কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
রবিবার সকালে হিলভিউ মেন এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদিকা ববিতা দাস। প্রত্যেকের কাছে একটিই বার্তা, আমার নম্বর দিয়ে গেলাম। সর্বক্ষণ আমাকে পাশে পাবেন। কোনও দরকারে এখন থেকেই ফোন করবেন। বাড়িতে প্রচারে গিয়ে এক বৃদ্ধার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেই বলেন, ২৪ঘণ্টা আমার ফোন খোলা থাকে। কোনও সমস্যা হলেই ফোন করবেন। সুজাতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে প্রার্থী আসতেই তাঁর স্পষ্ট কথা, তোমাকে তো চিনি না। ফের ফোন নম্বরকে সামনে এনেই পরিস্থিতি সামাল দিলেন প্রার্থী। বিভিন্ন সোসাইটির কর্মকর্তারাও তাঁর পাশে রয়েছেন। সময় মতো পুরসভার জল না আসা এই এলাকার বড় সমস্যা। সমস্যা রয়েছে নিকাশি নিয়েও। কিন্তু তার থেকেও বড় সমস্যা দলের ভিতর ‘সিং’দের লড়াই। এখানে একাধিক সিং পদবীর নেতা রয়েছেন। যাঁদের দ্বন্দ্বে বারবার সিপিএম ফায়দা তুলেছে বলেই তৃণমূলের একাংশের মত। তাই সবাইকে এক করার পাশাপাশি এলাকাবাসীর মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলাই ববিতার লক্ষ্য। এখানকার সিপিএম প্রার্থী কবিতা ঘোষের সবচেয়ে বড় শক্তি তাঁর জনসংযোগ। তবে সাম্প্রতিককালে পরিবারের একাধিক সদস্যের মৃত্যু ও বয়সের ভার তাঁর জনসংযোগে ভাটা এনেছে। রবিবারও তিনি বাড়িতে ছিলেন। সেখানে গেলে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী সিপিএম প্রার্থীর দাবি, এবারও জিতব। এদিকে বিজেপি প্রার্থী সুপ্রিয়া মিশ্রর স্বামীর উপর রয়েছে দলবদলু তকমা। যা তাঁকে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। এদিকে আসানসোল পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে লড়াই এবার ত্রিমুখী। ওয়ার্ডের মেহেতা রোডে কিছুদিন আগেই হয়েছে চওড়া ঢালাই রাস্তা। সিপিআই নেতা বিনোদ সিং এলাকায় কাজ করেছেন বলে এলাকাবাসীর দাবি। এবার তাঁর স্ত্রী সিপিআই প্রার্থী। তাই লড়াইয়ে রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে গতবার বিবি কলেজ সংলগ্ন এই ওয়ার্ডটি জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী ঊষা সিং। পরে তিনি দলবদল করে তৃণমূলে যান। তাই এবার বিজেপি প্রার্থী রাখী কুশহা জিতলে দলবদল করতে পারেন! এনিয়েও চর্চা রয়েছে। যদিও বিজেপি প্রার্থীর বাবা অজয় কুশহা বলেন, ৩৫ বছর ধরে আমি বিজেপি করছি। আমাদের মেয়ে যে দল বদল করবে না, তা এলাকাবাসী জানেন। তৃণমূল প্রার্থী মৌমিতা বিশ্বাস বলেন, এলাকায় বহু সমস্যার সমাধান হয়নি ঠিকই। কিন্তু আমার আশা মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন দেখে মানুষ আমাকে ভরসা করবেন। ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপল্লিতে সিপিএম পার্টি অফিসের সামনেই গল্প করছিলেন আনন্দ দাস, শান্ত বসু। ভোটের প্রসঙ্গ তুলতেই তাঁরা বলেন, এই পার্টি অফিস থেকেই রাজনীতি করে নামডাক হয়েছিল গৌতম রায়চৌধুরী, তাপস রায়ের মতো সিপিএম নেতাদের। কিন্তু এখন পার্টি অফিস ক্লাবঘরের মতো হয়ে গিয়েছে। তাই তৃণমূলই এগিয়ে।