সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
বেঙ্গালুরু, ২২ সেপ্টেম্বর: কুলদীপ যাদব-যুজবেন্দ্র চাহালের বিকল্প যে এখনও তৈরি নয়, তা ভালোই বুঝলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর কুল-চা জুটিকে নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্টকে। সেই কারণেই ক্রুনাল পান্ডিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দরদের উপর আস্থা দেখিয়েছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু রবিবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তৃতীয় তথা শেষ টি-২০ ম্যাচে ভারত প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে মাত্র ১৩৫ রানের টার্গেট খাড়া করার পর মনে হয়েছিল স্পিনাররা ভেলকি দেখাবেন এবং ম্যাচ জেতাবেন। কিন্তু কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেননি তাঁরা। ভারতীয় বোলিংয়ের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই প্রারম্ভিক ব্যাটসম্যান রেজা হেনরিকস ও ক্যাপ্টেন কুইন্টন ডি’কক ৭৬ রান যোগ করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে দেন। ২৮ রানে রেজার দুরন্ত ক্যাচ বিরাট কোহলি না ধরলে দশ উইকেটে জিততে পারত প্রোটিয়া বাহিনী। ডি’কক গত ম্যাচের মতো এদিনও অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। দ্বিতীয় উইকেটে বাভুমার সঙ্গে তিনি তোলেন ৬৪ রান। ১৯ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজ ১-১ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ছক্কা হাঁকিয়ে খেলায় যবনিকা টানেন বাভুমা (অপরাজিত ২৭)। ম্যাচের নায়ক ডি’কক। ৫২ বলে ছ’টি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে তিনি ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এই ম্যাচ হারায় টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বর স্থানও হারাল ‘টিম ইন্ডিয়া’।
রবীন্দ্র জাদেজার মতো অভিজ্ঞ স্পিনারকে দেরিতে বল দেওয়া, তাড়াহুড়ো করে রিভিউ নেওয়া এবং টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করা। তিনটি ক্ষেত্রেই কোহলির ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রান তাড়া করতে পছন্দ করেন বিরাট। কিন্তু টস জিতে বিরাটের ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত চমকে দেওয়ার মতোই ছিল।
রহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের শুরুটা দেখে মনে হয়নি শেষ পর্যন্ত ভারতের ন’টি উইকেটের পতন ঘটবে। রহিত ৯ রানে আউট হন। গত ম্যাচে জুটি বেঁধে দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি। এদিনও তাঁদের বেশ জমাট লেগেছিল। ৪১ রান যোগ করার পর শিখর (৩৬) আচমকাই তুলে মারতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। আশাহত করেছেন কোহলিও (৯)।
বিশ্বকাপের পর মহেন্দ্র সিং ধোনির বিকল্প হিসাবে ঋষভ পন্থকে তুলে ধরার চেষ্টা করছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে সেই প্রচেষ্টা যে ভষ্মে ঘি ঢালার সামিল, তা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারছেন কোচ রবি শাস্ত্রী। অনেকেই ভেবেছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটিং ব্যর্থতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন ঋষভ। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যেভাবে তিনি শুরু করেছিলেন, তাতে প্রত্যাশা আরও বেড়েছিল। কিন্তু ১৯ রানে তিনি ফের উইকেট ছুঁড়ে দেন। শ্রেয়াস আয়ারও (৫) তথৈবচ। ত্রয়োদশ ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ‘টিম ইন্ডিয়া’। ক্ষত আরও গভীর হয় ক্রুনাল পান্ডিয়া মাত্র চার রানে আউট হওয়ায়। হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজা সপ্তম উইকেটে ২৯ রান যোগ না করলেও আরও লজ্জায় পড়তেন বিরাট কোহলিরা। ১৭ বলে জাদেজার সংগ্রহ ১৯ রান। হার্দিক ১৪ রানে আউট হন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কাগিসো রাবাডা তিনটি, হেনরিকস ও ফরচুইন দু’টি করে উইকেট নেন।