কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, আনোয়ার বহুদিন ধরেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সে এনআইএর নজরেও ছিল। কাঁকসা থেকে ধৃত হাবিবুল্লার মোবাইল থেকে এসটিএফ তার নাম পায়। সালাউদ্দিন সালেহার পাশাপাশি সে গ্রুপে বিভিন্ন নির্দেশ দিত। ধৃতের মোবাইল থেকে বিভিন্ন তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের একাধিক জঙ্গির সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। সে নিজেও বাংলাদেশে গিয়েছিল বলে আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। এক আধিকারিক বলেন, আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সে অনেকদিন ধরেই কাজ করছে। বাংলাদেশে ওই সংগঠন নিষিদ্ধ হওয়ার পরই শাহাদত নামে একটি নতুন সংগঠন তারা তৈরি করে। এই সংগঠন তৈরির পিছনেও আনোয়ারের বড় ভূমিকা রয়েছে। তার সঙ্গে এই জেলার আরও কয়েকজনের যোগাযোগ রয়েছে। তবে তারা সংগঠনে কতটা সক্রিয় ছিল তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।
এক আধিকারিক বলেন, আনোয়ার তৃতীয় শ্রেণি পাশ হলেও অত্যন্ত বুদ্ধিমান। তাকে চেন্নাইয়ে গ্রেপ্তার করতে নাজেহাল হতে হয়। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করা গিয়েছে। তা না হলে সে এলাকা থেকে চম্পট দিত। ধৃতের কাছে মোবাইল ছাড়াও বেশকিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। কয়েকটি ধর্মীয় বইও উদ্ধার হয়েছে। তার স্ত্রী রেজিনা খাতুন বলেন, ও রোজ দু’বেলা ফোন করত। শুক্রবার সকাল থেকে ওর মোবাইল বন্ধ ছিল। পরে রাতের দিকে পুলিস জানায়, ওকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে। ছ’মাস আগে ও চেন্নাই গিয়েছিল। আবার ৩জুলাই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। বাড়িতে এলে মোবাইল নিয়েই ও ব্যস্ত থাকত।
ধৃত জঙ্গির আত্মীয় জবেদা বিবি বলেন, ও কোনওদিনই গ্রামে কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়াত না। খাগড়াগড় কাণ্ডের সময় শিমুলিয়া গ্রামের নাম উঠে আসে। সেখানেও আনোয়ারের যাতায়াত ছিল। সেকারণেই সেইসময় এনআইএ তাকে কয়েকদিন আটক করে জেরা করেছিল। কিন্তু সেইসময় গ্রেপ্তার করার মতো কোনও নথি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে ছিল না। সেই কারণেই সে রক্ষা পেয়ে যায়। কিন্তু এবার গোয়েন্দারা তাকে তথ্য সহ গ্রেপ্তার করেছে। সালাউদ্দিনের খোঁজ পাওয়ার জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিও তাকে জেরা করতে পারে। পরিবারের লোকজনদের দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।