সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
সোমবার দুপুরে নিজেদের মাঠে মহমেডান স্পোর্টিং গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নামছে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে। জেতার জন্য সমর্থকদের কাছে পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন মহমেডান স্পোর্টিং টিডি দীপেন্দু বিশ্বাস। এই ম্যাচ যারা জিতবে তারাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে একধাপ এগবে। এই মুহূর্তে লিগে ত্রিমুখী লড়াই। লিগ টেবলে শীর্ষে থাকা পিয়ারলেসের পয়েন্ট ৮ ম্যাচে ১৭। তারপর ইস্ট বেঙ্গল ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট ও মহমেডান স্পোর্টিং ৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে। সোমবারের পর পিয়ারলেসকে খেলতে হবে যথাক্রমে জর্জ টেলিগ্রাফ ও অবনমনের খাদে থাকা রেনবোর বিরুদ্ধে। মহমেডানও বৃহস্পতিবার মিনি ডার্বিতে মুখোমুখি হবে ইস্ট বেঙ্গলের। সোমবারের ম্যাচে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে মুখিয়ে মহমেডান ও পিয়ারলেস। শনি ও রবিবার রাজ্যে এখনও খেপ ফুটবলের রমরমা। ফলে সব জেনেশুনেও ছোট ক্লাবের ফুটবলারদের রোজগারের স্বার্থে খেপ ফুটবল খেলতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন কর্তারা। ফলে রবিবার পিয়ারলেসের প্র্যাকটিসই হয়নি! মহমেডান স্পোর্টিং ম্যাচের আগের দিন প্র্যাকটিস করেছে। যদিও পিয়ারলেস কোচ জহর দাস বলছেন, ‘প্লেয়াররা ক্লান্ত। ফলে ম্যাচের আগের দিন পুরো দলকে বিশ্রাম দিলাম।’
সোমবার মাঠে নামার আগে মহমেডান স্পোর্টিং একটু হলেও এগিয়ে রয়েছে। কারণ পিয়ারলেস দলে মূল স্তম্ভ ক্রোমা কার্ড সমস্যার জন্য খেলতে পারবেন না। ক্রোমার জায়গায় খেলবেন অ্যান্টনি উলফ। বাকি দুই বিদেশি ডিফেন্ডার কালোন ও মিডফিল্ডার এডমন্ড। ইস্ট বেঙ্গল, মোহন বাগান ও ভবানীপুরকে হারিয়েছে পিয়ারলেস। গত ম্যাচে মোহন বাগানকে হারিয়ে মনোবল তুঙ্গে মহমেডান শিবিরেও। টিডি দীপেন্দু বিশ্বাস জানালেন, ‘ছেলেদের বলেছি নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দাও। তারপর যা চাইবে তাই পাবে।’ মুখ্য কর্তা কামরুদ্দিন বললেন, ‘পিয়ারলেসের পর ইস্ট বেঙ্গলকে হারালে প্লেয়ারদের বেতন দ্বিগুণ করে দেব। শনিবার দুপুরে দলের মধ্যে একতা বাড়াতে সবাই মিলে একটা রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্নভোজ সেরেছি।’ মহমেডানের প্রথম একাদশের তিন বিদেশি অপরিবর্তিতই থাকছে। অর্থাৎ রক্ষণে করিম ওমোলাজা, মাঝমাঠে মুসা মুদ্দে ও আপফ্রন্টে জন চিডি। রিজার্ভে থাকবেন আর্থার কোয়াসি। বিপক্ষে ক্রোমার মতো ফুটবলার না থাকায় মহমেডান শিবির আত্মতুষ্ট নয়। বরং দীপেন্দু বলছেন, ‘ওদের গোটা দলকেই গুরুত্ব দিতে হবে।’
পিয়ারলেস প্রায় পেশাদারি পরিকাঠামোয় দল পরিচালনা করলেও বিরাট টাকা তো ফুটবলারদের দিতে পারে না। ফলে ক্রোমা, কালনদের ভরসা খেপ ফুটবল। শনিবারই বর্ধমানে পিয়ারলেস,রেনবোর বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার খেপ খেলে এসেছেন। ক্রোমার রেট সবচেয়ে বেশি। প্রতি ম্যাচ ৩০ হাজার টাকা। সম্প্রতি খড়গপুরে ক্রোমা চারটি ম্যাচ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আয় করেছেন। যেখানে পিয়ারলেসে তাঁর মাসিক বেতন প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা দেয়। তাহলে কে আর খেপ ফুটবলের মোহ ছাড়ে। খেপ ফুটবল খেলার ধকল কাটাতে বেশ সময় লাগে। লিগে পিয়ারলেস চ্যাম্পিয়ন হবে কিনা, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে শেষ রাউন্ড পর্যন্ত তাদের ফুটবলাররা কতটা ফিটনেস ধরে রাখতে পারেন তার উপর।