কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পানুহাট মৌজায় একটি পুকুর বুজিয়ে দ্বিতল বিশিষ্ট দোকানঘর তৈরির করার অভিযোগ ওঠে ধৃতের বিরুদ্ধে। তাকে দু’বার পুরসভা থেকে নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠালেও সে পুরসভায় আসেনি। এরপরেই ধৃতের নামে কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ জানান পুরসভার প্রশাসক। তারপরেই পুলিস ধৃতকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সমীর সাহা বলেন, পুকুর বুজিয়ে বাড়ি তৈরি করেছিল ওই ব্যক্তি। তাই তার বিরুদ্ধে আমরা এফআইআর দায়ের করেছি।
কাটোয়া শহরের একাধিক ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরেই পুকুর বুজিয়ে বাড়ি, দোকান ঘর তৈরি করা হচ্ছে। এমনকী মাত্র ১ কাঠা জায়গার উপর পুকুর বুজিয়ে তিনতলা ঝাঁ চকচকে টাইলস বসানো বাড়ি প্রচুর তৈরি হয়েছে। এমন অভিযোগে বার বার সরব হচ্ছেন বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডেও একাধিক বাড়ি পুকুর বুজিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার কোনও সরু গলির ভিতরে চারতলা বাড়ি পুরসভার বৈধ অনুমতি ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে। এবার ওই বেআইনি বাড়িগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে কাটোয়া পুরসভা। কাটোয়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের কুড়িটি ওয়ার্ডে হোল্ডিং নম্বর আছে, এমন বাড়ির সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজার। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে প্রচুর বেআইনি বাড়ি পুরসভার অনুমতি ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে। এর আগেও বেআইনি বাড়ির মালিকদের বার বার নোটিস দিয়েছে পুরসভা।
এ বিষয়ে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা বেআইনি বাড়ির মালিকদের নোটিস দিয়েছি। তাদের কাছে আমরা জানতে চাইব কীভাবে তারা পুরসভার বৈধ অনুমতি ছাড়াই পাকা বড় বাড়ি তৈরি করল। তবে পানুহাটের ওই ব্যক্তি পুকুর বুজিয়ে বাড়ি তৈরি করেছে। তাই আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।