কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
কাটোয়া মহকুমার অনেক এলাকাতেই ব্রকলি চাষ শুরু হয়েছে। ফুলকপির পাশাপাশি ব্রকলি এখন জমি থেকে তোলার সময় হয়েছে। ব্রকলির দাম ফুলকপির তুলনায় বেশি। এর খাদ্যগুণও আছে। তাই চাহিদাও ভালো। লাগাতার প্রতিকূল আবহাওয়ায় কাটোয়া মহকুমার বেশ কিছু এলাকায় ব্রকলিতে রোগের আক্রমণ শুরু হয়েছে। সবুজ ব্রকলি কালো হয়ে পচে যাচ্ছে। গাছের পাতাতেও সংক্রমণ হচ্ছে। কিছুদিন আগে বৃষ্টির কারণে ক্ষতি আরও বেড়েছে। গাছের বেশিরভাগ অংশই শুকিয়ে যাচ্ছে।
কাটোয়া-১ ব্লকের খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের মণ্ডলহাট এলাকার চাষি গোপাল মণ্ডল ও রামপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, আমারা ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলাম। এখন বিঘার পর বিঘা জমির ব্রকলি পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চাষের খরচ উঠবে না। এই ব্রকলি গোরুকে খাইয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
জানা গিয়েছে, ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ব্রকলিতে আইসোথিয়ো সায়ানেটস নামে বিশেষ ধরনের যৌগ রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া এই সব্জি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অস্থি বিকৃতি সহ বিভিন্ন রোগের উপশমে সাহায্য করে। দাবি কিছুটা বেশি হলেও নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকায় অনেকেই বাজারে এসে এই সব্জির খোঁজ করছেন।
কৃষিদপ্তর থেকে আগে চাষিদের এই চাষে উৎসাহ দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে চাষিদের মধ্যে কয়েকজনকে বীজও দেওয়া হয়েছিল। এক বিঘা জমিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকার ব্রকলির বীজ লাগে। বিকল্প লাভজনক চাষ হিসেবে কৃষি আধিকারিকরা এই চাষে আয়ের পথ দেখিয়েছেন। এক বিঘা জমিতে ব্রকলি চাষ করতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। বাজারে এখন ব্রকলি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত প্রতি পিস বিক্রি হয়। প্রায় দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই এই ফসল ঘরে তোলা যায়। লাভজনক এই চাষে এবার রোগের আক্রমণ ঘটায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষিরা। এক চাষি জানান, যেভাবে ব্রকলি নষ্ট হয়েছে, তাতে চাষের খরচও উঠবে না।