কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
জেলায় গ্রামীণ এলাকায় ১৩৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে করোনা সংক্রমণের হার বেশি। গত ৯ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সংক্রমণের হার ধরে ওই সব পঞ্চায়েত এলাকা চিহ্নিত করার পর সেখানে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকায় প্রত্যেকের মাস্ক নিশ্চিত করা, বেশিরভাগ বাসিন্দার করোনা পরীক্ষা, প্রভৃতির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলাশাসক বলেন, আমরা করোনা মোকাবিলায় হ্যালো ডাক্তারবাবু, ই-প্রেসক্রিপশন প্রভৃতি পরিষেবা চালু করেছি। এবার নতুন সংযোজন থিম সং। করোনা মোকাবিলার বার্তা নিয়ে থিম সং জেলায় সর্বত্র বাজানো হবে। নন্দীগ্রামের সিএমওএইচ বলেন, জেলাশাসকের উৎসাহে আমরা এই পরিকল্পনা নিয়েছি।
এই মুহূর্তে জেলায় প্রতিদিন গড়ে ৫০০জন সংক্রামিত হচ্ছেন। তবে, ৯৫ শতাংশ আক্রান্ত হোম আইসোলেনে রয়েছেন। বাড়িতে থাকা সংক্রামিতদের জন্য হ্যালো ডাক্তারবাবু এবং ই-প্রেসক্রিপশন পরিষেবা চালু হয়েছে। অনেকেই ওই পরিষেবা নিচ্ছেন। তবে, করোনা নিয়ে অযথা ভীতি কাটাতে থিম সং চালুর পরিকল্পনা নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সেই থিম সং রচনা করে সুর দিয়েছেন। তিনিই এই গান গেয়েছেন। গানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যদপ্তরের সবচেয়ে নিচুতলার পদাতিক বাহিনী আশাকর্মীরা যে গুরুদায়িত্ব পালন করে চলছেন, সেকথা উল্লেখ করে তাঁদের উপর আস্থা রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোভিড পজিটিভ হলে কোনও ভাবনা ছাড়াই হ্যালো ডাক্তারবাবু এবং আশাকর্মীদের উপর ভরসা রাখার কথা বলা হয়েছে। জ্বর বাড়লে, গলা ব্যথা হলে কিংবা শ্বাসকষ্ট হলে আশাকর্মীকে মোবাইলে খবর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
গত ৯ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে যেসব এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি, এমন এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জেলায় পাঁচটি পুরসভায় মোট ১০৬টি ওয়ার্ড রয়েছে। গত ২৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ওই ১০৬টি ওয়ার্ডে মোট ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। ১ থেকে ৮ জানুয়ারি এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭৫। ৯থেকে ১৫ জানুয়ারি ওই এক সপ্তাহে সংখ্যাটা একলাফে বেড়ে দাঁড়ায় ১০০৮ জন।
জেলায় ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩৬টি পঞ্চায়েতকে সংক্রমণ অধ্যুষিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্যজেলার অধীনে ৮৫টি এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার অধীনে আরও ৫৫টি পঞ্চায়েত রয়েছে। ওই ১৩৬টি পঞ্চায়েতে ২৫-৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩৪ জন, ১-৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১৭৬ জন এবং ৯-১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৫১ জন সংক্রামিত হয়েছেন।