দোহা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। ইতিমধ্যেই একাধিক দেশ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এই বিপজ্জনক ভাইরাস সহজে বিদায় নেবে না। স্বাভাবিকভাবেই কাতার বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াইয়ে নামবে ৩২টি দেশ। তবে প্রতিকূলতা কাটিয়ে করোনা মুক্ত ফুটবলের মহা ইভেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী কাতারের বিদেশমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি। শনিবার এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি জানান, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যেভাবে এগচ্ছে তা অবশ্যই দুশ্চিন্তার বিষয়। বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। প্রত্যেকের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, সচেতনতা বজায় রাখুন। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন। ভ্যাকসিন এবং আপনাদের সচেতনতাই করোনাকে হারাতে পারে। তবে আমরা নিশ্চিত, বিশ্বকাপ শুরুর আগে কাতারে আসা ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে আমরা আলোচনা শুরু করেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, কাতার বিশ্বকাপই হবে করোনার পর বিশ্বের সফলতম ইভেন্ট।’
উল্লেখ্য, ২০২২’এর ২১ নভেম্বর কাতার বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়বে। চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৫টি শহরের মোট ৮টি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি আয়োজিত হবে। করোনার জেরে গত বছর বিশ্বকাপের সব যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। তবে গত মার্চেই ফের বাছাই পর্বের ম্যাচ শুরু হয়। এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় অনেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।