সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
স্রেফ ফুটবল মাঠে প্রবেশের চেষ্টায় আত্মঘাতী হতে হয় ৩০ বছর বয়সী সাহার খোদাইয়ারিকে। গত মার্চে প্রিয় ক্লাব এস্তেঘলালের খেলা দেখতে পুরুষের বেশে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এক পুলিস তাঁকে শনাক্ত করে এবং শুরু হয় বিপত্তি। তাঁর এই কাণ্ড গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তার আগে তিন রাত্রি জেল হেপাজতেও থাকতে হয়েছিল তাঁকে। কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক সাহারের আশঙ্কা ছিল, ফুটবলপ্রেমের জন্য তাঁর ছ’মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। আর সেই সাজা ঘোষণার আগেই আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে নিজের গায়ে আগুন লাগান তিনি। তেহরানের একটি হাসপাতালে কয়েকদিন যমে-মানুষে টানাটানি হওয়ার পর জীবনযুদ্ধে হার মানতে হয় সাহারকে। অভ্যন্তরীণ এবং বর্হিবিশ্বের চাপে পড়ে ইরান সরকার তদন্তের নির্দেশ দেয়। এই ট্র্যাজিক মৃত্যুতে স্তম্ভিত হয়ে যায় বিশ্ব ফুটবল! উল্লেখ্য, এতদিন ইরানের ফুটবল মাঠে মহিলা সমর্থকরা ব্যান হলেও বাস্কেটবলসহ অন্য খেলায় তাঁদের প্রবেশের অনুমতি ছিল। ৩০ বছর বয়সী সাহার খোদাইয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত ছিলেন ‘ব্লু গার্ল’ নামে। সাহার খোদাইয়ারির মৃত্যুর পর সোচ্চার হয়েছিলেন ইরানের নামী ফুটবলাররা। শেষপর্যন্ত সেই আন্দোলন সার্থক রূপ পেল।