কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
এটা ঘোর বাস্তব যে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সঙ্গে কোহলির সম্পর্ক ইতিমধ্যে যাবতীয় মধুরতা হারিয়েছে। মতান্তর পরিণত হয়েছে নিয়মিত খটামটিতে। দেশ ছাড়ার আগে বিরাট তো বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলিকে প্রকারান্তরে ‘মিথ্যাবাদী’ বলতেও কুণ্ঠা করেননি। তা নিয়ে বিতর্ক আরও তুঙ্গে ওঠে। বোর্ডের তরফে সেই সময় নীরবতাই ছিল প্রতিক্রিয়া। তবে সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার আবহেও চেতন শর্মার বক্তব্য ফের উসকে দেয় বিতর্ক। সৌরভের বক্তব্যকেই মান্যতা দিয়ে নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বলেন, কোহলিকে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে নেতৃত্ব ছাড়তে বারণ করা হয়েছিল। সেই বক্তব্য আবার কোহলিকেই ‘মিথ্যাবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। বার্তা ছিল স্পষ্ট, গর্বের জয়েও দুই পক্ষের তিক্ততা কমার নয়।
সিরিজ হারের দায়ভার নিয়ে কোহলির সরে যাওয়া সে জন্যই একদিক থেকে মাস্টারস্ট্রোকই। বোর্ড একদিনের ফরম্যাটের নেতৃত্ব কেড়ে নিয়েছিল। তবে টেস্টের মুকুট কাড়ার সুযোগ তিনি দিলেন না স্বেচ্ছায় নেতৃত্ব থেকে সরে গিয়ে। নিঃসন্দেহে দাবার বোর্ডে বিপক্ষকে আচমকা বাজিমাত করার মতোই কৌশলী চাল। অবধারিতভাবেই তা অপ্রস্তুতে ফেলে দিয়েছে বোর্ডকে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে সম্ভবত রোহিত শর্মাকেই টস করতে দেখা যাবে। লাল বলের ক্রিকেটে কোহলির উত্তুঙ্গ সাফল্য ধরে রাখার চাপ থাকবে হিটম্যানের উপর। কিন্তু ফিটনেস সমস্যায় জেরবার রোহিত কি পারবেন তিন ফরম্যাটেই দেশকে নেতৃত্ব দিতে! সংশয় থাকছেই।
তারই মধ্যে বিরাট-সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্ময়ের ঘোরে আবৃত ক্রিকেট মহল। বোর্ডের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিজেকে নিয়ে যাওয়ার প্রবল তাগিদেই কি তড়িঘড়ি এমন বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নিলেন কোহলি! হতে পারে, কোনও ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়েছিলেন তিনি। তাই ফের একবার নির্বাচকদের স্পর্শই করতে দিলেন না নিজের কেশরাশি। এতে ব্যাটসম্যান কোহলি যেমন খোলা মনে খেলতে পারবেন, তেমনি তাঁকে নিয়মিত আতসকাচের নীচেও দাঁড়াতে হবে। দু’বছরেরও বেশি শতরান নেই। সদ্যসমাপ্ত টেস্ট সিরিজেও বোঝা গিয়েছে সেরা ছন্দে নেই তিনি। চেষ্টা করেও আটকে যাচ্ছেন। তাই হয়তো নিজেকে চেনা মেজাজে ফিরে পাওয়ার অদম্য তাগিদে স্টেপ আউট করে মাঠের বাইরে ফেললেন নেতৃত্বের অন্তিম আর্মব্যান্ডটা।