অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
গত আইপিএলটা খুব একটা ভালো কাটেনি মহেন্দ্র সিং ধোনিদের। চলতি মরশুমের প্রথম ম্যাচেও মুথ থুবড়ে পড়েছিল হলুদ বাহিনী। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ছন্দে থাকা পাঞ্জাব কিংসকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে তারা। দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন সিএসকে’র বোলাররা। বিশেষ করে পেসার দীপক চাহারের প্রশংসা করতেই হবে। চার ওভরে ১৩ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে পাঞ্জাবের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। সোমবারও তাঁর উপর অনেকটাই নির্ভর করবে চেন্নাইয়ের বোলিং আক্রমণ। নতুন বলে তাঁকে সঙ্গ দেবেন লুঙ্গি এনগিডি। সাতদিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন এই প্রোটিয়া পেসার। অলরাউন্ডার মঈন আলি ও স্যাম কারানও ছন্দে রয়েছেন। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন ভূমিকাতেই নজর কাড়ছেন রবীন্দ্র জাদেজা। তবে চেন্নাইকে চিন্তায় রাখছে তাদের ব্যাটিং। টপ অর্ডারে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, অম্বাতি রায়াডু একেবারেই ফর্মে নেই। ফাফ ডু’প্লেসিও চেনা ছন্দ ফিরে পাননি। ধোনি প্রথম ম্যচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করতে নামেননি। তবে আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না যথারীতি ভরসা জোগাচ্ছেন এবারও।
অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে জয়ের কাছাকাছি টেনে নিয়ে গিয়েও শেষ হাসি হাসতে পারেননি অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি রান না পেলেও জয়ের মুখ দেখেছে তাঁর দল। ক্রিস মরিসের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয় রাজস্থান। তবে ভিতটা গড়েছিলেন ডেভিড মিলারই। এই ম্যাচেও তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকবে গোলাপি বাহিনী। এছাড়া জস বাটলারের দিকেও নজর থাকবে। সবমিলিয়ে, রাজস্থানের ব্যাটিং বেশ শক্তিশালী। নিজেদের দিনে যে কোনও প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম সঞ্জুরা। আর বোলিংয়ে রাজস্থানকে ভরসা জোগাচ্ছেন জয়দেব উনাদকাট, মুস্তাফিজুর রহমান ও ক্রিস মরিস। এছাড়া তরুণ চেতন সাকারিয়ার দিকেও নজর থাকবে। তবে ধারাবাহিকতার অভাব ভোগাতে পারে আইপিএলের প্রথম খেতাব জয়ীদের।