কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, সোনামুখীতে দামোদরের চরে একটি পুরনো দিনের শেল উদ্ধার হয়েছে। বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে এলাকায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।
বাসিন্দাদের কাছে অবশ্য এই ধরনের শেল উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। ২০১৫সালে পাত্রসায়রের শালখাড়ায় দামোদর থেকে একটি মর্টার শেল উদ্ধার হয়েছিল। যার উচ্চতা ছিল প্রায় ছ’ ফুট। বম্ব স্কোয়াডের লোকজন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মূলত ওই ধরনের মর্টার শেল উড়োজাহাজে করে ফেলে ফাটানো হয়েছিল। নদের জলে পড়ে যাওয়ায় তা হয়তো ফাটেনি। অক্ষত রয়ে যায়। শনিবার ওই জায়গা
থেকে মাত্র ১০কিলোমিটার দূরে ফের মর্টার শেল উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
স্থানীয় বাসিন্দা বিমল সরকার বলেন, আমরা নদে প্রায় দিনই যাই। অনেকেই নদের চরে গোরু চরাতে যান। বালিতে ঢাকা থাকায় কোনওদিন তা চোখে পড়েনি। বাতাসে বালি সরে যাওয়াতেই মর্টারের সামান্য অংশ বেরিয়ে আসে। তখনই একজনের তা চোখে পড়ে। তিনি প্রথমে গুপ্তধন ভেবে চমকে গিয়েছিলেন। পরে হাত দিয়ে বালি সরাতেই আস্ত মর্টারটি বেরিয়ে আসে। খোঁড়ার সময় চাপ পেয়ে যদি তা ফেটে যেত সেটা ভেবেই শিউরে উঠছি।
শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, কয়েক বছর আগে পাত্রসায়রের শালখাড়ায় দামোদরের চরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত মর্টার শেল বেরিয়েছিল বলে শুনেছিলাম। ছবিতে দেখেছিলাম। একই শেল এদিন চাক্ষুষ করলাম। পুলিস খুব কাছে যেতে দিচ্ছে না। কিন্তু, এতবছর ধরে এরকম একটা মর্টার বালির তলায় কী করে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেল সেটাই ভাবছি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের বার বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে অনেক দূর থেকে বম্ব স্কোয়াডের লোকজন ডিনামাইট ব্লাস্ট করে তা নিষ্ক্রিয় করেছিল। আশেপাশের অন্তত ছ’টি গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দাকে নিরাপদ দূরত্বে সরানো হয়েছিল। এবারও একইভাবে তা নিষ্ক্রিয় করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে সোনামুখীর উদ্দেশে সিআইডির বম্ব স্কোয়াড এবং সেনাবাহিনীর বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা রওনা দিয়েছেন বলে পুলিস আধিকারিকরা জানিয়েছেন।