কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তে নতুন মোড় এসেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার জামুড়িয়া থানা এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই ডাকাতকে ধরা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, দু’টি দলই একই গ্যাংয়ের সদস্য। জামুডিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া মনীশ কুমারের বাড়ি পাটনায়। ধৃত বিপিন সোয়াইনের আদি বাড়ি ওড়িশায় হলেও কেন্দায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। ফের সুবোধ সিংয়ের গ্যাংই অপারেশন চালানোর ছক কষেছিল কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ধরা পড়া ডাকাতদের বেশিরভাগেরই বাসস্থান সুবোধের খাসতালুক পাটনায়। নিরসার এসডিপিও রজত মালিক বাখালা বলেন, আসানসোলে সোনার দোকানে ডাকাতি করতে যাচ্ছিল তারা। তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিসও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তারা সুবোধ সিংয়ের গ্যাংয়ের কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ৯জুন হাড় হিম করা ডাকাতির ঘটনার সাক্ষী ছিল রানিগঞ্জ। পুলিসের সঙ্গে ডাকাতদলের প্রকাশ্যে গুলিযুদ্ধ দেখে চমকে যান সকলে। পুলিস দক্ষতার সঙ্গে ওই গ্যাংয়ের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ফের আসানসোলে বড় ডাকাতির ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয় বিহারের পাটনায়। সোর্স মারফৎ সেই খবর পায় ঝাড়খণ্ড পুলিস। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটকেও সতর্ক করা হয়। কয়েকদিন ধরেই চিরুনি তল্লাশি শুরু করে ঝাড়খণ্ড পুলিস। আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটও সতর্ক ছিল। পুলিসের প্রাথমিক ধারণা, সেকারণে অপারেশন কয়েকদিন পিছিয়ে দেয় ডাকাতদল। শুক্রবার তারা আসানসোলে ঢোকার জন্য আসছিল। নিরসা এলাকায় পুলিস নাকা চেকিংয়ে নতুন বোলেরো গাড়িটি আটকাতেই ডাকাতরা নেমে পালাতে শুরু করে। পুলিস ধাওয়া করে দু’জনকে ধরে। ধৃতদের নাম শিশুপাল পাসোয়ান ও শেখপুরার টমল কুমার। তাদের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, ২৩ টি কার্তুজ ও সাতটি মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই এই চক্রের মাথা ও পলাতক ডাকাতদের ধরতে তৎপর হয়েছে বাংলা ও ঝাড়খণ্ড পুলিস। অভিযুক্তদের জেরা করতে যায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট। তখনই জানা যায়, অত্যন্ত পরিকল্পনা করেই এই গ্যাংটি ডাকাতি করতে আসছিল। পাটনার মুকেশকে আগেই শিল্পাঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল এলাকার খুঁটিনাটি জানতে। তাকে সাহায্য করছিল শিল্পাঞ্চলে একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত বিপিন সোয়াইন। পুলিসের অভিযানে তারা ধরা পড়ে গেলেও তারা যে এত বড় গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত তা বুঝতে পারেননি তদন্তকারীরা।