কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় পরিদর্শক টিমের ভিজিটের জন্য চারটি মহকুমায় মোট আটটি ব্লক তৈরি রাখা হচ্ছে। সেগুলি হল, নন্দীগ্রাম-১, খেজুরি-২, এগরা-২, পটাশপুর-২, ময়না, মহিষাদল ও পাঁশকুড়া। নন্দীগ্রাম, খেজুরি ও মহিষাদল প্রভৃতি ব্লক এলাকায় ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছে। এছাড়াও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতির পর নদীবাঁধ মেরামত করা হয়েছে। লকডাউনে ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা দল বেঁধে একশো দিনের কাজে যুক্ত হয়েছেন। সেই তথ্যও প্রস্তুত রাখছে প্রশাসন। সম্প্রতি কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক কোভিড পরিস্থিতিতে একশো দিনের কাজে পুষ্টিবর্ধক সজনে ডাটা চাষে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক এলাকায় আগে থেকেই ওই চাষ হয়। সেটাও দেখানোর পরিকল্পনা আছে।
একশো দিনের কাজের মূল লক্ষ্য সম্পদ তৈরি করা। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে এগরা-২ ও পটাশপুর-২ ব্লকে পোলট্রি, ফিশারি, গোটারি প্রভৃতি সম্পদ তৈরির স্কিমও দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন আবাস যোজনা প্রকল্প মুখ থুবড়ে ছিল। সম্প্রতি সেই কাজে গতি আনতে ‘গৃহপ্রবেশ’ নামক বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছিল প্রশাসন। তাছাড়া টাকা নিয়ে বাড়ি তৈরি না করা উপভোক্তাদের চিহ্নিত করে এফআইআর করা হয়েছে। তাতে অনেকটা কাজ হয়েছে। বাংলা আবাস যোজনায় অনেক উপভোক্তা বাড়ি তৈরি করেছেন। সেইসব বাড়িতে আবাস যোজনার লোগো সাঁটানো হয়েছে। আগামী তিন মাসে একশো দিনের কাজে জেলায় ১০০কোটি টাকার স্কিম হাতে নেওয়া হবে। ২৫টি ব্লকের বিডিওকে ব্লক পিছু চার কোটি টাকার কাজের পরিকল্পনা নিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৯-’২০আর্থিক বছরে একশো দিনের কাজ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় টিম এসেছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর কোনও টিম আসেনি। এবার রাজ্যে একসঙ্গে ১৫টি জেলায় ভিজিটে এসেছে পরিদর্শক টিম। পূর্ব মেদিনীপুরের এনআরইজিএ স্কিমের ডিস্ট্রিক্ট নোডাল অফিসার বুদ্ধদেব পান বলেন, সোমবার ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিম ভিজিট করার জন্য জেলায় আসবে। তাতে মোট দু’জন সদস্য থাকবেন। প্রশাসনিক বৈঠকের পর তাঁরা ভিজিটে বেরবেন।