কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
পুলিস কিশোরীর মোবাইল, একটি অতিরিক্ত সিমকার্ড ও হেডফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। এদিন বিকেল পর্যন্ত কোনও অভিযোগ না হওয়ায় পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আজিজা একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। এবছর সে আলিম(মাধ্যমিক) পরীক্ষায় পাশ করে ফাজিলে (উচ্চ মাধ্যমিক) ভর্তি হয়েছিল। শুক্রবার বধূয়া গ্রামে তার এক বান্ধবীর বিয়ে ছিল। কয়েকদিন আগে বান্ধবী নিজে তাকে কান্দির বাড়িতে গিয়ে কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ করে এসেছিল। শুক্রবার সকালেই আজিজা বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছে যায়। বান্ধবীর বাড়ির কাছেই কিশোরীর পিসির বাড়ি। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় সে পিসির বাড়িতে যায়। পিসির বাড়িতে গিয়ে আড্ডাও দেয় কিছুক্ষণ। মুড ভালোই ছিল। রাতে সে একা একটা ঘরে ঘুমাবে বলে পিসিকে জানিয়েছিল। সেইমতো নীচের তলার একটি ঘরে তার ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার ভোরে পরিবারের দুই বয়স্ক সদস্য নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে ওজু করেন। তাঁরা দেখেন, আজিজার ঘরের দরজা খোলা। তখন তাঁরা দরজা বন্ধ করতে বলার জন্য ঘরের ভিতরে যান। ঘরে ঢুকেই তাঁরা চমকে ওঠেন। আজিজার দেহ ওড়নায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। মৃতার পিসি আনারকলি বিবি বলেন, ঘরে ঢুকে দেখি, ভাইঝি ওড়নার ফাঁসে ঝুলছে। ওর কানে হেডফোন লাগানোই রয়েছে। মোবাইলটা কোমরে ছিল। মেঝেতে একটি সিমকার্ডও পড়েছিল। প্রতিবেশীরা ওড়না কেটে দেহ নীচে নামান। সেই সময় দেখা যায়, ওর মোবাইলে অসংখ্য মিসড কল রয়েছে। কী করে এমনটা হল বুঝতে পারছি না।
মৃতার কাকা সাহাদ আলি শেখ বলেন, বান্ধবীর বিয়েতে ও বেশ হাসিখুশিই ছিল। ওখানে কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়নি। কিন্তু রাতে কী হল, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে, ওর মোবাইলে অসংখ্য মিসড কল ছিল। আমাদের অনুমান, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই ও আত্মঘাতী হয়েছে। কেউ হয়তো ওকে ঠকিয়েছে।
মৃতার অপর কাকা গোলাম মোস্তফা বলেন, একটা ছেলের সঙ্গে ও মোবাইলে কথা বলত। ওর ফোনে আসা মিসড কলগুলি ওই ছেলেটার কি না, সেটা বুঝতে পারছি না। তবে, পুলিস তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমাদের দাবি, এই ঘটনার জন্য যে দায়ী পুলিস তার শাস্তির ব্যবস্থা করুক।