কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর সদরের মহকুমা শাসক শারদ্বতী চৌধুরী বলেন, আমরা জোন ভাগ করে এই দখলমুক্তির অভিযান চালাব। শনিবার প্রাথমিকভাবে সেই কাজটি শুরু হয়েছে। তাই আপাতত শুধুমাত্র সরকারি অফিস সংলগ্ন এলাকাগুলি দখলমুক্ত করা হয়েছে। আমরা একাধিকবার মাইকিং করে সকলকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। ৯৫ শতাংশ দোকানে কোনও সামগ্রী ছিল না। আমরা এরপরেও যখন অভিযান চালাব, তখনও মাইকিং করা হবে।
প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যজুড়েই সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। এদিন ভোর থেকেই দোকানপাট ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। উল্লেখ্য জেলাশাসক অফিস, জেলা পরিষদ, এসপি অফিসের পাশে ছোট বড় অগণিত দোকান গজিয়ে উঠেছে বছরের পর বছর ধরে। কোথাও রেস্তরাঁ, মিষ্টির দোকান, আবার কোথাও জেরক্সের দোকান তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি ছোটবড় চায়ের দোকান তো আছেই। অফিস চত্বরে সরকারি জায়গায় এই ধরনের দোকান ভরে গিয়েছিল। শনিবার বেলার দিকে দেখা যায় সেই এলাকায় দোকানের কোনও চিহ্ন নেই।
পুরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাস বলেন, আমরা শীর্ষ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। কারও ক্ষতি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই দিকটাও আমরা দেখছি।
দোকানের মালিক জয়ন্ত সিংহ বলেন, আমার এখানে হোটেল ছিল। কিন্তু দোকানটা ভেঙে দিল। এখন আমাদের কোনও ব্যবস্থা না করে দিলে আমরা কোথায় যাব! আর দোকানের মালিক রমেশ দাস বলেন, আমার এখানে জুতো সেলাই করার দোকান ছিল। আমার তিন ছেলেমেয়ে রয়েছে। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।
তবে এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে কবে কৃষ্ণনগর শহরের হাইস্ট্রিট চত্বর দখলমুক্ত করা হবে। কারণ শনিবার যে সমস্ত জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে, সেই সমস্ত জায়গা ব্যস্ততম হলেও অপেক্ষাকৃত কম ঘিঞ্জি। কিন্তু হাইস্ট্রিট চত্বরের ফুটপাত বলে আর কিছু নেই বলেই শহরবাসীর অভিযোগ। পুরোটাই স্থানীয় দোকানের দখলে চলে গিয়েছে। এমনকী রাস্তার সিংহভাগ জায়গায় জামাকাপড়ের দোকান বসছে। যার ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। এবার হাইস্ট্রিট চত্বর দখলমুক্ত করার অভিযান কবে হবে, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। • নিজস্ব চিত্র