অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
সুনীতা দাস, বছর কুড়ির তরুণী গত বছরই গ্র্যাজুয়েশন পাশ করেছেন। সরকারি চাকরির চেষ্টা করছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের শিক্ষিত সুনীতাই এখন দুর্গাপুরের প্রচার বিনোদনের অন্যতম আকর্ষণ। সুন্দরী তরুণী সুনীতা নীল কাপড়ে মোড়া ঢাক নিয়ে হাজির হচ্ছেন গোপালমাঠ থেকে স্টেশন বাজার সর্বত্র। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন আরও দুই পড়ুয়া তাপসী দাস ও মিতু দাস। এক গৃহবধূ ঢাকিও রয়েছেন। সবাই এসেছেন মছলন্দপুর থেকেই। একই ড্রেস কোড তাঁদের। তাঁদের ঢাকের ড্যাম কুড়া কুড় বোলেই শিল্পাঞ্চলের মাটিতে তৃণমূলের প্রচারে ঝড় উঠেছে। জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম ঢাকিদের গ্রাম। সুনীতার পিসেমশাই ভিন দেশে একটি বিশেষ বাদ্যযন্ত্র কিনতে গিয়ে দেখেন মহিলারা ওখানে সেটা বাজাতে বিশেষ পটু। সুনীতা তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। ছোট্ট সুনীতাকে দিয়ে ঢাক বাজাতে দিয়ে দেখেন সুন্দর বোল তুলছে। ব্যস এরপর থেকে সুনীতা কাঁধে তুলে নেন ঢাক। এই বয়সেই কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই নানা জায়গায় পাড়ি দিয়েছেন তিনি। সুনীতার থেকে বয়সে ছোট আরও দু’জন রয়েছেন। প্রখর গরমে যখন রোদে হাঁটাই কষ্টকর, তখন কাঁধে ঢাক নিয়ে মাথায় তৃণমূলের টুপি পরে অবলীলায় ঘণ্টাখানেক ঢাক বাজিয়ে হেঁটে চলেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, অভাবের সংসার ঢাক বাজিয়েই পড়ার খরচ চালিয়েছি। দুর্গাপুরের গরম একটু বেশি, তবু মানিয়ে নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, চাকরির চেষ্টা করছি। তবে চাকরি পেলেও ঢাক বাজানোর কাজটা চালিয়ে যেতে চাই। এটাই আমাকে প্রথম আয়ের পথ দেখিয়েছে।
ভোটাররাও তাঁদের দেখে বেশ নতুনত্ব পাচ্ছেন। দুর্গাপুরের মানুষ ঢাকি দেখেছেন কিন্তু প্রচারে মহিলা ঢাকিরা নেচে নেচে বোল তুলছেন, এটা তাঁরা দেখেননি। নতুন প্রজন্মের ভোটাররাও মহিলা ঢাকিদের প্রচারে বেশ উজ্জীবিত। ভোটের প্রচারে ঢাকের শব্দ এনে দিয়েছে উৎসবের টাটকা গন্ধ।