কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
প্রসঙ্গত, দেউচা পাচামি এলাকায় রাজ্যের সর্ববৃহৎ কয়লা খনি হতে চলেছে। আর এই প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকার অধিকাংশ গ্রামবাসী আদিবাসী সম্প্রদায়ের। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কয়লা খনির জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই প্যাকেজ অনুযায়ী প্রশাসনের উদ্যোগে এলাকায় কয়লা খনি করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজও শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের রাজ্য সরকারের ঘোষিত প্যাকেজ বোঝানো এবং জমিদাতাদের কাছে প্যাকেজের জন্য আবেদন সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎসব প্রাঙ্গণে মোট ২০টি সরকারি স্টল করা হবে। এই স্টলগুলিতে রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকটি প্রকল্প যেমন কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে। পাশাপাশি একটি অনুসন্ধান কেন্দ্র করা হচ্ছে। যেখানে দেউচা পাচামি কয়লা খনির সরকারি প্যাকেজ সংগ্রহ করতে পারবেন এলাকার সাধারণ মানুষ। এমনকী, প্যাকেজ সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন থাকলে তারও উত্তর স্টল থেকে পাওয়া যাবে। এছাড়াও পৌষ পার্বণের বিশেষ সময়ে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সরকারি স্টল থেকে পিঠে-পুলি বিক্রি করবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে।
বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী করোনা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে এবার বীরভূমে জঙ্গলমহল উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। উৎসব প্রাঙ্গণে বিভিন্ন সরকারি স্টল থাকবে। তার মধ্যে একটি স্টলে দেউচা পাচামি কয়লা খনির জন্য ঘোষিত প্যাকেজের নানা তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তাছাড়া কিছু সরকারি প্রকল্পের আবেদনও করার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া বেশকিছু আদিবাসী শিল্পীকে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ধামসা মাদল দেওয়া হবে। এলাকার বেশকিছু মানুষকে তফসিলি উপজাতির শংসাপত্র দেওয়া হবে।