাধু

পরমেশ্বরের অফিসে শঙ্করের সঙ্গে এক চোট হয়ে গেল সহজের। মজা করতে গিয়েই এই বিপত্তি। সুজি কিছুতেই ক্যাপ্টেনের কথাগুলো ভুলতে পারছে না। এদিকে, পরমেশ্বর বিকেলে সহজকে একজনের বাড়িতে নিয়ে গেল। তারপর... 
বিশদ

13th  June, 2021
ছাতা হারানোর পর
রিমি মুৎসুদ্দি

কলি জানত, মম্পা নিজে পড়াশোনা বিশেষ করে না। সারাক্ষণ মিটিং মিছিল নিয়েই ওর সময় কাটে। এমন মিটিং মিছিল করা ছেলের সঙ্গে কী করেই বা ও জড়াত নিজেকে? আর তাও যদি মম্পার রেজাল্টটা তেমন কিছু হতো তাহলেও কিঞ্চিৎ বিবেচনায় ওকে রাখতে পারত।  বিশদ

30th  May, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বিচিত্রদাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে একপ্রস্থ নাটক হল। যদিও শেষপর্যন্ত বিচিত্রদার কপালে বেড জুটল। নচের নানা মজার কীর্তি বর্ণিনীকে শোনাল গৌর। এদিকে, ক্যাপ্টেনের অলৌকিক শক্তি যে কমেনি, তা সহজের গল্প প্রকাশের সুবাদে আরও একবার পরমেশ্বরের গ্রুপে প্রমাণ হয়ে গেল। তারপর... বিশদ

30th  May, 2021
কালা চশমা 
শুচিস্মিতা দেব

সুমিতাকে প্রবাস জীবনের শুরুতে সংসারের বাঙালি স্বাদগন্ধ বজায় রাখতে কম মেহনত করতে হয়নি! কোথায় মেলে বাঙালি পুরুতঠাকুর... শুক্তো-মুড়িঘণ্ট, স্পেশালিস্ট বঙ্গ ক্যাটারার... গাওয়া ঘি-গোবিন্দভোগ চাল অথবা শারদীয় পত্রপত্রিকা! কর্তাটি তার নির্ভেজাল খাঁটি বাঙাল ফলে দীর্ঘ দিল্লিবাসে যাবতীয় বঙ্গসমাচার এখন সুমিতার নখদর্পণে। 
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনকে গালমন্দ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনল সুজি। ‘কাক হয়ে কোকিলের বাচ্চা মানুষ করবি সুজি,’ পিশাচ সাধুর মুখ থেকে বেরিয়ে এল কয়েকটি ভয়ঙ্কর শব্দ। যা তাকে সারা জীবন কুড়ে কুড়ে খাবে। এদিকে, বর্ণিনীর ফোন এল সহজের মোবাইলে বিচিত্রদার অবস্থা ভালো নয়।  
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

সহজের কাছে চিঠিটি এসেছে ‘স্বদেশ’ পত্রিকা থেকে। সেখানে তার গল্প ছাপা হবে। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হয়েছে শুনে বেজায় খুশি সুজি। পিশাচ সাধুর শক্তি সম্বন্ধে তার বক্তব্য, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’। পরের দিন সহজকে নিয়ে ক্যাপ্টেনের বাড়ি যাবে ঠিক করে সুজি।  
বিশদ

16th  May, 2021
ছোঁয়া
বিতস্তা ঘোষাল
 

অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণা। এই দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনও কিছুর অপেক্ষায় নয়। এটা তার অভ্যাস। আসলে একটানা চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাজ করতে করতে ভীষণ হাঁফ ধরে যায়। গুমোট লাগে ঘরটা। বিশদ

09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। বিশদ

09th  May, 2021
একনজরে
পাঁচ বছর পর উদ্ধার হল ঘরছাড়া কিশোরী। দালালচক্রের হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করেছে পুলিস। ঘটনায় আব্দুল দিশান মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে চুঁচুড়া থানার ব্যান্ডেলের একটি বাড়ি থেকে ১৭ বছরের ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ...

উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হলেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় অ্যাশলি বার্টি। অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা শনিবার ফাইনালে ৬-৩, ৬-৭ (৪), ৬-৩ সেটে হারালেন চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা প্লিসকোভাকে। ...

কৃষকদের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প রূপায়িত করতে কৃষিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিসগুলিতে এখন জোর কর্মতৎপরতা চলছে। শনিবারের ছুটির দিনে তো বটেই, কোথাও কোথাও রবিবারও কর্মীদের ...

দলীয় কর্মীর গালে চড় মেরে বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার। ঘটনাটি সকলের সামনেই ঘটে। একাধিক ক্যামেরাতেও তা বন্দি হয়। পরে সাংবাদিকদের ভিডিওটি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৮৯ টাকা ৭৫.৬১ টাকা
পাউন্ড ১০১.২৩ টাকা ১০৪.৭২ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৩ টাকা ৯০.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  July, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭০০
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২০০
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯০০
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ ৬/৫১ দিবা ৭/৪৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৩/১৭ রাত্রি ২/২২। সূর্যোদয় ৫/৩/১, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৯ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২৬ আষাঢ় ১৪২৮, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১। প্রতিপদ দিবা ৬/৫৮। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ২/১৭। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/৩ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৩ গতে ২/২৩ মধ্যে। 
৩০ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমূখী, কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও
গতকালের তুলনায় রাজ্যে আরও বেশ কিছুটা কমল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ...বিশদ

07:36:19 PM

মহিষাদলে শুরু লেত উৎসব
শুক্রবার বিকেলে মহিষাদলে শুরু হল রথের নেত্রদান বা লেত উৎসব। ...বিশদ

05:49:11 PM

তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ গ্রেপ্তার ১
তামিলনাড়ুতে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী সহ একটি নৌকা বাজেয়াপ্ত। ঘটনায় ...বিশদ

05:44:15 PM

পেট্রোপণ্য ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, মাথাভাঙায় তৃণমূলের প্রতিবাদ  মিছিল
মাথাভাঙা-২ ব্লকের নিশিগঞ্জে পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব ...বিশদ

04:15:00 PM

কোভিড বিধি ভঙ্গ করায় আলিপুরদুয়ারে গ্রেপ্তার ৪ ব্যবসায়ী

04:01:25 PM

শহরে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ সহ গ্রেপ্তার ২
কলকাতায় একটি বাস থেকে উদ্ধার প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ও নখ। ঘটনাস্থল ...বিশদ

03:53:36 PM