কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
বিধায়ক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় শিল্পের জোয়ার আনার লক্ষ্যে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একসময় দ্বারিকায় একাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সমস্ত কারখানা অন্য মালিকের অধীনে একে একে চালু হচ্ছে। কারখানা চালাতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়-সেব্যাপারে প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা সর্বদা সজাগ থাকব।
কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবব্রত বেহরা বলেন, কারখানায় আপাতত দু’টি ফার্নেস চালু করা হচ্ছে। দু’একদিনের মধ্যেই বিষ্ণুপুর স্টেশনে কাঁচামালের রেক আসবে। তারপর উৎপাদন শুরু হবে। বিধায়ক ও প্রশাসনের আধিকারিকরা সমস্তরকমের সহযোগিতা করছেন। আগামী দিনে বিষ্ণুপুরে আরও কারখানা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এদিন চালু হওয়া কারখানায় ৫০০জনের কর্মসংস্থান হবে। শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
কারখানা চালু হওয়ায় দ্বারিকার কাজ হারানো শ্রমিকরা ডাক পাওয়ার আশায় রয়েছেন। কারখানার সিইও ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করব। কিছু টেকনিক্যাল কাজ জানা লোকের পাশাপাশি অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করা হবে। দ্বারিকার কর্মহীন শ্রমিকদের অনেকে জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই কারখানা মেরামত চলছিল। তবে এখনও তাঁদের নিয়োগের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তাঁরা ডাক পাওয়ার আশায় রয়েছেন।
কারখানার এমডি বলেন, এরাজ্যে শিল্পের ক্ষেত্রে ইউনিট পিছু বিদ্যুতের দাম ৫ টাকা ১০ পয়সা। সেখানে ছত্তিশগড় ও পাঞ্জাবে দাম ৬ টাকা। আমরা আরও কয়েকটি রাজ্যে খোঁজ নিয়ে দেখেছি। সেখানেও বিদ্যুতের দাম পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে অনেকটাই বেশি। তাই আমরা এখানে লগ্নি করেছি। ইতিমধ্যে হলদিয়ায় আমাদের একটি কারখানা চালু হয়েছে। এদিন বিষ্ণুপুরে আরও একটি কারখানা চালু হল।
তিনি বলেন, আগে পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে অন্য ধারণা ছিল। এখন সেই ধারণা আমূল বদলে গিয়েছে। ২০২১ সালে হলদিয়া ও বিষ্ণুপুরে দু’টি বন্ধ কারখানা আমরা ১৫৬ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছি। কিন্তু জমি পেতে সমস্যা হচ্ছিল। সেকথা নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতেই তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছেন। প্রশাসনের তরফে যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছি। আগামী দিনে আমরা এখানে আরও লগ্নি করব। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে শিল্পের পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছেন। শিল্পপতিদের নিয়ে সম্মেলন করেছেন। তাঁদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। বিষ্ণুপুরে তিনটি বন্ধ কারখানা নতুন করে চালু হচ্ছে। তার মধ্যে টাটার মতো কোম্পানিও রয়েছে। বিষ্ণুপুরের শিল্পাঞ্চলকে কেন্দ্র করে আগামী দিনে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।