সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
তবে অ্যাপেক্স কাউন্সিলে নির্বাচনের প্রবল সম্ভাবনা থাকছে। কারণ, ১১টি মনোনয়ন জমা পড়ার কথা থাকলেও ১২ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিসন ক্লাবের চারজন করে মোট আটজন প্রতিনিধি আছেন তালিকায়। দু’জন প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন স্নেহাশিস গাঙ্গুলি ও গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রতিনিধিও আছেন। তবে যত কাণ্ড জেলা নিয়ে! নিয়ম অনুযায়ী দু’জন প্রতিনিধি থাকার কথা থাকলেও বীরভূম থেকে সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে গৌতম গোস্বামী ও চন্দননগর থেকে রাজীব ঘোষ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফোনে গৌতমবাবু জানিয়েছেন, ‘কোনওভাবেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করব না। আমি সবচেয়ে সিনিয়র। নির্বাচনের লড়ার জন্য তৈরি।’ সৌরভ গাঙ্গুলি, অভিষেক ডালমিয়াদের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, তিন জেলা প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে একজনের নাম প্রত্যাহার করানো। যাতে ভোটাভুটি এড়িয়ে নতুন অ্যাপেক্স কাউন্সিল গঠন করা যায়।
নতুন কমিটির মেয়াদ তিন বছরের। কিন্তু আগামী বছর জুলাইয়ে পদ ছাড়তে হবে সৌরভকে। লোধা কমিটির প্রস্তাব মেনে সিএবি’র যে নতুন গঠনতন্ত্র তৈরি হয়েছে, তাতে স্পষ্ট বলা আছে একজন পদাধিকারী একটানা ছ’বছরের বেশি পদে থাকতে পারবেন না। তিন বছরের কুলিং অফ কাটিয়ে ফের ফিরে আসা। তবে থাকা যাবে আর মাত্র তিন বছর। সিএবি’র সচিব ও সভাপতি হিসাবে সৌরভ পাঁচ বছরের বেশি সময় ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত করে ফেলেছেন। আগামী বছর জুলাইয়ে তাঁকে সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতেই হবে। যদি শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে কোনও পরিবর্তন না হয়।
সিএবি’তে এখন বিরোধী গোষ্ঠী বলে কার্যত কিছু নেই। তাই নির্বাচনে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল না। কিন্তু পদ-প্রাপ্তি নিয়ে শাসকগোষ্ঠীর মধ্যেই মতানৈক্য ছিল। শনিবার সকাল পর্যন্ত কোষাধ্যক্ষ, সহ-সভাপতি এবং যুগ্মসচিব পদে একাধিক নাম শোনা যায়। ক্ষোভ সামাল দিতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল শাসকগোষ্ঠীর সিনিয়র কর্তাদের। একজনকে প্রততিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত থাকতে বললে, তিনি ভোটে দাঁড়িয়ে পড়ার হুমকিও দিচ্ছিলেন। যার ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, শেষ পর্যন্ত কি নির্বাচন এড়াতে পারবে শাসকগোষ্ঠী? শনিবার দুপুরের পর সৌরভ ময়দানে নামতেই ছবিটা দ্রুত বদলে যায়। সহ-সভাপতি হওয়ার লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সমর পাল। ফলে নরেশ ওঝার পথ প্রশস্ত হয়ে যায়। কোষাধ্যক্ষ পদ নিয়ে লড়াইটা ছিল সৌরভের কাকা দেবাশিস গাঙ্গুলির সঙ্গে প্রবীর চক্রবর্তীর। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছেন দেবাশিসবাবু। যুগ্মসচিব পদে দেবব্রত দাসকে নিয়ে শাসক-বিরোধী, উভয় শিবিরের আপত্তি ছিল প্রথম থেকে। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে দেবু দাসের পারফরম্যান্সে ভীষণ খুশি সৌরভ। তাই কোনও আপত্তিই ধোপে টেকেনি। বলা ভালো, দেবব্রত দাসকে কাজের পুরস্কার দিলেন মহারাজ।