অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
চেন্নাই: ফের হার। টানা দুই ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স হয়ে উঠল ‘কেকেহার’! রবিবার চিপকে নাইট সমর্থকদের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়েছে পরাজয়ের ব্যবধান। আইপিএলের দুনিয়ায় ৩৬ রানে হার মানে তার মস্ত বড় প্রভাব পড়বে নেট রানরেটেও। গত মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে পরাজয়ের মাসুল দিতে হয়েছিল নাইটদের। এবারও না এই হারের মূল্য চোকাতে হয় শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজিকে!
নাইট শিবিরে যখন পরপর পরাজয়ের হতাশা, উল্টোদিকে তখন জয়ের হ্যাটট্রিকের উল্লাস। এদিনের দাপুটে জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেস্থান পাকাপোক্ত করল আরসিবি। দল হিসেবে এতদিনে নিজেদের গুছিয়ে উঠতে পেরেছেন বিরাট কোহলিরা। মিডল অর্ডারের ওজন বাড়িয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আর এবি ডি’ভিলিয়ার্স রয়েছেন আগের ছন্দেই। তবে যে কারণে আরসিবি’কে এবার অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছে, তা হল ডেথ ওভার বোলিং। যার প্রতিফলন দেখা গেল এই ম্যাচেও।
২০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে আন্দ্রে রাসেলের ধুমধাড়াক্কাই ছিল ভরসা। ক্যারিবিয়ান মহাতারকাও চালিয়ে খেলার মেজাজেই ছিলেন। শেষ ১২ বলে নাইটদের প্রয়োজন ছিল ৪৪ রান। রাসেলের ব্যাটে-বলে হলে জেতার আশা বেঁচে থাকত পরের ওভার পর্যন্ত। কিন্তু ১৯তম ওভারে মহম্মদ সিরাজ দিলেন মাত্র ১ রান। একটাও বড় শট নিতে পারলেন না রাসেল। যার ফলে, কার্যত ওখানেই দাঁড়িয়ে পড়ল ম্যাচ। শেষ ওভারে ৪৩ রানের টার্গেট ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর রাসেল (২০ বলে ৩১) তো হার্শল প্যাটেলের প্রথম বলেই বোল্ড হলেন। শেষ পর্যন্ত আট উইকেট হারিয়ে কেকেআর থামল ১৬৬ রানে।
অথচ, রান তাড়া করার সময় শুরুটা খারাপ হয়নি নাইটদের। শুভমান গিল (৯ বলে ২১) ঝড় তুলেছিলেন প্রথমেই। দ্বিতীয় উইকেটে রাহুল ত্রিপাঠি (২০ বলে ২৫) ও নীতীশ রানা (১১ বলে ১৮) টানছিলেন। কিন্তু যুজবেন্দ্র চাহাল ও ওয়াশিংটন সুন্দর আক্রমণে এসেই নিলেন উইকেট। দীনেশ কার্তিক (৫ বলে ২) চটজলদি ফেরায় ৭৪ রানের মধ্যে চার উইকেট হারায় কলকাতা। অধিনায়ক মরগ্যান (২৩ বলে ২৯) ও সাকিব আল হাসান (২৫ বলে ২৬) জুটি গড়লেও তা বেশিক্ষণ টেকেনি।
তার আগে ম্যাক্সওয়েল (৪৯ বলে ৭৮) ও ডি’ভিলিয়ার্সের (৩৪ বলে অপরাজিত ৭৬) দাপটে চার উইকেট হারিয়ে ২০৪ তুলেছিল আরসিবি। টস জিতলেও বিরাট কোহলি (৫) ব্যাট হাতে ব্যর্থ। তবে তা অনুভূত হয়নি পর পর হাফ-সেঞ্চুরি করা ম্যাক্সওয়েল ও ম্যাচের সেরা ডি’ভিলিয়ার্সের দাপটে। দু’জনেই মারলেন ৯টি চার ও ৩টি করে ছয়। শেষ চার ওভারে উঠল ৭০ রান। যার নেপথ্যে রয়েছে মরগ্যানের নির্বোধ নেতৃত্ব। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া উইকেট নেওয়া বরুণ চক্রবর্তীকে আচমকা সরিয়ে নেওয়া, প্রতি ম্যাচেই রাসেলকে ডেথ ওভারে ব্যবহার করা, সাকিবের আগে কার্তিককে ব্যাট করতে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। দুই ওভারে রাসেল দিলেন ৩৮ রান। সেই কারণেই দু’শোর বেশি রান তাড়া করতে হল কলকাতাকে। রান পাননি কার্তিক। অধিনায়ক মরগ্যানও ব্যাট হাতে নির্ভরতা দিতে ফের একবার ব্যর্থ। চেন্নাইয়ে পর পর দু’টি হারের পর এবার মুম্বইয়ে খেলবে নাইটরা। আরব সাগরের পারে আলোয় ফেরার লড়াইয়ে মরগ্যানরা বুধবার মুখোমুখি হবেন মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে।